বিশ্ব বন্ধুত্ব দিবস

হলমার্ক কার্ডের প্রতিষ্ঠাতার মাধ্যমে উন্নীত হয়েছিল

বন্ধুত্বের সম্পর্ক এক মানুষকে আরেকজনের সঙ্গে মনের বন্ধনে আবদ্ধ করে। সমমনা লোকেরাই সফলভাবে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে পারেন। এটা আমাদের জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে গড়ে উঠতে পারে। সাধারণত একই বয়স, চিন্তাধারা এবং একই মেজাজের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। অবশ্য বর্তমান দিনে বন্ধুত্ব বয়সের সাথে সম্পর্কযুক্ত নাও হতে পারে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ৩০ জুলাই তারিখটিকে বিশ্ব বন্ধুত্ব দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বন্ধুত্বের সম্পর্ককে খানিকটা আলাদা করে মূল্যায়ন করার জন্যই প্রতি বছর আগস্ট মাসের প্রথম রবিবারে সারা বাংলাদেশে বিশ্ব বন্ধুত্ব দিবস পালন করা হয়।[][]

বিশ্ব বন্ধুত্ব দিবস
আনুষ্ঠানিক নামআন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবস
অন্য নামবন্ধুত্ব দিবস
ধরনঐতিহাসিক
তারিখ৩০ জুলাই (জাতিসংঘ), আগস্টের প্রথম রবিবার
সংঘটনবার্ষিক
সম্পর্কিতবন্ধুত্ব
ভালবাসা

ইতিহাস

সম্পাদনা

বন্ধু দিবস ঘোষণার উত্‍পত্তি বা কারণ ঠিক কী তা সঠিকভাবে বলা মুশকিল। তবে তত্‍কালীন রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা অর্থাৎ‍ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা, বিশৃঙ্খলা ও হিংস্রতা মানুষের মধ্যে অনেকটাই বন্ধ‍ুর অভাব তৈরি করেছিলো বলে অনেকের অভিমত। ফলে রাষ্ট্রীয়ভাবে বন্ধু দিবস পালন করার ধারণা এসেছিল বলে অনেকে মনে করেন।

এক সূত্র অনুযায়ী, বন্ধু দিবসের শুরু হয়েছিলো অনেক আগে। ১৯১৯ সালে আগস্টের প্রথম রোববার বন্ধুরা নিজেদের মধ্যে কার্ড, ফুল, উপহার বিনিময় করতো। ১৯১০ সালে জয়েস হলের প্রতিষ্ঠিত হলমার্ক কার্ড বন্ধু দিবস পালনের রীতিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়েছিলো।[]

আবার জানা যায়, ১৯৩৫ সালে আমেরিকার সরকার এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিল। দিনটি ছিল আগস্টের প্রথম শনিবার। তার প্রতিবাদে পরদিন ওই ব্যক্তির এক বন্ধু আত্মহত্যা করেন। এরপর থেকে জীবনের নানা ক্ষেত্রে বন্ধুদের অবদানের প্রতি সম্মান জানাতে আমেরিকান কংগ্রেসে ১৯৩৫ সালে আগস্টের প্রথম রোববারকে বন্ধু দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।[] সেই থেকেই বন্ধুত্ব দিবস শীঘ্রই এটি খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবস এর রুপ লাভ করে।

১৯৫৮ সালের ২০ জুলাই, 'ওয়ার্ল্ড ফ্রেন্ডশিপ ক্রুসেড (World Friendship Crusade) এর প্রতিষ্ঠাতা “Dr. Ramón Artemio Bracho” বন্ধুদের সঙ্গে প্যারাগুয়ের পুয়ের্তো পিনাসকোতে (নদীর তীরে একটি শহর যা উত্তর Asuncion, Paraguay থেকে প্রায় ২০০ মাইল দূরে অবস্থিত) এক নৈশভোজে এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সে রাতেই এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা পায় এবং ৩০ জুলাই বিশ্বব্যাপী বন্ধু দিবস পালনের জন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব পাঠায়। প্রায় ৫৩ বছর পর, ২০১১ সালের ২৭ জুলাই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ৩০ জুলাইকে “বিশ্ব বন্ধু দিবস” হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।[]

বন্ধু দিবস বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন তারিখে পালন করা হয়। তবে এখনও বাংলাদেশ-ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আগষ্টের প্রথম রোববারই বন্ধু দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। আবার কোনো কোনো দেশে ৮ এপ্রিল বন্ধু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "বিশ্ব বন্ধু দিবস"Gban'S & You (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৭-৩০। ২০২০-১০-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৯ 
  2. "দৈনিক ইত্তেফাক বিশ্ব বন্ধুত্ব দিবস"। ৪ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০১৫ 
  3. "বন্ধু"Gban'S & You (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৮-০২। ২০২০-১০-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৯ 
  4. "ফ্রেন্ডশিপ ডে কবে? বিশ্ব বন্ধুত্ব দিবস কবে থেকে পালন করা হয়?"Gban'S & You (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৬-০১। ২০২০-১০-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৯ 
  5. "ONU aprobó 30 de julio como Día de la Amistad"ultimahora.com (স্পেনীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৯