বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

বাংলাদেশের সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
(বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পুনর্নির্দেশিত)

বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের অন্যতম পুরাতন ও বৃহত্তম সরকারি বহুমুখী কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি বরিশাল শহরের আলেকান্দা - পলিটেকনিক রোডে অবস্থিত। ১৯৬২ সালে এই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স পরিচালনা করে থাকে।

বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
নীতিবাক্য
”প্রযুক্তির জন্য এসো প্রবৃদ্ধির জন্য বেড়িয়ে যাও”
ধরনসরকারি
স্থাপিত১৯৬২ (1962)
ইআইআইএন১৩৩১৭৮ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
অধ্যক্ষপ্রকৌশলী মো: রুহুল আমিন
শিক্ষার্থী৬২০০ এর অধিক
অবস্থান
আলেকান্দা
, ,
২২°৪১′৫২″ উত্তর ৯০°২১′৪১″ পূর্ব / ২২.৬৯৭৮৩৯° উত্তর ৯০.৩৬১৪৮৭° পূর্ব / 22.697839; 90.361487
শিক্ষাঙ্গনশহুরে প্রান কেন্দ্র ২৬ একর বা ৭৮ বিঘা নিয়ে অবস্থিত
সংক্ষিপ্ত নামBPI
ওয়েবসাইটbarishalpoly.gov.bd
মানচিত্র

ইতিহাস

সম্পাদনা

বাংলাদেশে প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ গড়ার প্রত্যয়ে ১৯৬২ সালে ফোর্ড ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান সরকার ৫টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করে। এর মধ্যে বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অন্যতম। অন্য চারটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সিলেট, রংপুর, বগুড়া ও পাবনায় প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন তড়িৎ প্রকৌশল, পুরকৌশলশক্তি প্রকৌশল - এ তিনটি প্রযুক্তি অনুষদে শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে আরও ৪টি প্রযুক্তি অনুষদ চালু করে। এগুলো যথাক্রমে কম্পিউটার প্রকৌশল, ইলেকট্রনিক্স, মেকানিক্যাল এবং ইলেক্ট্রোমেডিকেল প্রকৌশল।

শিক্ষা কার্যক্রম

সম্পাদনা

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর অধীনে বর্তমানে ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু রয়েছে। কারিগরি শিক্ষার পাশাপাশি প্রত্যেক প্রযুক্তির ছাত্র-ছাত্রীদের আবশ্যিকভাবে পাঠ্য বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থ, রসায়ন, ব্যবস্থাপনা, সমাজ বিজ্ঞান, শারীরিক শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে পাঠদানের জন্য একটি অকারিগরি শিক্ষা বিভাগ রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের সকালে ও দুপুরে দুই শিফটে পাঠদান করা হয়। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ পলিটেকনিক এর মধ্য শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়ে জাতীয় পুরস্কার লাভ করে।

ছাত্রাবাস

সম্পাদনা

দুটি ছাত্রাবাস ও একটি ছাত্রীনিবাস রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা ছাত্রাবাস, একুশে ছাত্রাবাস ও শহীদ জননী ছাত্রীনিবাস।

চিত্রশালা

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা