বিষধর সাপ হচ্ছে এক প্রকার সাপ যারা শিকার ও আত্মরক্ষার জন্য তাদের শরীরে উৎপন্ন প্রক্রিয়াকৃত লালা বা সর্পবিষ ব্যবহার করে। এই বিষপ্রয়োগের জন্য তাদের বিশেষভাবে তৈরি এক জোড়া দাঁতও থাকে যা বিষদাঁত নামে পরিচিত। এছাড়া কিছু কিছু সাপ তাদের চোয়ালের মাধ্যমে বিষ ছুঁড়েও মারতে পারে।

ওয়েস্টার্ন গ্রিন মাম্বা, একপ্রকার বিষধর এলাপিড

সাপের বিভিন্ন পরিবারের মধ্যেই বিষধর সাপের অস্তিত্ব আছে। শ্রেণিবিন্যাসের কোনো নির্দিষ্ট ধাপ বিষধর সাপদের জন্য নির্দিষ্ট নয়। এটার অর্থ এই যে বিবর্তনের ধারায় বিভিন্ন রকম সাপের মাঝে বিষ উৎপন্ন হয়েছে। কয়েকটি জাতের গিরগিটির মাঝেও বিষের উপস্থিতি দেখা যায়, যা মূলত লালা।

অনেক ধরনের সাপ, যেমন: বোয়া এবং অজগর গোত্রীয় সাপগুলো বিষধর নাও হতে পারে, কিন্তু তাদের দংশন বা কামড়ের ফলে চিকিৎসীয় সেবার প্রয়োজন হতে পারে। কারণ তাদের দাঁত তীক্ষ্ণ ও ধারালো, এবং মুখের ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আক্রান্ত ক্ষতে সংক্রমণ হবার সম্ভাবনা থাকে।

বিষধর সাপের পরিবার

সম্পাদনা

এখন পর্যন্ত সাপের প্রায় ৬০০টি প্রজাতিকে বিষধর হিসেবে শনাক্ত করা গেছে, যা সম্পূর্ণ সাপের প্রজাতির চার ভাগের এক ভাগ। নিচের পরিবারভুক্ত সাপগুলোকে মূলত বিষধর ও আক্রমণাত্মক ধরা হয়। এ পরিবারভুক্ত সাপগুলোই সচরাচর মারাত্মক বিষাক্ত দংশন করার ক্ষমতা রাখে।

পরিবার বিবরণ
অ্যাট্রাক্টাসপিডিডি (অ্যাট্রাক্টাসপিড)
কলুব্রিডি (কলুব্রিড) বেশিরভাগ সাপ ক্ষতিহীন, কিন্তু বাকিগুলো বিষধর। কমপক্ষে পাঁচটি প্রজাতি আছে, যা মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
এলাপিডি (এলাপিড) গোখরা, কোরাল সাপ, ক্রেইটবা চিতি সাপ, মাম্বা, সামুদ্রিক সাপ প্রভৃতি।
ভাইপারিডি (ভাইপারিড) মূল ভাইপারিডি এবং পিট ভাইপার। সেই সাথে র‌্যাটল সাপ

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা