বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসা

বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসা বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আলিয়া মাদ্রাসা। সংক্ষেপে এটি বায়তুশ শরফ মাদ্রাসা নামে পরিচিত। মাদ্রাসাটি ১৯৮২ সালে শাহ সুফি আব্দুল জব্বার রহ. প্রতিষ্ঠা করেন। মাদ্রাসাটির অবস্থান চট্টগ্রাম শহরের ডাবলমুরিং থানার অন্তর্গত ধনিয়ালাপাড়া গ্রামে। এই মাদ্রাসা ২০১৯ সালে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করে।[]

বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসা
বায়তুশ শরফ মাদ্রাসা
ধরনআলিয়া মাদ্রাসা।
স্থাপিত১৯৮২ খ্রিস্টাব্দ।
প্রতিষ্ঠাতাহাদীয়ে যামান আল্লামা শাহ সুফি আবদুল জব্বার রহ.
অধিভুক্তিইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (২০০৬- ২০১৬)
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (২০১৬- বর্তমান)
অধ্যক্ষমাওলানা আ.স.ম সলিমুল্লাহ
ঠিকানা
ধনিয়ালাপাড়া, ডবলমুরিং
,
ভাষাআরবী, বাংলা, ইংরেজি।
সংক্ষিপ্ত নামবায়তুশ শরফ মাদ্রাসা।
ওয়েবসাইটhttp://www.bsakmctg.org
মানচিত্র

ইতিহাস

সম্পাদনা

বায়তুশ শরফ মাদ্রাসা সূচনালগ্নে মাত্র পাঁচটি শ্রেণী নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালের মধ্যে মাদ্রাসাটি ক্রমান্বয়ে কামিল পর্যায়ে উন্নীত হয়। দাখিল ও আলিম পর্যায়ে বিজ্ঞান ও মানবিক শাখায় পাঠ কার্যক্রম চলমান। ফাজিল ও কামিলের উচ্চ শিক্ষার জন্য ২০০৬ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত হয়। এরপর ২০১৬-১৭ সেশনে ২০১৬ সালে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মাদ্রাসাটিতে দুটি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু হয়। বিষয় দুটি হলো আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ, আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ।

গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা

সম্পাদনা

মাদ্রাসার ছাত্রদের বৈচিত্র্যময় পাঠে নিজের মেধা ও মনন বিকাশের সুবিধার্থে মাদ্রাসার একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার রয়েছে। এছাড়াও মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে ‘বায়তুশ শরফ ইসলামী গবেষণা কেন্দ্রের’ একটি আন্তর্জাতিক মানের গন্থাগার রয়েছে।

অবকাঠামো

সম্পাদনা

মাদ্রাসাটির প্রসাসনিক কার্যক্রম ও পাঠদানের জন্য এল আকৃতির পাঁচতালা বিশিষ্ট দুটি ভবন রয়েছে। এছাড়াও আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচতলা বিশিষ্ট একটি ছাত্রাবাস ভবন রয়েছে। যা হাফেজ আব্দুর রহীম ছাত্রাবাস নামে পরিচিত।

আবাসিক ব্যবস্থা

সম্পাদনা

দূর-দূরান্ত থেকে আগত ছাত্রদের অধ্যায়নের সুবিধার্থে মাদ্রাসাটিতে ছাত্রাবাস রয়েছে। যা হাফেজ আব্দুর রহীম ছাত্রবাস নামে পরিচিত। এতে প্রায় ৩৫০ জন ছাত্র অবস্থান করছে।

কৃতিত্ব ও ফলাফল

সম্পাদনা

মাদ্রাসাটি ১৯৯১, ২০০০ ও ২০১৮ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রণালয় কর্তৃক জাতীয় পর্যায়ে ‘শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান’ হিসেবে স্বীকৃতি ও পুরস্কার লাভ করে। এছাড়াও ২০০০ সালে মাদ্রাসার প্রাক্তন অধ্যক্ষ শাহ সুফী কুতুবউদ্দিন ও ২০১৭ সালে বর্তমান অধ্যক্ষ ড. সাইয়্যেদ আবু নোমান জাতীয় পর্যায়ে ‘শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান’ হিসেবে পুরস্কার লাভ করেন।[][] এছাড়াও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত পাবলিক পরীক্ষায় মাদ্রাসাটি কৃতিত্বের সাক্ষর রাখে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত দাখিল-২০১৯ পরীক্ষায় বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করে অত্র মাদ্রাসা।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা