বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন
বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন বা তড়িৎ শক্তি উৎপাদন বা সংক্ষেপে বিদ্যুৎ উৎপাদন বা তড়িৎ উৎপাদন হচ্ছে অন্য কোন প্রাথমিক শক্তির উৎস থেকে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করা।
ব্রিটিশ বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডে ১৮২০ থেকে ১৮৩০ এর দশকে প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদনের বুনিয়াদী তত্ত্ব আবিষ্কার করেন। তাঁর আবিস্কৃত সেই প্রাথমিক তত্ত্বের উপরে ভিত্তি করেই আজো বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়ে আসছে - চৌম্বকক্ষেত্রের মধ্যে তারের কুন্ডলী বা তামার পাতের ঘূর্ণনের মাধ্যমে[১]।
বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদন হলো বিদ্যুৎ ব্যবহারের সবচেয়ে প্রথম ধাপ। যেহেতু প্রকৃতিতে স্বাভাবিক উপায়ে বিদ্যুৎশক্তি পাওয়া যায় না, তাই একে ব্যবহার করতে হলে প্রথমে অন্যকোন সহজলভ্য শক্তিকে বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তরিত করে নিতে হবে। অন্যান্য ধাপগুলো হচ্ছে বিদ্যুৎ শক্তি সঞ্চারণ, বিদ্যুৎ শক্তি বিতরণ এবং বিদ্যুৎ শক্তি সঞ্চয়।
সাধারণতঃ বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন কেন্দ্রে বৈদ্যুতিক জেনারেটরের সাহায্যে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদিত হয়। এই জেনারেটরগুলির তাপ ইঞ্জিনে ফসিল জ্বালানী বা নিউক্লীয় ফিশন বিক্রিয়া ব্যবহৃত হয়। অনেক ক্ষেত্রে প্রবহমান জলধারা বা বায়ুর সঞ্চিত গতিশক্তিকেও বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত অন্যান্য উৎসের মধ্যে রয়েছে সৌর শক্তি এবং ভূ-গর্ভে সঞ্চিত তাপ শক্তি।