বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর
বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ মোস্তাফা কামালের [১] স্মৃতি ধরে রাখার জন্য ২০০৮ সালের শুরুর দিকে বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগারটি স্থাপিত হয়।
অবস্থান
সম্পাদনাভোলা শহর থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে আলীনগর ইউনিয়নের মোস্তফা নগরে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগারটি অবস্থিত।[২]
ইতিহাস
সম্পাদনাসাত বীরশ্রেষ্ঠ ও তিন ভাষাশহীদের জন্মস্থানে জাদুঘর ও লাইব্রেরি নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০০৮ সালের ৩ মে বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ করা হয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধ ও বীরশ্রেষ্ঠদের ইতিহাস ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এটি নির্মিত হয়।[৩]
বিবরণ
সম্পাদনাজাদুঘরে রক্ষিত স্মৃতিচিহ্ন আর বই নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরার কাজটি করে যাচ্ছে।নানা ধরনের বইয়ের মধ্যে প্রতিটি বিষয়ের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা আলমারি। প্রতিটি আলমারিতে রয়েছে বিষয়ভিত্তিক নাম, যা দেখে যে বই প্রয়োজন, তা পাওয়া যাবে। রয়েছে জীবনী, উপন্যাস, ধর্মীয়, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি, রচনাবলি, মুক্তিযুদ্ধ, সাধারণ জ্ঞান, শিশুসাহিত্য, কবিতাসমগ্রসহ নানা ধরনের বই। বইয়ের পাশাপাশি পড়ার জন্য বড় মিলনায়তনকক্ষে ছোট ছোট টেবিল সাজানো আছে। সাজানো বইয়ের এক পাশে রয়েছে বীরশ্রেষ্ঠর ব্যবহূত সামগ্রী আর ছবি। বই ছাড়াও এই পাঠাগারে রয়েছে প্রতিদিনের জাতীয় দৈনিক পড়ার সুযোগ।
সময়সূচী
সম্পাদনাসরকারী ছুটির দিন ছাড়া জাদুঘরটি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকে|[৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "মোস্তফা কামাল (বীরশ্রেষ্ঠ)"। bn.wiki.x.io।
- ↑ "বীরশ্রেষ্ঠর জাদুঘরে একদিন"। দৈনিক প্রথম আলো। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ০৮-০১-২০১১। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ "কেমন আছে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের পরিবার"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১১।