বলধা জমিদার বাড়ি
বলধা জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর গাজীপুর জেলার গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়নের বলধা গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। স্থানীয়দের কাছে এটি চৌধুরী বাড়ি নামে বেশ পরিচিত।[১]
বলধা জমিদার বাড়ি | |
---|---|
বিকল্প নাম | চৌধুরী বাড়ি চদরি বাড়ি |
সাধারণ তথ্যাবলী | |
ধরন | বাসস্থান |
অবস্থান | গাজীপুর সদর উপজেলা |
ঠিকানা | বলধা গ্রাম |
শহর | গাজীপুর সদর উপজেলা, গাজীপুর জেলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
উন্মুক্ত হয়েছে | অজানা |
স্বত্বাধিকারী | রাজ কিশোর রায় চৌধুরী |
কারিগরি বিবরণ | |
উপাদান | ইট, সুরকি ও রড |
তলার সংখ্যা | ০২ |
অন্যান্য তথ্য | |
কক্ষসংখ্যা | ৪০ |
ইতিহাস
সম্পাদনাজমিদার বাড়ির গোড়াপত্তনকারী জমিদার রাজ কিশোর রায় চৌধুরী। তবে কবে নাগাদ এই জমিদার বংশের জমিদারী শুরু হয় তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি। তার আমলে বর্তমান গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া, শ্রীপুর, কালীগঞ্জ ও গাজীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা তার জমিদারীর আওতাভুক্ত ছিল। জমিদার রাজ কিশোর রায় চৌধুরী ছিলেন নিঃসন্তান। তাই তিনি এই জমিদারী টিকে রাখার জন্য হরেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরীকে দত্তক নেন। এই জমিদার হরেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরীই জমিদার বাড়ির অবকাঠামোতে পরিবর্তন আনেন। অর্থাৎ তার আমলেই জমিদার বাড়ির সকল স্থাপনাগুলি তৈরি করা হয়। তিনি তার জমিদারীর আওতায় শৈলাট, ধনুয়া ও ধামরাই এলাকা অন্তর্ভুক্ত করেন। এছাড়াও তিনি এই জমিদার বাড়ি ছাড়াও ভারতের কলকাতা ও দার্জিলিংয়ে ০২টি করে এবং লৌখনো ও পুরিতে ০১টি করে বাড়ি নির্মাণ করেন। এছাড়াও ঢাকার ওয়ারীতে "কালচার" নামে একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। যা এখন "বলধা হাউজ" নামে সকলের কাছে পরিচিত। তিনি তার জমিদারীর সময় অনেক স্মতিচিহ্ন তৈরি করে রেখে যান। তারই হাতে তৈরি করা ঢাকা জেলার ওয়ারি থানার বলধা গার্ডেন। তার জমিদারী এলাকার নামানুসারে এর নাম বলধা গার্ডেন রাখা হয়। ঢাকার তেজগাঁও এলাকায়ও "নিমফ" নামে আরেকটি বাগানবাড়ি তৈরি করেন। এছাড়াও ওয়ারি থানায় ঐসময় একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যা পরবর্তীতে পাকিস্তান সরকার ঢাকা জাদুঘরে স্থানান্তর করেন।
অবকাঠামো
সম্পাদনাবাড়িটিতে বসবাসের জন্য ৪০ কক্ষ বিশিষ্ট্য একটি ভবন তৈরি করা হয়। উপসনার জন্য একটি কালীমন্দির তৈরি করা হয়। এছাড়াও বাড়ির আঙ্গিনায় একটি বিশাল দিঘী, মাঠ ও স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়।
বর্তমান অবস্থা
সম্পাদনাবাড়িটি এখন পুরোপুরিভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন বাড়ির দেয়ালগুলো ভেঙ্গে গিয়ে ছোট ছোট ইটের ঢিবির মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। পূর্বপাশে প্রায় ২৫০ ফুট লম্বা, ০২ ফুট প্রশস্ত এবং কোথাও ২-৩ আবার কোথাও ৫-৭ ফুট উঁচু একটি দেয়াল বিদ্যমান রয়েছে। তবে জমিদারদের তৈরি করা বিভিন্ন স্থানের স্থাপনাগুলি (বলধা গার্ডেন) এখনো বেশ ভালো অবস্থায় রয়েছে।
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ডেস্ক, নিউজ (২০১৭-১০-২৫)। "ঢাকার ঐতিহাসিক স্থান"। সংবাদ ২৪/৭ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |