বিশ্বনাথ চক্রবর্তী
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী (জন্মঃ ১৬৬৪ - মৃত্যুঃ অজ্ঞাত) গৌড়ীয় বৈষ্ণব মতাবলম্বী ও অচিন্ত্যভেদাভেদবাদী ছিলেন।
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী | |
---|---|
জন্ম | ১৬৬৪ দেব গ্রাম, নদীয়া, ভারতীয় উপমহাদেশ |
মৃত্যু | অজ্ঞাত বৃন্দাবন, ভারতীয় উপমহাদেশ |
ছদ্মনাম | হরিবল্লভ দাস |
পেশা | লেখক, টীকাকার |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | শ্রীকৃষ্ণ ভাবনামৃত, মাধুর্যকাদম্বিনী, রাগবর্ত্ম-চন্দ্রিকা, গুণামৃত লহরী, প্রেমসম্পুট, স্বপ্নবিলাসামৃত, অনুরাগবল্লী, রূপচিন্তামণি, সঙ্কল্পকল্পদ্রুম, সুরথকথামৃত গৌরগণচন্দ্রিকা, চমৎকারচন্দ্রিকা |
সংক্ষিপ্ত জীবনী
সম্পাদনাতিনি ১৫৮৬ শকে নদীয়া জেলার দেবগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার পিতার নাম রামনারায়ণ। ১৬৭৯ খ্রীষ্টাব্দ থেকে অন্ততঃ ২৫ বছর তিনি ব্রজধামে বাস করেছেন। বৃন্দাবনে বিশ্বনাথ চক্রবর্তী ধরাধাম ত্যাগ করেন। তার মৃত্যু সাল অজ্ঞাত রয়েছে।
রচনাসমগ্র
সম্পাদনাসংস্কৃত শাস্ত্রে তার প্রগাঢ় ব্যুৎপত্তি ছিল। ১৭০৪ খ্রীষ্টাব্দে সারার্থ-দর্শিনী নামে ভাগবতের একটি টীকার রচনাকার্য সমাপ্ত করেন। এ রচনাকার্য ১৬২৬ শকে সমাপ্ত হয়। এই টীকা গৌড়ীয় সম্প্রদায়ের প্রামাণিক ব্যাখ্যা।
এছাড়া তিনিসারার্থবর্ষিনী নামে ভগবদ্গীতারও একটি টীকা বৃন্দাবনে বসে রচনা করেছিলেন।[১][২] এই টীকা ভক্তিপ্রধান এবং এটি ভক্ত বৈষ্ণবসমাজে সবিশেষ আদরণীয়। বহু সংস্কৃত গ্রন্থ এবং ব্রহ্ম-সংহিতা, চৈতন্যচরিতামৃত, বিদগ্ধ মাধব, গোপালতাপনী, অলংকারকৌস্তুভ প্রভৃতি গ্রন্থের টীকা রচনা করেন। বৈষ্ণব পদাবলী গ্রন্থে তিনি হরিবল্লভ দাস নামে পরিচিত ছিলেন।
তিনি অনেকগুলো সংস্কৃত বৈষ্ণব গ্রন্থও রচনা করেছেন। তন্মধ্যে - শ্রীকৃষ্ণ ভাবনামৃত, মাধুর্যকাদম্বিনী, রাগবর্ত্ম-চন্দ্রিকা, গুণামৃত লহরী, প্রেমসম্পুট, স্বপ্নবিলাসামৃত, অনুরাগবল্লী, রূপচিন্তামণি, সঙ্কল্পকল্পদ্রুম, সুরথকথামৃত গৌরগণচন্দ্রিকা, চমৎকারচন্দ্রিকা উল্লেখযোগ্য।[১]