বুড়িমারী স্থল বন্দর
বুড়িমারী স্থলবন্দর, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত একটি অন্যতম স্থলবন্দর হিসাবে পরিচিত। এটি রংপুর বিভাগের লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা অবস্থিত।[১] এর অপরদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মেখলিগঞ্জ মহাকুমার চেংড়াবান্ধা এলসিএস রয়েছে।
বুড়িমারী স্থলবন্দর | |
---|---|
অবস্থান | |
দেশ | বাংলাদেশ |
অবস্থান | বুড়িমারী, পাটগ্রাম, লালমনিরহাট |
স্থানাঙ্ক | ২৬°২৪′১৬″ উত্তর ৮৮°৫৫′৩১″ পূর্ব / ২৬.৪০৪৩৭৪° উত্তর ৮৮.৯২৫২৭৫° পূর্ব |
বিস্তারিত | |
নির্মাণ | ১২ জানুয়ারি ২০০২ |
চালু | ৯ এপ্রিল ২০১০ |
পরিচালনা করে | বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ |
মালিক | বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ |
পোতাশ্রয়ের ধরন | স্থলবন্দর |
অবস্থান
সম্পাদনালালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার ৮নং বুড়িমারী ইউনিয়নের বুড়িমারী সীমান্তে এই স্থল বন্দরটি অবস্থিত।[১] পাটগ্রাম থেকে এর দূরত্ব ১২ কিলোমিটার, লালমনিরহাট থেকে প্রায় ৯৫ কিলোমিটার এবং রংপুর থেকে প্রায় ৯৩ কিলোমিটার উত্তরে। বুড়িমারী স্থলবন্দর হতে রাজধানী ঢাকার দূরত্ব প্রায় ৪০০ কিলোমিটার এবং ভুটানের ফুন্টসলিং এর দূরত্ব প্রায় ১০৮ কিলোমিটার।
ইতিহাস
সম্পাদনাভারত, ভুটান এবং নেপালের সাথে স্থল পথে মালামাল আমদানী ও রপ্তানির সুবিধার জন্য এই বুড়িমারী এলাকার জিরো পয়েন্টে শুল্ক স্টেশনটি ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে চালু করা হয়। ১২ জানুয়ারি ২০০২ তারিখ বুড়িমারী শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দর ঘোষণা করা হয় এবং ০৯ এপ্রিল ২০১০ তারিখ বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয়।[২]
আমদানি-রপ্তানি
সম্পাদনাএই বন্দর দিয়ে ভারত, ভুটান ও নেপাল থেকে কয়লা, কাঠ, টিম্বার, পাথর, সিমেন্ট, চায়না ক্লে, বল ক্লে, কোয়ার্টজ, রাসায়নিক সার, কসমেটিক সামগ্রী, পশু খাদ্য, বিভিন্ন ধরনের ফলমূল, পিঁয়াজ, রসুন, আদা, চাল, ডাল, গম, বিভিন্ন ধরনের বীজ, তামাক ডাটা প্রভৃতি মালামাল আমদানী করা হয়। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা হয় ইলিশ মাছ, মেলামাইনের তৈরি বাসনপত্র এবং ঔষধসহ কতিপয় মালামাল।[১]
গ্যালারি
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ "লালমনিরহাট সরকারি ওয়েব"। ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "বুড়িমারী স্থলবন্দর"। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। ২০ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০২৫।