বনজা আয়েঙ্গার

ভারতীয় গণিতবিদ এবং শিক্ষাবিদ

বনজা আয়েঙ্গার (মৃত্যু ২০০১) একজন ভারতীয় গণিতবিদ, শিক্ষাবিদ[] এবং দক্ষিণ ভারতের রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতিশ্রী পদ্মাবতী মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য ছিলেন[]। তিনি ছিলেন অন্ধ্র মহিলা সভার তথ্যপ্রযুক্তি স্কুলেরও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা[]। ভারত সরকার তাঁকে ১৯৮৭ সালে চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী প্রদান করে[]

বনজা আয়েঙ্গার
জন্ম
মৃত্যু২০০১
পেশাগণিতবিদ
শিক্ষাবিদ
পরিচিতির কারণশিক্ষাব্রতী
দাম্পত্য সঙ্গীমোহিত সেন
পুরস্কারপদ্মশ্রী
অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার দ্বারা শ্রেষ্ঠ শিক্ষক সম্মান
রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন বৃত্তি

ব্যক্তিগত জীবন

সম্পাদনা

বনজা অবিভক্ত অন্ধ্র প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি হায়দ্রাবাদে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন[]। ১৯৫০ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে উচ্চশিক্ষা অর্জন করেন; এর পর তিনি ছাত্র ফোরামের অংশ হিসাবে যুগোস্লাভিয়া, চেকোস্লোভাকিয়া এবং হাঙ্গেরি ভ্রমণ করেন[]। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকালীন পরবর্তীকালের বিখ্যাত কমিউনিস্ট নেতা মোহিত সেনের সাথে বনজার পরিচয় হয় এবং তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পরে এই দম্পতি চীন চলে যান এবং মোহিত সেন বেজিং-য়ের আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯৫৩ সালে তাঁরা দেশে ফিরে আসেন।

কর্ম জীবন

সম্পাদনা

ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন বনজা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত দুটি কলেজ, কোটির ইউনিভার্সিটি কলেজ ফর উইমেন (ওসমানিয়া মহিলা কলেজ) এবং নিজাম কলেজে অধ্যাপনা করেন তিনি। ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন বনজা আয়েঙ্গার ১৯৫৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে ডক্টরাল ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক, অধ্যাপক, গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং কোটির ইউনিভার্সিটি কলেজ ফর উইমেনের অধ্যক্ষ[] হিসাবে কাজ করেছিলেন। অল্প কিছুদিন ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদেও অধিষ্ঠিত ছিলেন তিনি[]। ১৯৮৩ সালে শ্রী পদ্মাবতী মহিলা বিশ্ব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে, তিনি উপাচার্য হিসাবে নিযুক্ত হন এবং ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত এই পদে আসীন ছিলেন[]। তিনি ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজনও ছিলেন। তিনি অন্ধ্র মহিলা সভার আজীবন ট্রাস্টি ছিলেন এবং সম্পাদক ও সভাপতি হিসাবে সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৯৪ সাল থেকে তাঁর মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি এ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। গণিত ছাড়াও, বনজা শিক্ষা প্রসারের বিষয়েও উদ্যোগী ছিলেন এবং শিক্ষা সংক্রান্ত বহু গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন তিনি।

সম্মাননা ও স্বীকৃতি

সম্পাদনা

১৯৮৭ সালে ভারত সরকার বনজা আয়েঙ্গারকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে[]। তিনি অন্ধ্র প্রদেশ সরকার দ্বারা শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের পুরস্কারও পেয়েছিলেন এবং রাজীব গন্ধী ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বৃত্তিও[] লাভ করেছিলেন।বনজা ২০০১ সালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন[]

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "A man called Mohit Sen"The Hindu। ১৮ মে ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০১৫ 
  2. "Kameswaramma Kuppuswamy Memorial Lecture" (পিডিএফ)। Indian Institute of World Culture। ২০১৫। ৮ মে ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০১৫ 
  3. "AMS School of Informatics"। AMS School of Informatics। ২০১৫। ৬ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১৫ 
  4. "Padma Awards" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৫। ১৫ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৫ 
  5. "Vanaja Iyengar" (পিডিএফ)। Inflibnet। ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১৫ 
  6. "Prof (Smt) Vanaja Iyengar –Founder AMSSOI"। Bispindia। ২০১৫। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১৫ 
  7. "Mohit Sen (An Autobiography)"। Exotic India। ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১৫ 
  8. "Veteran communist leader Mohit Sen dead"। Rediff.com। ৪ মে ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১৫