বিভূতিভূষণ বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য

বিভূতিভূষণ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য (পূর্বনাম পারমাদন অভয়ারণ্য) পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার বনগাঁ মহকুমায় অবস্থিত একটি অভয়ারণ্য। অভয়ারণ্যটি বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামাঙ্কিত। এটি কলকাতা শহর থেকে ১০০ কিমি এবং মূল বনগাঁ শহর থেকে ২৫ কিমি দূরে অবস্থিত।

বিভূতিভূষণ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য
বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য
মানচিত্র বিভূতিভূষণ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য অবস্থান দেখাচ্ছে
মানচিত্র বিভূতিভূষণ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য অবস্থান দেখাচ্ছে
অবস্থানউত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
নিকটবর্তী শহরবনগাঁ
স্থানাঙ্ক২৩°১১′১২″ উত্তর ৮৮°৪৬′০৫″ পূর্ব / ২৩.১৮৬৭৩৭° উত্তর ৮৮.৭৬৮১৯৩° পূর্ব / 23.186737; 88.768193

দিক নির্দেশনা

সম্পাদনা

এই অভয়ারণ্য ভ্রমণ করতে হলে আপনাকে বাসে বা ট্রেনে করে প্রথমে আসতে হবে বনগাঁ শহরে। এরপর বনগাঁ থেকে 96/C রুটের বাস ধরে নামবেন নাটাবেড়িয়া বাজারে। সেখান থেকে টোটো করে সহজেই পৌঁছে যেতে পারবেন বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্যে।

জীববৈচিত্র্য

সম্পাদনা
 
বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্যের অভ্যন্তর

এখানে প্রচুর চিত্রা হরিণ দেখা যায়। অভয়ারণ্য তৈরির শুরুতে আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে প্রথমে চারটি চিত্রা হরিণ আনা হয়। ১৯৬৫ সালে সেখানে ৩টি নবজাতকসহ মোট ১৫টি চিত্রা হরিণ ছিল। ১৯৬৬ সালে সেখানে আরো ২৬তি চিত্রা হরিণ অবমুক্ত করা হয়। ধীরে ধীরে হরিণেরা বংশবৃদ্ধি করতে থাকে। ১৯৮৬ সালে সেখানে ২০১টি চিত্রা হরিণ ছিল।[] এর পরে ২০০০ সালের বন্যায় বিপুল সংখ্যক হরিণের মৃত্যু ঘটেছিল। এখানে অনেক দেশীয় প্রজাতির পাখি দেখা যায়।

অন্যান্য আকর্ষণ

সম্পাদনা

অভয়ারণ্য ছাড়াও এই অঞ্চলে আরো বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্যের পাশ দিয়ে বহমান নয়নাভিরাম ইছামতী নদী। ইছামতীর অন্য পারে অর্থাৎ অভয়ারণ্যের বিপরীতে রয়েছে উপজাতি-অধ্যুষিত ছোট্ট গ্রাম মঙ্গলগঞ্জ। নদীর ধারে অবস্থিত মঙ্গলগঞ্জ গ্রামে বিশেষত শীতকালে বিভিন্ন এলাকার ভ্রমণপ্রিয় মানুষ ভিড় জমান । মঙ্গলগঞ্জের পার্ক একটি অসাধারণ পিকনিক স্পট। এছাড়াও এই মঙ্গলগঞ্জে নিলচাষীদের উপর ব্রিটিশদের অবর্ণনীয় অত্যাচারের চিহ্ন ধারণ করে টিকে রয়েছে ধ্বংসপ্রায় নীলকুঠি।

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. কল্যাণ চক্রবর্তী, বিশ্বজিত রায়চৌধুরী, ভারতের বন ও বন্যপ্রাণী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষদ, ফেব্রুয়ারি, ১৯৯১, কলকাতা, পৃষ্ঠা-১২৮-১২৯।