বেলা বিস্কুট

চট্টগ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী বিস্কুট

বেলা বিস্কুট চট্টগ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী এবং উপমহাদেশের প্রথম বিস্কুট, যা সারা বাংলাদেশ জুড়ে জনপ্রিয়। এটি গোলাকার,[] আকারে বড় এবং সাধারণ বিস্কুটের তুলনায় তুলনামূলক শক্ত হবার কারণে শুরু থেকে চায়ে ডুবিয়ে এই বিস্কুট খাবার প্রচলন ঘটে।[] ১৫০ বছর ধরে জনপ্রিয় বেলা বিস্কুট চট্টগ্রামের মানুষসহ অনেকের বিকেলের চায়ের সঙ্গী। বেলা বিস্কুটের বিশেষত্ব হল এটি মাটির তৈরি তন্দুর বা চুলায় বানানো হয়। এটি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাঅস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানি করা হয়।

বেলা বিস্কুট
উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশ
অঞ্চল বা রাজ্যবৃহত্তর চট্টগ্রাম
সংশ্লিষ্ট জাতীয় রন্ধনশৈলীবাংলাদেশ
পরিবেশনচায়ের সাথে পরিবেশন
প্রধান উপকরণদুধ, মাখন, বেকিং পাউডার, ময়দা

ইতিহাস

সম্পাদনা

বেলা বিস্কুট উপমহাদেশের প্রাচীন বিস্কুট। কারো মতে অব্দুল গণি সওদাগর পর্তুগিজদের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে চট্টগ্রামে সর্বপ্রথম এই বিস্কুটের প্রচলন ঘটায়। চট্টগ্রামের লেখক আবুল ফজল তার ১৯৬৬ সালে রচিত রেখাচিত্র গ্রন্থে চন্দনপুরার বেলায়েত আলী নামক এক বিস্কুট বিক্রেতার নামানুসারে বেলা বিস্কুটের নামকরণ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

বেলা বিস্কুট আটা, চিনি, বেকিং সোডা এবং অন্যান্য গোপন উপাদান থেকে তৈরি করা হয়। কিছু অন্যান্য উপাদান হিসেবে যেমন দুধ, লবণ, ডিম, খামির, দারুচিনির গুঁড়া, পেঁয়াজ গুঁড়া ইত্যাদি যোগ করা যেতে পারে।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. ক্রেইগ, ব্রুস; সে, কলিন টেলর। Street Food around the World: An Encyclopedia of Food and Culture: An Encyclopedia of Food and Culture (সচিত্র, পুনঃমুদ্রণ সংস্করণ)। পৃষ্ঠা ৪৪। আইএসবিএন 9781598849554। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১৯ 
  2. মোহাম্মদ মাহমুদ (২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭)। "চট্টগ্রামের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির নানা অনুষঙ্গ"বণিক বার্তা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১৯ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "বেলা বিস্কুট"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ১ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১৯