বিজু

চাকমা আদিবাসী সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান আনন্দ-উৎসব

বিজু চাকমা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান আনন্দ-উৎসব। বাংলা বছরের শেষ দুই দিন ও নববর্ষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়।[][]

১২ এপ্রিল পালন করা হয় ফুলবিজু। এই দিন ভোরের আলো ফুটার আগেই ছেলেমেয়েরা বেরিয়ে পড়ে ফুল সংগ্রহের জন্য। সংগ্রহিত ফুলের একভাগ দিয়ে বুদ্ধকে পূজা করা হয় আর অন্যভাগ জলেতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। বাকি ফুলগুলো দিয়ে ঘরবাড়ি সাজানো হয়।চৈত্র মাসের শেষ দিন অর্থাৎ‍ ১৩ এপ্রিল পালন করা হয় মুলবিজু। এইদিন সকালে বুদ্ধমূর্তি স্নান করিয়ে পূজা করা হয়। ছেলেমেয়েরা তাদের বৃদ্ধ ঠাকুরদা-ঠাকুমা এবং দাদু-দিদাকে স্নান করায় এবং আশীর্বাদ নেয়। এই দিনে ঘরে ঘরে পোলাও পায়েস পাচন (বিভিন্ন রকমের সবজির মিশ্রণে তৈরি এক ধরনের তরকারি) সহ অনেক ধরনের সুস্বাদু খাবার রান্না করা হয়। বন্ধুবান্ধব আত্নীয়স্বজন বেড়াতে আসে ঘরে ঘরে এবং এসব খাবার দিয়ে তাদেরকে আপ্যায়ন করা হয়। সারাদিন রাত ধরে চলে ঘুরাঘুরি। বাংলা নববর্ষের ১ম দিন অর্থাৎ‍ ১৪ এপ্রিল পালন করা হয় গজ্যা পজ্যা দিন (গড়িয়ে পড়ার দিন)। এই দিনেও বিজুর আমেজ থাকে।[][]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "বৈসাবিতে বিঝু ফুলের কদর"parbattanews (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৪-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-২৮ 
  2. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "পাহাড়ে বিঝু উৎসব ও শান্তির অন্বেষা"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-২৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. BonikBarta। "বিজু উৎসবের সাতকাহন"বিজু উৎসবের সাতকাহন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-২৮ 
  4. থেকে, মো ইব্রাহিম শেখ, খাগড়াছড়ি। "খাগড়াছড়িতে বৈসু, সাংগ্রাই ও বিঝু উৎসব শুরু"DailyInqilabOnline (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-২৮