বেনজীর আহমদ
বেনজীর আহমদ হলেন বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলার শাখার সভাপতি।[১] তিনি ২০২৩ সালে ঢাকা-২০ আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।[২] তিনি একাধিকবার বায়রা এর সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বেনজীর আহমদ বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন মুক্তিযোদ্ধা।[১]
বেনজীর আহমদ | |
---|---|
ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৫ জানুয়ারী ২০১৯ – ৬ আগস্ট ২০২৪ | |
পূর্বসূরী | এম এ মালেক |
কাজের মেয়াদ ২০০৮ – ২০২২ | |
উত্তরসূরী | এম এ মালেক |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ঢাকা জেলা, পূর্ব পাকিস্তান | ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাবেনজীর আহমদ ১৯৫২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম কাজিম উদ্দিন আহমদ ও মাতার নাম মাজেদা আহমদ। তিনি এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন।[৩] তিনি আহমদ গ্রুপের (আহমদ এন্টারপ্রাইজ, আহমদ রিয়েল স্টেট ও আহমদ ইন্টারন্যাশনাল) স্বত্বাধীকারী। তিনি ২০১৬-২০১৮ এবং ২০১৮-২০২০ মেয়াদে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হন।[৪][৫]
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাবেনজীর ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৬] নবম সংসদের মেয়াদে তিনি পিটিশন কমিটি ও ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি মনোনয়ন না পাওয়ায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভ করেন এবং পরে মহাজোটের প্রার্থীতা পান। তিনি ২ লাখ ৫৯ হাজার ৭৮৮ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুল মান্নানকে পরাজিত করেন।[৭] ২০২৪ সালের ০৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভ করেন । এবং তিনি ৮৩,৭০৮ হাজার ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাদ্দেছ হেসেন কে পরাজিত করেন। ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে গেলে পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙ্গে দিলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "ঢাকা জেলা আ'লীগের সভাপতি বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ"। দৈনিক সংগ্রাম। ২০১৯-০১-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-০৪।
- ↑ ক খ জনকণ্ঠ, দৈনিক। "জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা"। দৈনিক জনকণ্ঠ || Daily Janakantha (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬।
- ↑ "হলফনামা" (পিডিএফ)। নির্বাচন কমিশন। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-০৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "বেনজীর আহমদ সভাপতি রুহুল আমিন মহাসচিব"। Amadershomoy Online। ২০২১-০৯-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-০৪।
- ↑ রিপোর্টার, স্টাফ। "সভাপতি বেনজীর মহাসচিব নোমান"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-০৪।
- ↑ "Constituency 193"। www.parliament.gov.bd। ২০১৮-০৯-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-০৪।
- ↑ "সারা দেশে ভোটের ফলাফল"। ২০১৮-১২-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-০৪।