বিচি কলা

উদ্ভিদের প্রজাতি

মুসা বালবিসিয়ানা, যা সহজভাবে প্লান্টেন নামেও পরিচিত, কলার একটি বন্য ধরনের প্রজাতি। এটি মুসা একুমিনাটা সহ আধুনিক চাষকৃত কলার পূর্বপুরুষদের মধ্যে একটি।

বিচি কলা
বিচি কলা গাছ
The fruit of M. balbisiana, showing numerous seeds
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস সম্পাদনা করুন
জগৎ/রাজ্য: প্লান্টি (Plante)
গোষ্ঠী: ট্র্যাকিওফাইট (Tracheophytes)
ক্লেড: সপুষ্পক উদ্ভিদ (অ্যাঞ্জিওস্পার্মস)
গোষ্ঠী: মনোকট্‌স (Monocots)
গোষ্ঠী: Commelinids
বর্গ: Zingiberales
পরিবার: Musaceae
গণ: Musa
Section: Musa sect. Musa
Colla 1820
প্রজাতি: টেমপ্লেট:শ্রেণীবিন্যাসবিদ্যা/মুসাম বালবিসিয়ানা
দ্বিপদী নাম
টেমপ্লেট:শ্রেণীবিন্যাসবিদ্যা/মুসাম বালবিসিয়ানা
Colla 1820
আধুনিক ভোজ্য কলার পূর্বপুরুষদের আদি প্রকৃতিগত ব্যাপ্তি: মুসা একুমিনাটা কে সবুজ এবং মুসা বালবিসিয়ানাকে কমলা রঙে দেখানো হয়েছে।[]
প্রতিশব্দ[]
  • M. bakeri Hook.f.
  • M. brachycarpa Backer
  • M. dechangensis J.L.Liu & M.G.Liu
  • M. liukiuensis (Matsum.) Makino ex Kuroiwa
  • M. × paradisiaca var. granulosa G.Forst.
  • M. pruinosa (King ex Baker) Burkill
  • M. × sapientum var. pruinosa (King ex Baker) A.M.Cowan & Cowan

কলা প্রজাতির বিভিন্ন জাতের মধ্যে বিচি কলা সবচাইতে বড় এবং ওজনে বেশী। এটি অন্য কলার চাইতে মিষ্টি বেশী; কিন্তু বীচিবহুল। বীচির কারণে অনেকেই এই কলা পছন্দ করে না। কিন্তু দরিদ্রদের মধ্যে এটি খুবই প্রচলিত। মায়েরা পাকা কলা চটকিয়ে চালনিতে চেলে বীচি ছাড়িয়ে শিশুকে খাওয়ায়। লক্ষ্য করা যায়, দুধপোষ্য শিশুর চাইতে কলা খাওয়া শিশুদের স্বাস্থ্য কোন অংশেই কম নয়।

বিচি কলা বা বাইশ্যা কলাসহ গাছ

কোথায় জন্মে

সম্পাদনা

গৃহস্থের বাড়ির আঙ্গিনায় সারি সারি যে কলাগাছ শোভা বর্ধন করে থাকে তার অধিকাংশই বিচি কলা বা বাইশ্যা কলার গাছ। প্রচলিত আছে, "কাঁদিতে বাইশ হালি কলা, ধরে বলে এর নাম বাইশ্যা কলা"। এ কলার চারা একবার রোপণ করলে বংশ পরম্পরায় ভিটের জমি ও সড়কের দু’পাশ আঁকড়ে থাকে। কোন প্রকার সেবা পরিচর্যা ছাড়াই বারো মাস ফল দেয়।

খাওয়ার প্রক্রিয়া

সম্পাদনা

বিখ্যাত কলার পিঠা বাইশ্যা কলার রস থেকে তৈরি হয়ে থাকে। দুধ- ভাতের সাথে এই কলা বিশেষ স্বাদ – গন্ধ আনে বলে অনেক গৃহস্থের বাড়িতে এটির বিশেষ কদর রয়েছে। এই কলার মোচা বা থোড় তরকারি রান্নায় সুস্বাদু। দরিদ্র শিশুদের মধ্যে কলা তেতুলে ভর্তা করে খাবার প্রচলন দেখা যায়।

ব্যবহার

সম্পাদনা

এক সময় গৃহস্থের বাড়িতে এ কলা গাছের খোল রোদে শুকিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ক্ষার তৈরি করা হতো। এই ক্ষার দিয়েই প্রতিমাসের কাপড়-চোপড় ধোয়া হতো। বিভিন্ন পার্বণে কলার পাতা ও খোলে দাওয়াত খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। শুকনো কলার পাতা দিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় বেড়া দেয়ার প্রচলন এখনও গ্রামাঞ্চলে দেখা যায়।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Allen, R. (২০১৯)। "Musa balbisiana"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা (ইংরেজি ভাষায়)। আইইউসিএন2019: e.T111907032A111907034। ডিওআই:10.2305/IUCN.UK.2019-3.RLTS.T111907032A111907034.en । সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০২১ 
  2. Edmond de Langhe & Pierre de Maret (২০০৪)। "Tracking the banana: its significance in early agriculture"। Jon G. Hather। The Prehistory of Food: Appetites for Change। Routledge। পৃষ্ঠা 372। আইএসবিএন 978-0-203-20338-5 
  3. "Build checklist for Musa"World Checklist of Selected Plant Families। Royal Botanic Gardens, Kew। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০১-২২ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা