বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার, চট্টগ্রাম
বিভাগীয় সরকারি গণ-গ্রন্থাগার চট্টগ্রাম শহরের কে সি দে সড়কের নন্দনকানন এলাকায় অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি গ্রন্থাগার।
গঠিত | ২০ ডিসেম্বর ১৯৬০[১] |
---|---|
ধরন | সরকারী গ্রন্থাগার |
অবস্থান |
|
ইতিহাস
সম্পাদনাচট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট ১৯৫৯ অধ্যাদেশ অনুযায়ী ১৯৬৩ সালের ২০ ডিসেম্বর স্বল্প পরিসরে এই গ্রন্থাগারের কার্যক্রম শুরু হয়। সরকারি হিসাব অনুযায়ী সে-সময়ে গ্রন্থাগারে গ্রন্থসংখ্যা ছিল প্রায় তিন হাজার এবং দৈনিক পাঠকসংখ্যা ছিল প্রায় গড়ে একশত জন।[২]
পরবর্তীতে ১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সরকার ২৩৮৮.৪৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৪৬ হাজার বর্গফুট জমিতে এই গ্রন্থাগারের চারতলা ভবন নির্মাণ করে। ১৯৮৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভবনটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।[১][২]
সংগ্রহ
সম্পাদনাবর্তমানে চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট হল ও সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় গ্রন্থাগারটিও পুনরায় তৈরি করা হচ্ছে। এর আগ পর্যন্ত পুরনো ভবনের গ্রন্থাগারে চারটি পাঠকক্ষ ছিলো এবং নিচ তলায় ছিলো এর প্রশাসনিক এলাকা। দ্বিতীয় তলায় শিশু-কিশোরদের আলাদা পাঠকক্ষ এবং সে উপযোগী বিভিন্ন দেশী-বিদেশী বই। তৃতীয় তলায় ছিলো বিজ্ঞান এবং বাণিজ্য বিষয়ক দেশী-বিদেশী বই ও পত্র পত্রিকা এবং রেফারেন্স। চতুর্থ তলায় সাধারণ পাঠকক্ষ, যেখানে ছিলো ইতিহাস, সংস্কৃতি, সাহিত্য, ক্রীড়া, ধর্ম ইত্যাদি বিষয়ক বিভিন্ন বই। গ্রন্থাগারে প্রায় পঞ্চাশ হাজারের অধিক দেশী-বিদেশী বইয়ের সংগ্রহ ছিল।[২]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "এক নজরে বিভাগীয় গণগ্রন্থাগার - চট্টগ্রাম"। publiclibrary.chittagong.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২।
- ↑ ক খ গ মোহাম্মদ খালেদ, সম্পাদক (নভেম্বর ১৯৯৫)। "নগর-জীবন"। হাজার বছরের চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম: এম এ মালেক (দৈনিক আজাদী)। পৃষ্ঠা ৩০৯।