বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়
বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলায় অবস্থিত একটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি টাঙ্গাইল সদরে ১৮৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৬ সালে বিদ্যালয়টি বাংলাদেশের সেরা উচ্চ বিদ্যালয় হবার খেতাব অর্জন করে। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রদের শিক্ষা দেয়া হয়।
বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় | |
---|---|
ঠিকানা | |
কাজী নজরুল ইসলাম সরণি, নিরালা মোড় , ১৯০০ | |
স্থানাঙ্ক | ২৪°১৫′০২″ উত্তর ৮৯°৫৪′৪৯″ পূর্ব / ২৪.২৫০৬৮° উত্তর ৮৯.৯১৩৪৭৯° পূর্ব |
তথ্য | |
ধরন | সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় |
নীতিবাক্য | শিক্ষাই আলো |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৮৮০ |
ইআইআইএন | ১১৪৬৮০ |
বিদ্যালয়ের প্রধান | মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মিঞা (ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক) |
কর্মকর্তা | ১০ |
অনুষদ | ৭০ |
শিক্ষকমণ্ডলী | ৫২ |
শ্রেণি | ৬ষ্ঠ-১০ম |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ১৮০০ |
ভাষা | বাংলা |
অ্যাথলেটিক্স | ক্রিকেট, ফুটবল, হ্যান্ডবল, কাবাডি, ব্যাডমিন্টন, হকি |
ওয়েবসাইট | www |
ইতিহাস
সম্পাদনা৩ এপ্রিল ১৮৮০ সালে কয়েকজন শিক্ষানুরাগী ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী টাঙ্গাইলের একটি সাধারণ বিদ্যালয়কে উচ্চ বিদায়লয়ে উন্নীত করেন। সেই সময় ময়মনসিংহ জেলার জেলা প্রশাসক গ্রাহাম-এর নামে এর নামকরণ করা হয় গ্রাহাম ইংলিশ হাই স্কুল। পাঁচ বছর বিদ্যালয়টি অর্থ সমস্যার ভেতর দিয়ে পরিচালিত হবার পর আর্থিক সুবিধার জন্য টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর জমিদার নবাব বাহাদুর নওয়াব আলী চৌধুরী কাছে বিদ্যালয়টি দেয়া হয়। জমিদার দুই বছর বিদ্যালয়ের পরিচালনার ব্যয়ভার বহন করেন।
১৮৮৭ সালে টাঙ্গাইলের সন্তোষের ভূম্যধিকারিণী বিন্দুবাসিনী রায় চৌধুরানী বিদ্যালয়টি পরিচালনার ব্যয়ভার নেন।[১] তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিদ্যালয়ের নাম তার নামনুসারে নামকরণ করা হয়। ১৯১০ সাল পর্যন্ত তিনি এ বিদ্যালয়ের ব্যয়ভার বহন করেন। একই বছর তিনি একটি ট্রাস্ট গঠন করেন ও ট্রাস্ট সম্পত্তি আকারে তা সরকারের কাছে দেয়া হয়। এরপর বিদ্যালয়টি সরকারি অর্থ সহায়তায় পরিচালিত হয়। বিন্দুবাসিনী রায় চৌধুরানীর মৃত্যুর পর তার দুই ছেলে জমিদার প্রমথ নাথ রায় চৌধুরী ও মন্মথ নাথ রায় চৌধুরী বিদ্যালয়ের স্থান, উদ্যান, নিউ মার্কেটসহ ছাত্রাবাস ও স্টেডিয়াম সংলগ্ন পুকুরের জায়গা বিদ্যালয়ের নামে দান করেন এবং বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করেন। ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭০ সালে বিদ্যালয়টিকে জাতীয়করণ করা হয়। ১৯৯১ সালে বিদ্যালয়ে দ্বৈত শিফট চালু করা হয়।
উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী
সম্পাদনা- মান্না, বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও চলচ্চিত্র সংগঠক।
- আবু সাঈদ চৌধুরী, বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি।
- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলা কথা সাহিত্যিক
- মির্জা নূরুল হুদা, বাংলাদেশের একজন অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর, বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী ও উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।
- দেবেশ ভট্টাচার্য, তিনি বাংলাদেশ হাইকোর্ট ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "একনজরে বিন্দুবাসিনী স্কুল"। bindubashinigovboysschool.edu.bd। ৫ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৯।
বাংলাদেশের বিদ্যালয় বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |