বিনোদ বিহারী মাহাত
বিনোদ বিহারী মাহাতো (২৩ সেপ্টেম্বর ১৯২৩- ১৮ ডিসেম্বর ১৯৯১) একজন আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি ১৯৭২ সালে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা দলের প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ঝাড়খণ্ড পৃথক রাজ্য প্রতিষ্ঠা, কুুড়মালি ভাষা-সংস্কৃতি, সমাজ আন্দোলনের একজন মহান নেতা ছিলেন। তিনি ১৯৮০, ১৯৮৫ এবং ১৯৯০ সালে তিনবার বিহার বিধানসভার সদস্য এবং ১৯৯১ সালে গিরিডিহ থেকে লোকসভা এর সদস্য ছিলেন।[১][২][৩][৪][৫]
বিনোদ বিহারী মাহাত | |
---|---|
ভারতীয় সংসদ গিরিডিহ এর সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৯১ – ১৯৯১ | |
পূর্বসূরী | রামদাস সিং |
উত্তরসূরী | রবীন্দ্র কুমার পান্ডে |
সংসদীয় এলাকা | গিরিডিহ |
স্টেট লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি এর সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৯১ – ১৯৯০ | |
সংসদীয় এলাকা | টুন্ডি |
স্টেট লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি এর সদস্য সিন্দরি | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮৫ – ১৯৯০ | |
সংসদীয় এলাকা | সিন্দরি |
স্টেট লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি এর সদস্য টুন্ডি | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮০ – ১৯৮৫ | |
সংসদীয় এলাকা | টুন্ডি |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯২৩ বড়াদাহা, বালিয়াপুর, ধানবাদ জেলা, বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশ (বর্তমানে ঝাড়খণ্ড), ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু | ১৮ ডিসেম্বর ১৯৯১ (আগে ৬৭) দিল্লি |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
রাজনৈতিক দল | |
দাম্পত্য সঙ্গী | ফুলমনি মাহাত |
সন্তান |
|
পিতামাতা | মহেন্দ্র মাহাত (বাবা), মন্দাকিনী মাহাত (মা) |
আত্মীয়স্বজন | শ্রীনাথ মাহাত (ভাই) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | রাঁচি কলেজ, ল কলেজ পাটনা |
জীবিকা |
|
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাবিনোদ বিহারী মাহাতো ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯২৩ সালে ধানবাদ জেলার বালিয়াপুর বিভাগের বাড়েদিহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মহেন্দ্র মাহাত এবং মা মন্দাকিনী দেবী। তিনি কুড়মি সমাজে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন কৃষক। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে বিনোদ বাবু ছিলেন সবার বড়ো। তাই তার ওপর আরো বেশি দায়িত্ব ছিল। তখন গ্রামে লেখা-পড়ার তেমন প্রচলন ছিল না। যেখানে দারিদ্র্যে বাচ্চারা পড়ালেখা থেকে পালিয়ে বেড়ায়, সেখানে বিনোদ বাবু পায়ে হেঁটে গ্রাম থেকে ৪-৫ কিমি দূরে বালিয়াপুর সরকারি স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা নেন, তার পড়াশোনার ইচ্ছা এমন ছিল যে তিনি মিডল এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা যথাক্রমে DAV ঝরিয়া এবং ধানবাদ হাইস্কুল থেকে গ্রহণ করেন। যা তার বাড়ি থেকে ২০-২২ কিমি দূরে এবং এই দূরত্ব তিনি কখনো সাইকেলে, কখনো পায়ে হেঁটে অতিক্রম করতেন। স্কুলে পড়ার সময় বাড়িতে আর্থিক সমস্যা থাকায় তাকে বারবার পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়েছিল। গৃহস্থালির কাজেও তাকে সাহায্য করতে হতো। তার মা সবজি বিক্রি করে বিনোদ বাবুকে পড়াশোনায় সাহায্য করতেন। অবশেষে ১৯৪১ সালে ঢাঙ্গীতে মাসীর বাড়িতে থাকার সময় তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন।[৬]
কর্মজীবন
সম্পাদনাপারিবারিক দারিদ্র্যের কারণে তিনি লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে ধানবাদ আদালতে পারিবারিক খরচ মেটাতে দিনমজুর হিসেবে লেখালেখি শুরু করেন। কাজে তার সাফল্য দেখে ধানবাদ কোর্টে তিনি কেরানির চাকরি পান। পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হতে থাকে এবং তাদের দৈনন্দিন জীবনও ভালো চলতে থাকে। কিন্তু এর মধ্যে কাজ করার সময় একজন আইনজীবী তাকে বলেছিলেন যে “তুমি যতই স্মার্ট বা বুদ্ধিমান হও না কেন, তুমি একজন কেরানিই থাকবে। সাবধানে কথা বলো !”এই বিষয়টি তাঁর আত্মসম্মানে লাগে এবং তিনি আইনজীবী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তারপর তিনি ধানবাদের পিকে রাই মেমোরিয়াল কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পড়াশোনা করেন। রাঁচি কলেজ রাঁচি থেকে স্নাতক এবং পাটনার ল কলেজ থেকে আইন অধ্যয়ন করেছেন। তিনি ১৯৫০ সালে আইন ডিগ্রি লাভ করেন। এভাবে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে পড়াশোনা শেষ করেন। ১৯৫৬ সালে, তিনি ধানবাদে আইনজীবী হিসাবে অনুশীলন শুরু করেন। ধানবাদ ও বোকারোতে বিসিসিএল, সেল স্টিল প্ল্যান্ট এবং ডিভিসি দ্বারা বাস্তুচ্যুত স্থানীয় লোকদের জন্য আইনি লড়াই লড়েছেন এবং তাদের অধিকার আদায় করে অঞ্চলে সুনাম অর্জন করেছেন।[৬]
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাবিনোদ বিহারী মাহাতো ১৯৫২ সালের নির্বাচনে ঝরিয়ায় নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হন। ১৯৬৭ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি বিভক্ত হয়ে যায়। তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্ক্সবাদী) সদস্য ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির টিকিটে ধানবাদ লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় হন। ১৯৮৯ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি টুণ্ডির প্রতিনিধিত্বকারী বিধানসভার সদস্য ছিলেন। ১৯৯০ সালে তিনি সিন্দরী ও টুণ্ডির প্রতিনিধিত্ব করে বিধানসভার সদস্য হন। ১৯৯১ সালের মে মাসে তিনি গিরিডিহ থেকে লোকসভার সদস্য হন।[৫] বিনোদ বাবু ২৫ বছর কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন, তিনি সর্বভারতীয় দলের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলেন। তিনি মনে করেছিলেন কংগ্রেস ও জনসংঘ সামন্তবাদী ও পুঁজিবাদী দলগুলো মানুষের জন্য নয়। তাই দলিত ও অনগ্রসর জাতির জন্য এসব দলে থেকে দলিত ও পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য লড়াই করা কঠিন হবে। এই সবকিছু চিন্তা মাথায় রেখে, বিনোদ বাবু ১৯৭২ সালে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (JMM) গঠন করেন। 'বিনোদ বিহারী মাহাতো' JMM পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি হন এবং 'শিবু সোরেন' ১৯৭৩ সালে সম্পাদক হন। JMM এর ব্যানারে শুরু হয়েছিল ঝাড়খণ্ড মহা আন্দোলন।[৪][৫][৭]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাতিনি ফুলমণি মাহাতোকে বিয়ে করেন। তাদের পাঁচ পুত্র ছিল, রাজ কিশোর মাহাত, নীল কমল মাহাত, চন্দ্র শেখর মাহাত, প্রদীপ কুমার মাহাত, অশোক কুমার মাহাত, এবং দুই কন্যা, চন্দ্রাবতী মাহাত এবং তারাবতী মাহাত।[৫]
সামাজিক সংস্কার
সম্পাদনা১৯৫৬ সালে আইনজীবী পেশা শুরু করার পর এ বিষয়ে অনেক কুড়মির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। কুড়মিরা ছিল মূলত কৃষক; যারা সরল এবং সহজে অন্যদের দ্বারা প্রভাবিত হতো, সমাজে শিক্ষার অভাব ছিল। কুড়মিদের নিজস্ব আচার-অনুষ্ঠান ও সংস্কৃতি ছিল। ঐতিহ্যগতভাবে, কুড়মিরা তাদের নিজস্ব আচার পালন করত। তখন কুড়মি সংস্কৃতিতে বিদেশী মতাদর্শ প্রবেশ করছিল। কুড়মি সমাজে কিছু নতুন প্রথা শুরু হয়েছিল যেমন যৌতুক নেওয়া ইত্যাদি যা আগে কুড়মি সংস্কৃতিতে ছিল না। কুড়মি সমাজে মদ্যপান বাড়তে থাকে। কুড়মি সমাজে সমস্যা বাড়তে থাকে, এসব সমস্যার সমাধানে বিনোদ বাবু ১৯৭০ সালে কুড়মি জাতিকে সংগঠিত করে "শিবাজী সমাজ" নামক সংগঠন তৈরি করেন। কুড়মি এবং অন্যান্য অনেক দরিদ্র শ্রেণীকে মহাজনদের হাত থেকে বাঁচাতে এবং সামাজিক কুপ্রথার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য, তিনি যৌতুক প্রথা, বাল্য বিবাহ এবং এক স্ত্রী থাকাকালীন দ্বিতীয় বিবাহের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। এসব সমস্যার সমাধান ও দোষীদের শাস্তির জন্য বহু বৈঠক হয়েছে। বিনোদ বাবু সামাজিক সচেতনতার জন্য অনেক সমাবেশ করেছেন। এরকমভাবেই সমাজে ক্রমবর্ধমান অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন বিনোদ বাবু। সময়ের সাথে সাথে, বিভিন্ন জাতির সামাজিক আন্দোলনগুলি ঝাড়খণ্ড আন্দোলনের মেরুদণ্ড হয়ে ওঠে। তারপর সমস্ত জাতির সামাজিক সংগঠন একীভূত হয়ে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।[৬]
সংস্কৃতি এবং খেলাধুলা
সম্পাদনাবিনোদ বিহারী মাহাত একজন ভাষা-সংস্কৃতি, ক্রীড়া সংস্কৃতি প্রেমী ছিলেন। তিনি সর্বদা ছোটনাগপুরের গান, উৎসব ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার চেষ্টা করতেন। গানের প্রচারের জন্য তিনি প্রতিযোগিতার আয়োজন করতেন এবং টুসু পরব, সোহরাই - বাঁদনা, গোহাইল পূজা, জিতিয়া, করম এবং মনসা পূজায় অংশগ্রহণ করতেন। তিনি ঝাড়খণ্ডের ভাষা, বিশেষ করে কুড়মালি ভাষার প্রচারে কাজ করেছিলেন। লক্ষ্মীকান্ত মুতরুয়ার ও ভগবানদাস মাহাতোর মতো কুড়মালি পণ্ডিত ও লেখকদের তিনি উৎসাহিত করতেন। তাঁর প্রচেষ্টায় রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়ে কুড়মালি ভাষার অধ্যয়ন শুরু হয়। বিনোদ বাবুর প্রিয় খেলা ছিল ফুটবল। ফুটবল খেলোয়াড়দের ফুটবল ও জার্সি দিয়ে উৎসাহ দিতেন।[৬]
শিক্ষা
সম্পাদনাবিনোদ বিহারী মাহাত শিক্ষা বিস্তারের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। তিনি গ্রামে গ্রামে স্লোগান দেন "পড়ো এবং লড়ো" এছাড়াও তিনি ৩২টা স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ও অনেক স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য অর্থ দান করেন। বিনোদ বাবু ১৮ ডিসেম্বর ১৯৯১ সালে দেশের রাজধানী নয়াদিল্লির সংসদ ভবনের কাছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। দিল্লি থেকে ঝাড়খণ্ডে (বিহার) এই খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঝাড়খণ্ড জুড়ে শোকের ঢেউ বয়ে যায়। তার মৃতদেহ দিল্লি থেকে বিমানযোগে বোকারো এয়ারপোর্টে আনা হয় এবং তারপর তার পৈতৃক বাড়িতে আনা হয়। বিনোদ বাবুর ভক্তরা তার শেষ দর্শনের জন্য বোকারো থেকে বলিয়াপুর পর্যন্ত লক্ষাধিক ছুটে এসেছিলেন। তারপর তাঁর ছেলে রাজকিশোর মাহাতো বলিয়াপুরের বি.বি.এম কলেজে অবস্থিত বিনোদ ধামে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। বিনোদবাবুর মৃত্যুতে গোটা ঝাড়খণ্ড অবশ্যই শোকাহত হয়েছিল, কিন্তু তাঁর জীবন লক্ষ লক্ষ ঝাড়খণ্ডিদের প্রেরণা হয়ে ওঠে এবং যুব সমাজকে ঝাড়খণ্ড আন্দোলনে অংশ নিতে অনুপ্রাণিত করে। ফলস্বরূপ, ঝাড়খণ্ড আন্দোলন তীব্রতর হয় এবং বিশাল আকার ধারণ করে। অবশেষে, ঝাড়খণ্ড পিতামহ বিনোদ বিহারী মাহাতোর আদর্শ অনুসরণ করে, অনেক সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের পর, ১৫ নভেম্বর ২০০০ সালে ঝাড়খণ্ড রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর ১৮ ডিসেম্বর, তার স্মরণে বিনোদ ধামে গিয়ে মানুষের মাল্যার্পণ এবং ধানবাদে বিনোদ মেলার আয়োজন ও সমগ্র ঝাড়খণ্ড সহ পশ্চিমবঙ্গ উড়িষ্যার বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে বিনোদ বাবুর অনুগামীরা তাঁকে স্মরণ করে।[৫][৬][৮]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Saffron Munda loves everything green – BJP cries neglect as chief minister warms up to old JMM associates"। The Telegraph। Kolkota।
- ↑ "झारखंड आंदोलन के जनक बिनोद बिहारी को पुण्यतिथि पर श्रद्धांजलि के लिए जुटे लोग"। livehindustan।
- ↑ "बिनोद बिहारी महतो ने दिया "पढ़ो और लड़ो" का मूलमंत्र"। akhandbharatnews। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- ↑ ক খ Tillin, Louise (২০১৩-১০-০১)। Remapping India: New States and their Political Origins (ইংরেজি ভাষায়)। Hurst Publishers। আইএসবিএন 978-1-84904-229-1।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Mehta, Rajkishore। Jharkhand Andolan Ke Masiha : Binod Bihari Mehato। আইএসবিএন 9788128801235।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Mehato, Raj Kishore (১৬ জুন ২০১৭)। झारखण्ड आंदोलन के मसीहा बिनोद बिहारी महतो : Jharkhand Andolan Ke Masiha Binod Bihari Mahato। আইএসবিএন 9789352780822।
- ↑ Prakash, Amit (২০০১)। Jharkhand: Politics of Development and Identity (ইংরেজি ভাষায়)। Orient Blackswan। আইএসবিএন 978-81-250-1899-5।
- ↑ "Dhanbad: पढ़ो और लड़ो का नारा देकर अमर हो गए शिक्षाविद बिनोद बिहारी महतो, अलग झारखंड राज्य आंदोलन को मुकाम तक पहुंचाया"। Jagran.com। ২০২২-০৭-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১০।