বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র ঢাকায় অবস্থিত একটি আন্তর্জাতিক পণ্য প্রদর্শন স্থাপনা যার নাম সরকারিভাবে পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র। ১৩০৩.৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০ একর জায়গা জুড়ে এই স্থাপনাটি ঢাকা মহানগরের অদূরে পূর্বাচল এলাকায় স্থাপন করা হয়। ২০২১ সালের ২১শে অক্টোবর তারিখে স্থাপনাটি উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।[১]
বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র | |
---|---|
সাধারণ তথ্যাবলী | |
অবস্থা | সম্পন্ন |
ধরন | প্রদর্শনী কেন্দ্র |
স্থাপত্যশৈলী | সমসাময়িক স্থাপত্য |
অবস্থান | ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে, সেক্টর ৪, পূর্বাচল |
শহর | ঢাকা |
দেশ | বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২৩°৫০′৩৫″ উত্তর ৯০°৩১′৫৮″ পূর্ব / ২৩.৮৪৩০৩১৯° উত্তর ৯০.৫৩২৬৪৪১° পূর্ব |
নির্মাণ শুরু | ২০১৭ |
সম্পূর্ণ | ২০২০ |
উন্মুক্ত হয়েছে | ২০২১ |
নির্মাণব্যয় | US$১৫০ মিলিয়ন |
কারিগরী বিবরণ | |
তলার সংখ্যা | ২ |
তলার আয়তন | ৩৩,০০০ মি২ (৩,৫৫,২০০ ফু২) |
নকশা ও নির্মাণ | |
স্থপতি | বেইজিং ইন্সটিটিউট অব আর্কিটেকচারাল ডিজাইন |
প্রকৌশলী | চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং |
অন্যান্য তথ্য | |
পার্কিং | ৫০০ |
Website | |
https://bbcfec.gov.bd |
উন্নয়ন প্রকল্প
সম্পাদনাবাংলাদেশের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ২০১৫ সালে ‘বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প’ গ্রহণ করে। নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় একটি আন্তর্জাতিক মানের পণ্য প্রদর্শন কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে ২০১৫ সালে এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছিল। প্রকল্প পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন মোহাম্মদ রেজাউল করিম। ২০ একর জমি ওপর ২৪ হাজার ৩৭০ বর্গমিটার জায়গায় গড়ে তোলা হয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করে ‘চায়না স্টেট কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন (সিএসসিইসি)’। রপ্তানি মেলা, বাণিজ্য মেলা, রপ্তানিকারকদের সম্মেলন, ক্রেতা-বিক্রেতা মেলা এবং অন্যান্য বাণিজ্য বৃদ্ধিমূলক কর্মকাণ্ড আয়োজনের লক্ষ্য নিয়ে এই প্রদর্শনী কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়।[২]
অর্থায়ন
সম্পাদনাবাংলাদেশ ও চীন যৌথভাবে এই উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়ন করে। গণপূর্ত বিভাগ সূত্র অনুসারে, প্রদর্শনী কেন্দ্রটি নির্মাণে ব্যয় হয় ৭৭৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীন সরকারের অনুদান ছিল ৫২০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, বাংলাদেশ সরকারের বরাদ্দ ২৩১ কোটি এবং রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো ইপিবি নিজস্ব তহবিল থেকে ২১ কোটি ২৭ লাখ টাকা প্রদান করে। প্রতি বছর এখানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হবে। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি তারিখে এখানে বাণিজ্য মেলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।[৩]
বর্ণনা
সম্পাদনাকেন্দ্রটির ফ্লোর স্পেস ৩৩ হাজার বর্গমিটার। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৪১৮ বর্গমিটারের একটি প্রদর্শনী হল রয়েছে। প্রদর্শনী কেন্দ্রে ২ লাখ ৬৯ হাজার বর্গফুটের দুটি পৃথক প্রদর্শনী হল রয়েছ। এর সাথে যোগ করা হয়েছে ৪৭৩ আসন বিশিষ্ট একটি মিলনায়তন, ৫০ আসনের সম্মেলন কক্ষ ও ৬টি আলোচনা কক্ষ। অন্যান্য সুবিধাদির মধ্যে রয়েছে ৫০০ আসনের রেস্তোরাঁ, শিশুদের খেলার জায়গা, নামাজ কক্ষ, মেডিকেল বুথ, অতিথি কক্ষ, ১৩৯টি টয়লেট এবং বিল্ট-ইন পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম। প্রদর্শনী কেন্দ্রের নিজস্ব পানি শোধনাগার নির্মাণ করা হয়। স্টোর রুম, সিসিটিভি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, স্বয়ংক্রিয় কেন্দ্রীয় এসি ব্যবস্থা, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, ইন-বিল্ট পতাকা স্ট্যান্ড ছাড়াও এই প্রদর্শনী কেন্দ্রে ইন্টারনেটের জন্য ওয়াইফাই ব্যবস্থা, একটি আধুনিক ঝর্ণা ও রিমোট নিয়ন্ত্রিত প্রবেশদ্বার রয়েছে।[৪]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনীকেন্দ্রের উদ্বোধন আজ"। ইত্তেফাক। ২১ অক্টোবর ২০২১। ২১ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ শফিকুল ইসলাম (২১ অক্টোবর ২০২১)। "যে ছয় কারণে তৈরি হলো বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র"। বাংলা ট্রিবিউন। ২১ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ "পহেলা জানুয়ারি থেকে পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলা"। দেশ সংবাদ। ২৯ অক্টোবর ২০২১। ২৯ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ "বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র উদ্বোধন"। আরটিভি। ২১ অক্টোবর ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০২১।