বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ পাচারের ঘটনা
এই নিবন্ধটি মেয়াদোত্তীর্ণ।(আগস্ট ২০১৬) |
বাংলাদেশ ব্যাংক ডাকাতি (বাংলাদেশ ব্যাংক সাইবার হিস্ট নামেও পরিচিত[১]) একটি চুরি, যা ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংঘটিত হয়েছিল। নিরাপত্তা হ্যাকারদের দ্বারা SWIFT নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবৈধভাবে স্থানান্তর করার জন্য পঁয়ত্রিশটি প্রতারণামূলক নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অফ নিউইয়র্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পঁয়ত্রিশটি প্রতারণামূলক নির্দেশের মধ্যে পাঁচটি মার্কিন ডলার ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার স্থানান্তর করতে সফল হয়েছিল, যার মধ্যে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার শ্রীলঙ্কায় এবং US$৮১ মিলিয়ন ফিলিপাইনে পাওয়া গেছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ নিউইয়র্ক একটি ভুল বানান নির্দেশের কারণে উত্থাপিত সন্দেহের কারণে বাকি ত্রিশটি লেনদেন ব্লক করেছে, যার পরিমাণ US$৮৫০ মিলিয়ন।[২] শ্রীলঙ্কায় স্থানান্তরিত সমস্ত অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে। যাইহোক, ২০১৮ সাল পর্যন্ত ফিলিপাইনে স্থানান্তরিত US$৮১ মিলিয়নের মধ্যে মাত্র ১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।[৩] ফিলিপাইনে স্থানান্তরিত অর্থের বেশিরভাগই চারটি ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে গেছে, যা একক ব্যক্তির দ্বারা সংরক্ষিত ছিল, কোম্পানি বা কর্পোরেশনে নয়।[৪]
পটভূমি
সম্পাদনাঘটনাসমূহ
সম্পাদনাহ্যাকাররা ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসাব থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি - ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১ বিলিয়ন ডলার চুরির চেষ্টা করে। তাও যখন বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যালয় বন্ধ ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের সহজ পরিচালনা পদ্ধতি ও ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তার সহোযোগীতায় তারা সহজে হ্যাক করে বাংলাদেশ ব্যাংকের হয়ে ৩৫টি অর্থ স্থানান্তরের আবেদন জমা দেয়। এই আবেদনসমূহের মধ্যে মাত্র ৫টি আবেদন কার্যকর করে অর্থ ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কায় নিয়ে যায়। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে ৮০ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক করপোরেশনের মাধ্যমে জালিয়াতি হয়েছে এবং পরে তা জুয়া বাজার ঘুরে হংকংয়ে স্থানান্তরিত হয়। অন্য ২০ মিলিয়ন ডলার শ্রীলঙ্কায় পাওয়া গেছে।
তদন্ত
সম্পাদনাবাংলাদেশ
সম্পাদনাফিলিপাইন
সম্পাদনাযুক্তরাষ্ট্র
সম্পাদনাসংযুক্ত সংস্থার প্রতিক্রিয়া
সম্পাদনাবাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান গভর্নর আতিউর রহমান অর্থ তছরুপ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার প্রেক্ষিতে পদত্যাগ করেছেন। ১৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে তিনি প্রধানমন্ত্রীর নিকট তার পদত্যাগ পত্র জমা দেন। পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার পূর্বে তিনি জনসমক্ষে বলেন, তিনি দেশের স্বার্থে পদত্যাগ করার জন্য প্রস্তুত।[৫] তবে বাংলাদেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন এ অর্থ চুরির ঘটনায় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের হাত আছে আর তাদের আড়াল করতেই গভর্নর আতিউর রহমানকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে।[৬] [৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "The great Bangladesh cyber heist shows truth is stranger than fiction"। Dhaka Tribune। ২০১৬-০৩-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-২০।
- ↑ Archive, View Author; Author, Email the; Twitter, Follow on; feed, Get author RSS (২০১৬-০৩-২২)। "Congresswoman wants probe of 'brazen' $81M theft from New York Fed" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-২০।
- ↑ Cabalza, Dexter (২০১৬-০৮-১৯)। "Ex-RCBC branch manager free on bail"। INQUIRER.net (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-২০।
- ↑ Tweed, David; Devnath, Arun (১০ মার্চ ২০১৬)। "$1 Billion Plot to Rob Fed Accounts Leads to Manila Casinos"। Bloomberg। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৬।
- ↑ "বিবি গভর্নর ড. আতিউর রহমানের পদত্যাগ"। বাংলাদেশ সংবা সংস্থা। ১৫ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "বলির পাঠা আতিউর"। ইরান বাংলা রেডিও। ১৬ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "আতিউর বলির পাঠা"। আমার বাংলাদেশ। ১৮ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]