বিয়ের ফুল

১৯৯৬ সালের বাংলা রোমান্টিক হাস্যরসাত্মক ফিল্ম

বিয়ের ফুল ১৯৯৬ সালে অবমুক্ত এবং রাম মুখোপাধ্যায় কর্তৃক নির্দেশিত একটি বাংলা মিষ্টি প্রেমের চলচ্চিত্র। এতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়রানী মুখার্জী। আর গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইন্দ্রানী হালদার এবং সব্যসাচী চক্রবর্তী। এই ছবিটি দিয়ে রানী মুখার্জী সিনেমা জগতে অভিষেক করেছিলেন। পরবর্তীকালে, যিনি বলিউডের একজন শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী হয়েছিলেন।[] এই ছবিটি এবং "রাজা কি আয়েগি বারাত" দুটি ছবিই একই সময় গ্যাংটকে শুটিং করা হয়েছিল। "রাজা কি আয়েগি বারাত" ছবিটিও প্রযোজনা করেছিলেন রাজা মুখোপাধ্যায় এবং এই ছবিটি ছিল রানী মুখার্জীর প্রথম হিন্দি ছবি।[][]

বিয়ের ফুল
পরিচালকরাম মুখোপাধ্যায়
প্রযোজকরাজা মুখোপাধ্যায়
উৎসরাম মুখোপাধ্যায়
রাজা মুখোপাধ্যায়
শ্রেষ্ঠাংশেপ্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
রানী মুখার্জী
ইন্দ্রানী হালদার
সব্যসাচী চক্রবর্তী
সুরকারযতীন-ললিত
চিত্রগ্রাহকরাম মুখোপাধ্যায়
সম্পাদকরাজা মুখোপাধ্যায়
পরিবেশকশ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস
মুক্তি১৯৯৬[][]
স্থিতিকাল১৮৩ মিনিট
দেশ ভারত
ভাষাবাংলা

পটভূমি

সম্পাদনা

লিলি ইন্দ্রানী হালদার এবং মিলি রানী মুখার্জী চ্যাটার্জী দুই বোন। লিলি বড় এবং সংযত চরিত্রের এবং তার ছোট বোন মিলিকে খুব যত্ন করে। লিলি তার বন্ধু এবং জেনারেল ম্যানেজার অসিত মুখার্জি সব্যসাচী চক্রবর্তী এর সহায়তায় পারিবারিক ব্যবসা করেন। মিলি এসব থেকে অনেক দূরে, সে একটি নির্ঝঁঝাট তরূণী তার কলেজ এবং পড়াশুনো নিয়ে থাকে। তাদের ঠাকুমা, তারা আদর করে ঠামমা ডাকেন, লিলির বিয়ের স্বপ্ন দেখে। যদিও তার বিয়ের কোনও আগ্রহ নেই এবং সে চায় তার বোন মিলির বিয়ে হোক।

এদিকে, মিলি তার চেয়ে নয় বছরের বড় এক স্থানীয় কলেজের বিখ্যাত সংগীত শিক্ষক অতুনু মুখোপাধ্যায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এর প্রেমে পড়েছে। কয়েকদিন তাকে তেমন চোখে না দেখে অতুনুও মিলির প্রেমে পড়ে। একদিন অসিত দুজনকে এক সাথে দেখে ফেলে এবং মিলি ব্যাখ্যা দেয় যে সে এবং অতুনু প্রেম করে। অসিত প্রতিশ্রুতি দেয় লিলির সাথে মিলির এবং অতুনুর বিয়ের কথা বলবেন। অসিত তার বাবা-মাকে তীর্থযাত্রায় নিয়ে যাওয়ার আগে লিলিকে মিলির সংগীতের শিক্ষক হিসাবে অতুনুকে নিয়োগ করবার জন্য বলেন এবং তিনি যে লিলিকে ভালবাসেন, বিয়ে করতে চান তা লিলি না বুঝলেও তার বাবা- মা এবং ছবির দর্শকরা বুঝতে পারে।

লিলির প্রথমদিন থেকেই অতুনুকে ভালো লাগে এবং যখন একদিন টেলিভিশনে অতুনু তার লেখা গান গাইলেন তিনি আরও বেশি মুগ্ধ হন। মিলি যখন তার কলেজ বান্ধবীদের নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিল তখন ঠামমা জানতে পারে যে লিলি বিয়ের ফুল ফুটেছে। তিনি লিলির মামাকে শহরে ডেকে লিলি এবং অতুনুর বিয়ের ব্যবস্থা করতে বলেন। অতুনুর মা তার ছেলের মিলির সাথে প্রেম করছেন তা জেনে অতুনু এবং লিলির বিয়েতে রাজি হন।

মিলি তার বোনের আসন্ন বিয়ের কথা শুনে খুব আনন্দদিত, বিশেষত সে মনে করে যে এটি তার সাথে অতুনুর বিয়ের পথ পিরস্কার করবে, কিন্তু সে ভেঙ্গে পড়ে যখন সে জানতে পারে যে তার দিদি অতুনুর প্রেমে পড়েছে এবং তার সাথেই অতুনুর বিয়ের হচ্ছে। মিলি ঠিক তার দিদির সুখের জন্য সে তার ভালবাসার বিসর্জন দেবে। সে অতুনুকে তার দিদির সাথে বিয়ে করার জন্য মিনতি করে। অতুনুর মা তাকেও লিলির সাথে বিয়ে করতে বলেন কারণ তিনি ইতোমধ্যে লিলির মামাকে কথা দিয়েছেন। অতুনু অনিচ্ছায় বিয়ে করতে রাজি হয়।

লিলি তার বিবাহের উদযাপনের সময় মিলির দৃষ্টিভঙ্গি এবং মেজাজের মধ্যে সামান্য পার্থক্য লক্ষ্য করেন। বিয়ের দিন, এদিকে লিলি তার বিয়ের প্রস্তুতি করছে আর অন্যদিকে মিলি অতুনুর সাথে তার কাটানোর দিনগুলির স্মৃতিচারণ করছে। লিলিকে যখন পিড়িতে করে বিয়েতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, অসিত উপস্থিত হয়। নববধূকে মিলি বলে বিশ্বাস করে, তার ফিরে আসার অপেক্ষা না করায় তিনি তাকে তিরস্কার করেন। পরে সে দেখে মিলি নয় লিলির সাথে তিনি কথা বলছেন। তখন সে লিলিকে একপাশে নিয়ে যায় এবং তাকে বলে যে মিলি আর অতুনু প্রেম করত এবং তিনি তার সাক্ষী। লিলি সব বুঝতে পারে এবং সে মিলিকে খুঁজে বার করে, কনের সাজে নিয়ে আস্তে তার আত্মীয়দের বলে। ইতোমধ্যে লিলি যখন বলে যে তার বিয়ে করবেন না, তখন মিলি লিলির বিয়ে না করা পর্যন্ত বিয়ে না করার শপথ করে। অসিত হস্তক্ষেপ করে লিলিকে বলে যে সে তার সাথে বিবাহ করতে চেয়েছিল বলে ওঠা হয়নি। অসিতের কথা শুনে লিলি অবাক হয় এবং বিয়ে করতে রাজি হয়। ধুমধাম করে ঠামমা দুই নাতনির বিয়ে দিয়ে দেন।

অভিনয়

সম্পাদনা

মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়রানী মুখার্জী আর গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইন্দ্রানী হালদার, সব্যসাচী চক্রবর্তী এবং অন্যান্য শিল্পীবৃন্দ।

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Archived copy"। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  2. Akhilesh। "Biyer Phool VCD (1996)"। induna.com। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৫ 
  3. "Rani Mukherjee in a Bengali film?"। NDTV। ৮ অক্টোবর ২০১০। ১৭ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৪ 
  4. "Sikkim sojourn"The Telegraph – Calcutta। ২৬ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৪ 
  5. Das, Amit (১ জুলাই ২০০৮)। "I didn't want to join films initially: Rani Mukerji"Hindustan Times। ১৩ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১২