বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (সংক্ষেপে বেজা) হলো বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নে গঠিত একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন, ২০১০-এর বিধানানুসারে ৯ নভেম্বর ২০১০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) প্রতিষ্ঠিত হয়। বেজা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান, উত্পাদন এবং রপ্তানী বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণে উত্সাহ প্রদানের লক্ষ্যে পশ্চাত্পদ ও অনগ্রসর এলাকাসহ সম্ভাবনাময় সকল এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করাই হলো বেজার মূল কাজ।[১]
সংস্থার রূপরেখা | |
---|---|
গঠিত | ২০১০ |
যার এখতিয়ারভুক্ত | গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার |
সদর দপ্তর | প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুরোনো সংসদ ভবন, তেজগাঁও, ঢাকা ২৩°৪৬′০৫″ উত্তর ৯০°২৩′৩১″ পূর্ব / ২৩.৭৬৮০৯৮° উত্তর ৯০.৩৯২০৭০° পূর্ব |
সংস্থা নির্বাহী |
|
মূল সংস্থা | প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় |
ওয়েবসাইট | www |
বর্ণনা
সম্পাদনাবাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) তিন পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা কাঠামো দ্বারা পরিচালিত- গভর্নিং বোর্ড, নির্বাহী বোর্ড এবং বেজা দপ্তর বা সচিবালয়। গভর্নিং বোর্ড হল সার্বিক নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। শিল্প, বাণিজ্য, অর্থ, পরিকল্পনা, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ, যোগাযোগ, শ্রম ও কর্মসংস্থান, কৃষি, পরিবেশ ও বন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বিভাগের শীর্ষ স্থানীয় প্রতিনিধিবৃন্দ এই বোর্ডের সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ দেশের শীর্ষ স্থানীয় চেম্বার নেতৃবৃন্দ ও বেসরকারী খাতের প্রতিনিধিবৃন্দ এই বোর্ডের সদস্য।
নির্বাহী বোর্ড দৈনন্দিন কার্যক্রম তত্ত্বাবধানের জন্য একজন নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং তিন জন নির্বাহী সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত। নির্বাহী বোর্ড কর্তৃক প্রয়োগকৃত সকল ক্ষমতা এবং সকল কার্যক্রম কর্তৃপক্ষের দ্বারা প্রয়োগকৃত বলে গণ্য হয়। বেজা দপ্তর বা সচিবালয় নির্বাহী বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী সকল দৈনন্দিন কার্যক্রম সম্পাদন করে থাকে৷ প্রতিষ্ঠানটির সাংগঠনিক কাঠামোতে মোট ৭২ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অনুমোদন রয়েছে।[২][৩]
অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহ
সম্পাদনাবাংলাদেশে মোট ১০০ টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।[৪] এর অংশ হিসেবে বেশকিছু অর্থনৈতিক অঞ্চল ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক অঞ্চল।[৫][৬] অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি বিনিয়োগ অনুযায়ী বেজাকে চারটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে :(ক) সরকারি পর্যায় (খ) বেসরকারি পর্যায় (গ) সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারী (পিপিপি) (ঘ) বিদেশি পর্যায়।[৭] বেজা এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত সরকারি ৫৪টি, বেসরকারি ২৩টি এবং চীন, জাপান ও ভারতের জন্য চারটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন দিয়েছে।[৮]
সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল
সম্পাদনা১০৮১ একরের এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্লট ৪০০ টি। কর্মসংস্থান হবে পাঁচ লাখ মানুষের। এখানে শিল্প গড়তে প্লট বুকিং নিয়েছে এসকোয়্যার, এপেক্স, প্যারাগন, কন্টিনেন্টাল গার্মেন্টসসহ ২৩টি কম্পানি।[৯]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০২৪।
- ↑ "এক নজরে বেজা- BEZA এর ওয়েবসাইট (২৭ জুলাই, ২০১৮ তারিখে সংগৃহিত)"। ২৬ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৮।
- ↑ "BEZA এর দাপ্তরিক ওয়েবসাইট- (২৭ জুলাই, ২০১৮ তারিখে সংগৃহিত)"। ১৮ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৮।
- ↑ দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে: প্রধানমন্ত্রী- দৈনিক প্রথম আলো (২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে প্রকাশিত)
- ↑ ‘মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল দেশকে পাল্টে দেবে’- দৈনিক প্রথম আলো (১০ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে প্রকাশিত)
- ↑ সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক জোন মিরসরাইতে- দৈনিক ইনকিলাব (১৭ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে প্রকাশিত)
- ↑ সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল, ইত্তেফাক, ২৫ আগস্ট ২০২১
- ↑ "এগোচ্ছে অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ, গেম চেঞ্জার জাপান, বাংলা ট্রিবিউন, ১৯ এপ্রিল ২০২২"। ১৯ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০২২।
- ↑ সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোন : উত্তরে অর্থনীতির দুয়ার খুলছে, কালের কণ্ঠ, ১৩ মার্চ ২০২৪