বিসিজিএস পোর্টে গ্রান্ডে
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড জাহাজ (শিপ) (সংক্ষেপেঃ বিসিজিএস) পোর্টে গ্রান্ডে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের একটি শেটগাং-শ্রেণীর ফাস্ট প্যাট্রোল বোট। এটি দেশীয় কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় আনন্দ শিপইর্য়াড এন্ড স্লিপওয়েজ কর্তৃক নির্মিত হয়। বর্তমানে জাহাজটি কোস্ট গার্ড পূর্ব-জোন চট্টগ্রাম এর অধীনে সামুদ্রিক এবং উপকূলীয় অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।[১][২][৩][৪][৫][৬]
ইতিহাস | |
---|---|
বাংলাদেশ | |
নাম: | বিসিজিএস পোর্টে গ্রান্ডে |
নির্মাতা: | আনন্দ শিপইর্য়াড এন্ড স্লিপওয়েজ |
কমিশন লাভ: | ২০০৬ |
শনাক্তকরণ: | পি১০২ |
অবস্থা: | সক্রিয় |
সাধারণ বৈশিষ্ট্য | |
প্রকার ও শ্রেণী: | শেটগাং-শ্রেণীর ফাস্ট প্যাট্রোল বোট |
ওজন: | ১০৫ টন |
দৈর্ঘ্য: | ৩১.২০ মিটার (১০২.৪ ফুট) |
প্রস্থ: | ৫.৪০ মিটার (১৭.৭ ফুট) |
ড্রাফট: | ১.৬০ মিটার (৫.২ ফুট) |
গভীরতা: | ৩.০০ মিটার (৯.৮৪ ফুট) |
প্রচালনশক্তি: |
|
গতিবেগ: | ২৩ নট (৪৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা; ২৬ মাইল প্রতি ঘণ্টা) |
সীমা: | ১,৫০০ নটিক্যাল মাইল (২,৮০০ কিলোমিটার; ১,৭০০ মাইল) |
সহনশীলতা: | ৭ দিন |
লোকবল: | ২৭ জন |
সেন্সর এবং কার্যপদ্ধতি: |
|
রণসজ্জা: |
|
ইতিহাস
সম্পাদনাবাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য গৃহীত দীর্ঘমেয়াদী আধুনিকায়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার দেশীয় উৎস থেকে সমরাস্ত্র সংগ্রহ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য আনন্দ শিপইর্য়াড এন্ড স্লিপওয়েজ নৌযান নির্মানের পদক্ষেপ নেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য ২টি ফাস্ট প্যাট্রোল বোট নির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এবং আনন্দ শিপইর্য়াড এন্ড স্লিপওয়েজ এর মধ্যেকার জাহাজ নির্মাণ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সম্পাদিত চুক্তির অংশ হিসেবে বিসিজিএস পোর্টে গ্রান্ডে নির্মিত হয়। নৌযানটি নির্মাণকালে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জার্মানি ভিত্তিক জার্মানিশার লয়েড এর নীতিমালা অনুসরণ করা হয়। নির্মাণকাজ শেষে ২০০৬ সালে নৌযানটি আনুষ্ঠানিকভাবে কমিশনিং করা হয়।
বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো
সম্পাদনাবিসিজিএস পোর্টে গ্রান্ডে নৌযানটির দৈর্ঘ্য ৩১.২০ মিটার (১০২.৪ ফুট), প্রস্হ ৫.৪০ মিটার (১৭.৭ ফুট) এবং গভীরতা ৩.০০ মিটার (৯.৮৪ ফুট)। নৌযানটির ওজন ১০৫ টন এবং নৌযানটিতে প্রচলন শক্তি হিসেবে রয়েছে:
- ২টি ১,৫০০ অশ্বশক্তি (১,১০০ কিলোওয়াট) বিশিষ্ট এমটিইউ ১২ভি-২০০০ ডিজেল ইঞ্জিন (জার্মানি);
- ২টি ৫৯ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কামিন্স জেনারেটর (গণচীন);
- ২টি জেডএফ ৭৬০০ ট্রান্সমিশন (জার্মানি);
- ২টি ফিক্সড পিটচ প্রোপেলার;
- ২টি শ্যাফট এবং ইলেক্ট্রোহাইড্রোলিক স্টিয়ারিং গিয়ার সিস্টেম।
যার ফলে নৌযানটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২৩ নট (৪৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা; ২৬ মাইল প্রতি ঘণ্টা)। এছাড়াও এটি ২৭ জন সদস্য নিয়ে একনাগাড়ে ৭ দিন অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম। সেন্সর এবং কার্যপদ্ধতি হিসেবে রয়েছে:
- ১টি ফুরুনো ডিআরএস৪ডব্লিউ র্যাডার (জাপান);
- ১টি ফুরুনো এফএআর-৩৩২০ চার্ট র্যাডার (জাপান);
- ১টি হাল মাউনন্টেড মাল্টি-বিম ইকো সাউন্ডার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র);
- ১টি হাল মাউনন্টেড সিঙ্গেল-বিম ইকো সাউন্ডার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র);
- ১টি ডিজিপিএস রিসিভার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র);
- ১টি সাউন্ড ভেলোসিটি প্রোফাইলার (যুক্তরাজ্য);
- ১টি জেআরসি জেএমএ-৩৩০০ মাল্টিরোল ডিসপ্লে সহ নেভিগেশন র্যাডার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র);
- ১টি চৌম্বকীয় কম্পাস (জাপান);
- ১টি জিপিএস রিসিভার (ফুরুনো);
- ১টি ইকো সাউন্ডার (কোডেন);
- ১টি রাডার অ্যাঙ্গেল ইন্ডিকেটর;
- ১টি ভিএইচএফ সেট (আইকম);
- ৫টি ভিএইচএফ ওয়াকিটকি সেট (আইকম/মটোরোলা)।
রণসজ্জা
সম্পাদনাবিসিজিএস পোর্টে গ্রান্ডে নৌযানটির আকার আয়তন অপেক্ষাকৃত ছোট হলেও এর সক্ষমতা আধুনিক বিশ্বে ব্যবহৃত সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ। শত্রু জাহাজ মোকাবেলা, চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমনে জাহাজটিতে রয়েছে:
- ২টি টাইপ ৫৬ ১২.৭ বিমান-বিধ্বংসী মেশিনগান;
- ২ × টাইপ ৫৬ ৭.৬২×৩৯ মিমি মেশিনগান।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "ALL SHIPS - BANGLADESH COAST GUARD" (পিডিএফ)। coastguard.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-১৮।
- ↑ "বিসিজিএস পোর্টে গ্রান্ডে কর্মকর্তাবৃন্দের তালিকা"। coastguard.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৩-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-১৯।
- ↑ "Ananda Shipyard & Slipways Ltd. 31.20m FAST PATROL CRAFT" (পিডিএফ)। www.anandashipyard.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-১৯।
- ↑ "রাষ্ট্রীয় সম্পদ সাঙ্গু গ্যাস ফিল্ডের মালামাল চুরির সময় কোস্ট গার্ডের অভিযানে ১৬ জন আটক"। www.Bangladesh Coast Guard facebook.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-২৬।
- ↑ "বঙ্গোপসাগরের সাঙ্গু গ্যাস ফিল্ডের পণ্য চুরির সময় কোস্ট গার্ড অভিযান চালিয়ে ১৬ জনকে আটক করেছে"।
- ↑ "চুরি করতে গিয়ে ধরা খেয়ে গেল দুর্ধর্ষ ডাকাত চক্র! | Gang of Robbers Caught | Somoy TV"।