বিএনএফডি সুন্দরবন
বাংলাদেশ নৌবাহিনী ফ্লোটিং ড্রাইডক (সংক্ষেপেঃ বিএনএফডি) সুন্দরবন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি ভাসমান ড্রাইডক। এই জাহাজটি এবং জাহাজের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিক এবং অন্যান্য সদস্য নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজসহ সামরিক সরঞ্জামাদি ও সাবমেরিনের সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত এবং আধুনিকায়নের জন্য বিএন ডকইয়ার্ড সর্বোচ্চ দেশপ্রেম ও পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শন করে চলেছে। ইতোমধ্যে ফ্লোটিং ড্রাইডক বিএনএফডি সুন্দরবন যাত্রা শুরুর পর হতে দেশি-বিদেশী ৭০৭টি বাণিজ্যিক জাহাজ ও যুদ্ধজাহাজের সফল ডকিং ও রক্ষণাবেক্ষণ সম্পন্ন করেছে।[১][২][৩][৪][৫]
ইতিহাস | |
---|---|
বাংলাদেশ | |
নাম: | বিএনএফডি সুন্দরবন |
নির্মাতা: | শিপইয়ার্ড জোজো লোজোভিনা-মোসর (টিটো শিপইয়ার্ড), ট্রোগির, ক্রোয়েশিয়া |
কমিশন লাভ: | ১৫ আগস্ট, ১৯৮০ |
মাতৃ বন্দর: | চট্টগ্রাম |
শনাক্তকরণ: | এ৭১১ |
অবস্থা: | সক্রিয় |
সাধারণ বৈশিষ্ট্য | |
প্রকার ও শ্রেণী: | সুন্দরবন-শ্রেণীর ভাসমান ড্রাইডক |
দৈর্ঘ্য: | ১১৭ মিটার (৩৮৪ ফু) |
প্রস্থ: | ২৭.৬ মিটার (৯১ ফু) |
গভীরতা: | ০.৩ মিটার (০.৯৮ ফু) |
লোকবল: | ৮৫ জন |
ইতিহাস
সম্পাদনাসশস্ত্র বাহিনীর জন্য গৃহীত দীর্ঘমেয়াদী আধুনিকায়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার দেশীয় ভাবে নৌবাহিনীর সকল যুদ্ধজাহাজের রক্ষণাবেক্ষণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সে অনুযায়ী শিপইয়ার্ড জোজো লোজোভিনা-মোসর (টিটো শিপইয়ার্ড), ট্রোগির, ক্রোয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য ভাসমান ড্রাইডক জাহাজ সংগ্রহের পদক্ষেপ নেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৫ আগস্ট, ১৯৮০ সালে বিএনএফডি সুন্দরবন নামে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে।
বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো
সম্পাদনাবিএনএফডি সুন্দরবন জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১১৭ মিটার (৩৮৪ ফু), প্রস্থ ২৭.৬ মিটার (৯১ ফু) এবং গভীরতা ০.৩ মিটার (০.৯৮ ফু)। জাহাজটির সর্বোচ্চ উত্তোলন ক্ষমতা ৩,৫০০ টন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "BNFD Sundarban, Commodore Superintendent Dockyard" (ইংরেজি ভাষায়)। ২৪ জুন ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২২।
- ↑ "History of Commodore Superintendent Dockyard"। Commodore Superintendent Dockyard। ২০২১-১১-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-৩০।
- ↑ "মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নেভাল একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স এর উদ্বোধন এবং বিএন ডকইয়ার্ডকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান"। আইএসপিআর। ২০২২-১১-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-১৪।
- ↑ "Экспортные корабли и суда Югославии и Хорватии"। navyworld.narod.ru। ২০২২-১১-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-১৪।
- ↑ "BaNS A711"। www.shipspotting.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-২৬।