বৈশ্য সাহা
বৈশ্য সাহা বা সাহা, যদিও বাংলার বর্ণ কাঠামোতে বৈশ্য হিসাবে বিবেচিত হয় না, একটি বাঙালি হিন্দু ব্যবসায়ী জাতি যারা ঐতিহ্যগতভাবে মুদি, দোকানদার, মহাজন ছিলেন।[১]
উৎপত্তি
সম্পাদনাউপাপুরণ গুলি বাংলার জাতির শ্রেণী বিন্যাস এবং উৎপত্তি সৃষ্টির ক্ষেত্রে উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে।[২] যদিও সাহা বণিক জাতিটি ত্রয়োদশ শতকের রচিত বৃহদ্ধর্ম পুরাণে উল্লেখিত হয়নি। এমনটা মনে করা হয় চন্দ্রধর বণিক যে পুরাণ অনুযায়ী "সাহে বানিয়া বা সাহা বানিয়া" ছিলেন এনারা তাঁর উত্তরপুরুষ।[৩] সাহা বণিকদের সাথে সুড়ি বা সুন্ডিকা জাতির কোনো সম্পর্ক নেই তাছাড়া সাহা পদবি সাহা বণিক জাতি ছাড়াও অন্যান্য অনেক নিম্ন জাতির মধ্যেও পাওয়া যায়।
বর্ণ মর্যাদা
সম্পাদনাঐতিহ্যগতভাবে বাংলার সমাজ ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় বৈশ্য ও শূদ্র এই চার বর্ণে বিভক্ত ছিল।[৪] ১৯৩১ সালের আদমশুমারি(জনগণনা) রিপোর্টে সাহারা বৈশ্যের মর্যাদা দাবি করতে শুরু করেছিলেন, যদিও সেটা এখনো প্রমাণিত নয় সঠিকভাবে। কারণ বশত তাহারা তৎকালীন টোল ও দুটি মাত্র বর্ণে বিশ্বাসী বৈষম্য কারি রক্ষণশীল ব্রাহ্মণ গনের চক্ষুশূল হওয়াতে, সমাজপতিরা তাহাদের শূদ্র প্রমাণ করিতে সুড়ি বা সুন্ডিকা জাতি ভুক্ত করার প্রচেষ্টা করা হয়। সাহারা মূলত পূর্ব বঙ্গ অধুনা বাংলাদেশের বনিক সম্প্রদায়। মনে করা হয় চন্দ্রধর বণিক যে পুরাণ অনুযায়ী "সাহে বানিয়া বা সাহা বানিয়া" ছিলেন এনারা তাঁর উত্তরপুরুষ।[১] সাহা বণিকদের সাথে সুড়ি বা সুন্ডিকা জাতির কোনো সম্পর্ক নেই।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Hashmi, Taj Ul-Islam (২০১৯-০৯-১৩)। Pakistan As a Peasant Utopia (ইংরেজি ভাষায়)। Taylor & Francis Group। আইএসবিএন 978-0-367-28215-8।
- ↑ Sengupta, Saswati (২০২১)। Mutating Goddesses: Bengal's Laukika Hinduism and Gender Rights (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0-19-012410-6।
- ↑ "Indpaedia"। indpaedia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৫।
- ↑ Chakrabarti, Kunal; Chakrabarti, Shubhra (২০১৩-০৮-২২)। Historical Dictionary of the Bengalis (ইংরেজি ভাষায়)। Scarecrow Press। আইএসবিএন 978-0-8108-8024-5।