বাংলাদেশ–বেলজিয়াম সম্পর্ক
বাংলাদেশ-বেলজিয়াম সম্পর্ক বলতে বাংলাদেশ এবং বেলজিয়ামের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক রাষ্ট্রীয় সম্পর্ককে বোঝায়। ব্রাসেলসে বাংলাদেশের একজন আবাসিক রাষ্ট্রদূত রয়েছে যিনি একইসাথে লুক্সেমবার্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতও।[১][২] মাহবুব হাসান সালেহ বেলজিয়ামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।[৩]
বাংলাদেশ |
বেলজিয়াম |
---|
ইতিহাস
সম্পাদনাবেলজিয়ামে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত সানাউল হক ১৯৭৩ সালের ১৫ মে নিযুক্ত হন এবং ১৯৭৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।[৪] ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেলজিয়ামে ছিলেন যখন তাদের বাবাকে হত্যা করা হয়।[৫] তাদেরকে আশ্রয় দেওয়া রাষ্ট্রদূত সানাউল হক হত্যাকাণ্ডের পর আর আতিথেয়তা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।[৫] পরে জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী তাদের জার্মানিতে আশ্রয় দিয়েছিলেন।[৬]
২০১০ সালের নভেম্বরমাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী ইয়েভস লেটেরমের বাসভবনে যান এবং বেলজিয়ামের কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে আরও বিনিয়োগ আদায়ের চেষ্টা করেন।[৭] গোলাম ফারুক আহমেদ বাংলাদেশে বেলজিয়ামের সম্মানসূচক কনসাল।[৮]
বাংলাদেশ দূতাবাস ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর ব্রাসেলসের সেন্টার ফর ফাইন আর্টসে একটি সুফি সঙ্গীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।[৯]
দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ব্রাসেলসে মিলিত হন এবং ৩ মার্চ ২০১৮ তারিখে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট নিয়ে আলোচনা করেন।[১০]
২০১৯ সালে বেলজিয়াম বাংলাদেশে একটি বাণিজ্য প্রতিনিধি দল পাঠায়।[১১] ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ওসামা তাসিয়ের বাংলাদেশে নিযুক্ত বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত ফ্রাঙ্কোইস দেলহায়ের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং বেলজিয়ামের কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে আরও বিনিয়োগের অনুরোধ করেন।[১২]
২০২০ সালের ২০ জুন বেলজিয়াম বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে কূটনীতিকদের বাদ দিয়ে বাংলাদেশ থেকে সকল ভ্রমণ নিষিদ্ধ করে।[১৩] বেলজিয়ামের জাহাজ ভাঙ্গা কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের জাহাজ ভাঙ্গা কোম্পানিগুলোর সাথে শ্রম অবস্থার উন্নতির জন্য কাজ করছে।[১৪] ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে বেলজিয়ামের কোম্পানি জান দে নুল বাংলাদেশের পায়রা বন্দরে পূর্ব প্রবেশাধিকারের জন্য রাবনাবাদ চ্যানেল ড্রেজিং করার লক্ষ্যে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।[১৫]
২০২০ সালে বাংলাদেশ ছিল বেলজিয়ামের ৮৮তম বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য এবং ৪৩তম বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ।[১৬] বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ বাংলাদেশ সফরে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।[১৭]
কূটনৈতিক সম্পর্ক
সম্পাদনা১৯৯০ সালে বেলজিয়াম বাংলাদেশের ঢাকায় দূতাবাস বন্ধ করে দেয়।[১৮] ভারতে অবস্থিত বেলজিয়াম দূতাবাস ঢাকায় সুইডিশ দূতাবাসের পাশাপাশি বাংলাদেশে কাউন্সেলর সার্ভিসের দায়িত্বে রয়েছে।[১৯]
মো. শাহদাত হোসেন ২০১৬ সালে বেলজিয়ামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন।[২০]
২০২০ সালের ৩০ জুন মাহবুব হাসান সালেহ বেলজিয়ামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন।[২১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Location"। www.bangladesh-embassy.be। ২০২১-১২-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৮।
- ↑ "Former Pakistani diplomat calls for official apology to Bangladesh for 1971 genocide"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৩-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৮।
- ↑ "King Philippe of Belgium keen to visit Bangladesh"। Dhaka Tribune। ২০২১-০১-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৮।
- ↑ "Former ambassadors"। www.bangladesh-embassy.be। ২০১৮-০৮-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৮।
- ↑ ক খ "A brief history of Bangladesh through her eyes -- 'Hasina: A Daughter's Tale' moves Kolkata audience"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০২-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৮।
- ↑ Chowdhury, Nauman Rasheed (২০১৪-০৮-১৫)। "August 15: Bangabandhu's daughters"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৮।
- ↑ "PM seeks more investment from Belgium"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১০-১১-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৮।
- ↑ Desk, Star Business (২০১১-০৮-২১)। "New chief for Peoples Insurance"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৮।
- ↑ "'Sufi Night' in Belgium"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-১০-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৮।
- ↑ "Belgian Deputy PM concerned over violation of rights of the Rohingya community"। Dhaka Tribune। ২০১৮-০৩-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৮।
- ↑ Correspondent, Senior; bdnews24.com। "Belgium sending a trade mission to Bangladesh"। bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৮।
- ↑ "DCCI urges Belgian investors to invest in Bangladesh"। Dhaka Tribune। ২০১৯-০৩-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৮।
- ↑ "Belgium bans entry to travellers from UK, Bangladesh, 25 more countries"। New Age (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৮।
- ↑ "Watch | How Shipyards in Bangladesh and Belgium Are Ensuring Hazard-Free Working Conditions"। The Wire। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৮।
- ↑ Correspondent, Our; Patuakhali (২০২০-১২-১৮)। "Belgian firm to do maintenance dredging of Rabnabad channel"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৮।
- ↑ "Bangladesh"। Belgian Foreign Trade Agency (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০১-০৩। ২০২১-০৭-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৮।
- ↑ "King Philippe of Belgium keen to visit Bangladesh"। unb.com.bd (English ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৮।
- ↑ "Belgium keen on expanding economic ties with Bangladesh"। Belgium keen on expanding economic ties with Bangladesh | theindependentbd.com। ২০২১-০৭-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৮।
- ↑ "Visa for Belgium if you live in Bangladesh"। Belgium in India (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০৮-০৩। ২০২১-০৭-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৮।
- ↑ BanglaNews24.com (২০১৬-০৪-১৮)। "Shahdat Hossain new ambassador to Belgium"। banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৮।
- ↑ "Mahbub Saleh new Bangladesh Ambassador to Belgium"। Dhaka Tribune। ২০২০-০৬-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৮।