বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বাংলাদেশের বরিশাল সদর উপজেলার চাঁদপুরা ইউনিয়নের বরিশাল-ভোলা মহাসড়কের পাশে দুর্গাপুর নামক স্থানে অবস্থিত একটি স্নাতক পর্যায়ের সরকারি প্রকৌশল কলেজ। এটি বাংলাদেশের চতুর্থ প্রকৌশল কলেজ। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের অধিভুক্ত ও এটি চার বছর মেয়াদী বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
বরিশাল প্রকৌশল মহাবিদ্যালয় | |
ধরন | সরকারি প্রকৌশল কলেজ |
---|---|
স্থাপিত | ২০১৮ |
ইআইআইএন | ১৩৯৪৩৫ |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ৪৪ |
অবস্থান | , |
শিক্ষাঙ্গন | আধাশহুরে (৮ একর) |
অধিভুক্তি | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
ওয়েবসাইট | http://www.barisal-eng.edu.bd/ |
ইতিহাস
সম্পাদনা২০১০ সালে একনেকের এক সভায় বরিশালে প্রকৌশল কলেজ স্থাপনের জন্য অনুমোদন গৃহীত হয়। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এর প্রশাসনিক অনুমোদন ও ভূমি অধিগ্রহণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয় ও নির্মাণ কাজের জন্য ৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। [১] ২০১২ সালে বরিশাল-ভোলা মহাসড়কের পাশে চাঁদপুরা ইউনিয়নের দুর্গাপুরে ৮ একর জমিতে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। বর্তমানে প্রশাসনিক ভবন, বিভিন্ন অনুষদ ভবন, ছাত্রী হোস্টেল, দু’টি ছাত্রাবাস, অধ্যক্ষ ভবন, দু’টি শিক্ষকভবন ও দুইটি কর্মকর্তা ভবনের কাজ শেষ হয়েছে।
২০১৭/২০১৮ শিক্ষা বর্ষে ইইই এবং পুরকৌশল বিভাগে ১২০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। [২][৩]
ক্যাম্পাস
সম্পাদনা৮ একর জমির উপর এই ক্যাম্পাস অবস্থিত, এখানে ১৩ টি ভবন আছে। যার মধ্যে আছে একটি প্রশাসনিক ভবন, তিনটি অনুষদ ভবন(ইইই, সিভিল,নেভাল আর্কিটেকচার &মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং),একটি মাল্টিপারপাস ভবন (গ্রন্থাগার,সম্মেলন কক্ষ,কম্পিউটার ল্যাব,অন্যান্য ল্যাব সহ) ছাত্রদের জন্য দুইটি হল,ছাত্রীদের জন্য ১ টা হল,অধ্যক্ষ বাসভবন,শিক্ষকদের জন্য ২ টা আবাসিক ভবন,কর্মকর্তা & কর্মচারীদের জন্য ২ টা আবাসিক ভবন। কলেজের জন্য নিজস্ব বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন রয়েছে।এছাড়াও খেলার মাঠ & পুকুর রয়েছে।
ভর্তি প্রক্রিয়া ও শিক্ষা কার্যক্রম
সম্পাদনাএসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মোট জিপিএর ভিত্তিতে এ কলেজে পড়ার জন্য আবেদন করতে পারে ও ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা এখানে পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকে।[৪] একাডেমিক কার্যক্রম বছরে ২টি সেমিস্টারে ক্রেডিট পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়। এই প্রকৌশল কলেজটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত। এখানে ৪ বছর মেয়াদী বিএসসি-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং এর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
বিভাগ
সম্পাদনা- তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল (ইইই) বিভাগ
- পুরকৌশল (সিভিল) বিভাগ
- নৌ স্থাপত্য এবং সামুদ্রিক প্রকৌশল (প্রস্তাবিত)
স্নাতক ডিগ্রী
সম্পাদনা- তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল (ইইই) বিভাগে বি.এস.সি
- পুরকৌশল বিভাগে বি.এস.সি
- নৌ স্থাপত্য এবং সামুদ্রিক প্রকৌশলে বি.এস.সি (প্রস্তাবিত)
ল্যাব সুবিধা
সম্পাদনাতড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ (ইইই)
সম্পাদনা- তড়িৎ বিদ্যা ল্যাব
- বৈদ্যুতিক সার্কিট ল্যাব
- বৈদ্যুতিক মেশিন ল্যাব
- পাওয়ার সিস্টেম এবং উচ্চ ভোল্টেজ ল্যাব
- ডিজিটাল সংকেত প্রক্রিয়াকরণ ল্যাব
- কাঠামোগত মেশিন ল্যাব
পুরকৌশল বিভাগ (সিই)
সম্পাদনা- যন্ত্রের কর্মশালা
- ঝালাই কর্মশালা
- জরিপ কর্মশালা
- ঢালাই কর্মশালা
- পরিবহন ল্যাব
- অঙ্কন ল্যাবরেটরি
- হাইড্রোলিক্স ল্যাব
- কাঠ কর্মশালা
- পরিবেশ ল্যাব
- চিত্র প্রক্রিয়াকরণ ল্যাব
- ভূ-কারিগরি ল্যাব
অন্যান্য ল্যাব
সম্পাদনা- পদার্থবিজ্ঞান ল্যাব
- রসায়ন ল্যাব
- কম্পিউটার ল্যাব
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "বরিশালে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ,৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ"। বরিশাল নিউজ। ২ অক্টোবর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন প্রকল্প অনুমোদন"। ২৯ এপ্রিল ২০১৪। ১১ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ "চলতি বছর থেকেই শুরু হওয়ার কথা বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কার্যক্রম"। এসএ টিভি। ১৮ অক্টোবর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে জিপিএ'র ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশ"। বাংলানিউজ২৪.কম। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৫।