বেহেশতী জেওর
বেহেশতী জেওর (উর্দু: بہشتی زیور) একটি বহুল পরিচিত ইসলামী বই। বইটির লেখকের নাম আহমদ আলী হলেও এটি আশরাফ আলী থানভীর নামে ছাপানো হয়।[১] বইটি ফিকহ, ইসলামী আচারাদি ও নৈতিকতার বিষয়ে একটি নির্দেশিকা। বইটিতে ইসলামের পঞ্চস্তম্ভ বর্ণনা করা হয়েছে এবং অস্পষ্ট নীতিসমূহ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি মহিলা কওমি মাদ্রাসায় এ বই পড়ানো হয়ে থাকে। বইটির ইংরেজি অনুবাদ করেছেন আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা ও আমেরিকান হিস্টোরিকাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বারবারা ডি. মেটকাল্ফ।[২][৩][৪][৫]
লেখক | আশরাফ আলী থানভী |
---|---|
অনুবাদক | শামসুল হক ফরিদপুরী |
দেশ | ভারত |
ভাষা | উর্দু ভাষা |
বিষয় | মাসয়ালা-মাসাইল |
ধরন | ইসলামী বই |
মিডিয়া ধরন | মুদ্রিত (হার্ডকভার) |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ৫৫২ (১ থেকে ১১ খণ্ড) |
‘বেহেশতী জেওর’ উর্দু ভাষায় রচিত। এটি ১১টি খণ্ডে বিভক্ত। উর্দু থেকে এটি বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেছেন শামসুল হক ফরিদপুরী। ‘বেহেশতী জেওর’ এর বঙ্গার্থ জান্নাতের গহনা বা স্বর্গের অলংকার। বিভিন্ন বিষয়ে ইসলামী মাসয়ালা-মাসাইলের জন্য বইটি বিখ্যাত।[৬][৭]
বিবরণ
সম্পাদনাএটি মূলত উর্দু ভাষার বই। বাংলা অনুবাদ করেছেন শামসুল হক ফরিদপুরী। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে বেহেশতী জেওর বেশ জনপ্রিয় বই। মুসলিমদের ঘরে ঘরে এ বই বিদ্যমান। এটি মূলত মাসয়ালা-বিষয়ক বই। বাংলা সহ বেশ কয়েকটি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে।[৮][৯]
অধ্যায়
সম্পাদনাআটটি অধ্যায়ে বইটিকে ভাগ করা হয়েছে:
- "সত্য ঘটনা"
- "বিশ্বাস"
- "ভুল বিশ্বাস এবং কর্ম"
- " সালাত ও তার গুণাবলী"
- " রোযা, জাকাত, কুরবানী, হজ, শপথ, ধর্মত্যাগ, হালাল ও হারাম ইত্যাদি।"
- "বিবাহ, তালাক, 'ইদদাহ, ভরপোষণ, কর্তৃত্ব, জীবিকার অধিকার এবং কুরআন মজীদ পড়া"
- "ব্যবসা নীতি এবং সম্পদ খোঁজা"
- "শিষ্টাচার, অন্তর কাজের নৈতিক সংস্কার এবং তার প্রতিফল, এবং কেয়ামতের চিহ্ন"
- "বিশুদ্ধ নারীদের জীবন"
- "স্বাস্থ্য বিষয়ক এবং শিষ্টাচার
বিতর্ক
সম্পাদনাকথিত আছে আশরাফ আলী থানভী নামে ব্যাপক প্রচলন হলেও বইটির আসল সংকলক তিনি নন। “আহমদ আলী” নামে একজন আলেম এ বইয়ের আসল সংকলক। কিন্তু সংকলক হিসেবে আশরাফ আলী থানবীর নামে ভুলে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে।[১০][১১] বইটির শেষে কিছু তাবিজ ও বিভিন্ন চিকিৎসার কথা লেখা আছে। এসব বিষয়ে কিছুটা বিতর্ক ও সন্দেহের সৃষ্টি হয়।[১০][১১][১২]
উত্তরাধিকার
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ মিডিয়া, আহলে হক (২০১৭-০৭-০৩)। "বেহেশতী জেওর কিতাবের সংকলক কি মাওলানা আশরাফ আলী থানবী রহঃ?"। আহলে হক বাংলা মিডিয়া সার্ভিস। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২০।
- ↑ Ansari, Sarah (১৯৯২)। "Review of Perfecting Women: Maulana Ashraf 'Ali Thanawi's Bihishti Zewar. A Partial Translation with Commentary"। Bulletin of the School of Oriental and African Studies, University of London। 55 (3): 578–579। আইএসএসএন 0041-977X।
- ↑ Petievich, Carla (১৯৯৩)। "Review of Perfecting Women: Maulana Ashraf 'Ali Thanawi's "Bihishti Zewar". A Partial Translation with Commentary"। Middle East Studies Association Bulletin। 27 (2): 188–189। আইএসএসএন 0026-3184।
- ↑ Anjum, Mohini (১৯৯৩)। "Review of Perfecting Women. Maulana Ashraf Ali Thanawi's Bihishti Zewar: A Partial Translation with Commentary"। Sociological Bulletin। 42 (1/2): 189–190। আইএসএসএন 0038-0229।
- ↑ Islam, Muhammad (২০১২)। "Review of Kitaabul Fiqh (Diin kii Baaté [sic])"। Islamic Studies। 51 (1): 103–108। আইএসএসএন 0578-8072।
- ↑ Ansari, Usamah Yasin (২০১২)। ""Tandrusti Deen ka Kaam Hai": Health as a Matter of Religion in Book 9 of Ashraf Ali Thanvi's Bahishti Zewar"। History of Religions। 52 (1): 49–76। আইএসএসএন 0018-2710। ডিওআই:10.1086/665963।
- ↑ Alim, Fazle (২০২৪)। Exploring Dars-e-Nizami: Key Texts and Their Creators। BanglaBazar, Dhaka: Maktabatu Khidmah। পৃষ্ঠা 89।
- ↑ Ashraf ʻAlī Thānvī; Barbara Daly Metcalf (১৯৯২)। Perfecting Women: Maulana Ashraf 'Ali Thanawi's Bihishti Zewar। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস। আইএসবিএন 978-0-520-08093-5।
- ↑ "এমদাদিয়ার জনপ্রিয় কিছু প্রকাশনা"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২০।
- ↑ ক খ মিডিয়া, আহলে হক (২০১৭-০৭-০৩)। "বেহেশতী জেওর কিতাবের সংকলক কি মাওলানা আশরাফ আলী থানবী রহঃ?"। আহলে হক বাংলা মিডিয়া সার্ভিস। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২০।
- ↑ ক খ "বেহেশতী জেওর কি মাওলানা আশরাফ আলী থানবী'র লেখা?"। our Islam। ২০১৭-০৭-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২০।
- ↑ "Fatwas by Mufti Ebrahim Desai » Askimam"। www.askimam.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৪।