বিলি বার্নস

ইংরেজ ক্রিকেটার

উইলিয়াম বার্নস (ইংরেজি: Billy Barnes; জন্ম: ২৭ মে, ১৮৫২ - মৃত্যু: ২৪ মার্চ, ১৮৯৯) নটিংহ্যামশায়ারের সাটন-ইন-অ্যাশফিল্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত পেশাদার ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকা পালন করেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। ঘরোয়া কাউন্টি ক্রিকেটে নটিংহ্যামশায়ার ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেন বিলি বার্নস

বিলি বার্নস
বিলি বার্নস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
উইলিয়াম বার্নস
জন্ম(১৮৫২-০৫-২৭)২৭ মে ১৮৫২
সাটন-ইন-অ্যাশফিল্ড, ইংল্যান্ড
মৃত্যু২৪ মার্চ ১৮৯৯(1899-03-24) (বয়স ৪৬)
ম্যান্সফিল্ড, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২১)
৬ সেপ্টেম্বর ১৮৮০ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট১২ আগস্ট ১৮৯০ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৮৭৫–১৮৯৪নটিংহ্যামশায়ার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ২১ ৪৫৯
রানের সংখ্যা ৭২৫ ১৫,৪২৫
ব্যাটিং গড় ২৩.৩৮ ২৩.১৯
১০০/৫০ ১/৫ ২১/৬৯
সর্বোচ্চ রান ১৩৪ ১৬০
বল করেছে ২,২৮৯ ৪২,৪২৮
উইকেট ৫১ ৯০২
বোলিং গড় ১৫.৫৪ ১৭.১২
ইনিংসে ৫ উইকেট ৪৫
ম্যাচে ১০ উইকেট ১০
সেরা বোলিং ৬/২৮ ৮/৬৪
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৯/– ৩৪২/৩
উৎস: ক্রিকইনফো, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

খেলোয়াড়ী জীবন

সম্পাদনা

১৮৭৫ থেকে ১৮৯৪ মেয়াদকালে নটিংহ্যামশায়ার ক্রিকেট ক্লাবের সদস্য ছিলেন তিনি। তার মুখে কোন দাঁত ছিল না ও এর কারণ সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি।

১৮৮০ থেকে ১৮৯০ সময়কালের মধ্যে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করেন। ৬ সেপ্টেম্বর, ১৮৮০ তারিখে লন্ডনের কেনিংটন ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। প্রথম ইনিংসে ২৮ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ রান তোলেন। এছাড়াও উইলিয়াম মোলের উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। খেলায় ইংল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়লাভ করে।[]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি তিনবার অস্ট্রেলিয়া ও একবার উত্তর আমেরিকা সফর করেন। তন্মধ্যে, ১৮৮৬-৮৭ মৌসুমে আলফ্রেড শয়ের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দল অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক পার্সি ম্যাকডোনেলকে ছোঁড়া বল দেয়ালে আঘাত করলে বলটি হারিয়ে যায়। এরফলে এ সফরের বেশ কয়েকটি খেলায় অংশগ্রহণ করা থেকে তাকে বিরত রাখা হয়। ঐ বলটি রেজিনাল্ড উড খুঁজে পান ও তার পরিবর্তে শয়ের একাদশে উডকে তিন খেলায় অংশগ্রহণ করানো হয়েছিল।

১৮৯৫ থেকে ১৮৯৮ সালের মধ্যে লর্ড’স ক্রিকেট গ্রাউন্ডের মাঠ কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এছাড়াও প্রয়োজনে আম্পায়ার হিসেবেও খেলা পরিচালনা করতেন।

ক্রিকেট মৌসুমের অবসর সময়ে ম্যান্সফিল্ড উডহাউজের অ্যাঞ্জেল ইনে জমি দেখাশোনা করতেন বার্নস। সেখানেই মার্চ ১৮৯৯ সালে তার দেহাবসান ঘটে। ১৮৯০ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হন।[]

ব্যক্তিগত জীবন

সম্পাদনা

‘এলিজা’ নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন তিনি। শুধুমাত্র গ্রীষ্মকালেই পেশাদারী পর্যায়ে ক্রিকেট খেলতেন। ১৮৮১ সালের জরীপে তাকে তুলাচাষীরূপে দেখানো হয়। তার ভাই টমাস, ভাইপো জেমস বার্নস - উভয়েই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
পূর্ণাঙ্গ টেস্ট জীবনের বোলিং গড়
চার্লস ম্যারিয়ট (ইংল্যান্ড)
৮.৭২
ফ্রেডরিক মার্টিন (ইংল্যান্ড)
১০.০৭
জর্জ লোহম্যান (ইংল্যান্ড)
১০.৭৫
লরি ন্যাশ (অস্ট্রেলিয়া)
১২.৬০
জন ফেরিস (অস্ট্রেলিয়া/ইংল্যান্ড)
১২.৭০
টম হোরান (অস্ট্রেলিয়া)
১৩.০০
হ্যারি ডিন (ইংল্যান্ড)
১৩.৯০
আলবার্ট ট্রট (অস্ট্রেলিয়া/ইংল্যান্ড)
১৫.০০
মাইক প্রোক্টর (দক্ষিণ আফ্রিকা)
১৫.০২
জ্যাক আইভারসন (অস্ট্রেলিয়া)
১৫.২৩
টম কেন্ডল (অস্ট্রেলিয়া)
১৫.৩৫
অ্যালেক হারউড (অস্ট্রেলিয়া)
১৫.৪৫
বিলি বার্নস (ইংল্যান্ড)
১৫.৫৪
জন ট্রিম (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
১৬.১৬
বিলি বেটস (ইংল্যান্ড)
১৬.৪২

তথ্য: ক্রিকইনফো
যোগ্যতা: পূর্ণাঙ্গ টেস্ট জীবনে কমপক্ষে ১০ উইকেট।
  1. "England v Australia: Only Test, 1880"। cricketweb। ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১৫ 
  2. "Wisden Cricketers of the Year"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০২-২১ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা