ফ্রেডরিকা ব্রেমার
ফ্রেডরিকা ব্রেমার (১৭ আগস্ট ১৮০১ – ৩১ ডিসেম্বর ১৮৬৫) ছিলেন একজন সুইডিশ লেখক ও নারীবাদী সংস্কারক। তার প্রাত্যহিক জীবনের রেখচিত্র ১৮৪০ ও ১৮৫০-এর দশকে ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশ জনপ্রিয় ছিল। আর এ জন্য তাকে সুইডিশ জেন অস্টিন বলে ডাকা হত যিনি সুইডিশ সাহিত্যে বাস্তবমুখী উপন্যাস লেখার সূচনা করেন। ৫০ বছর বয়সে, তার উপন্যাস হের্থার মাধ্যমে তিনি এমন একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলেন যার মাধ্যমে সব সুইডিশ মেয়েদের ২৫ বছর হলে আইনগত বৈধ বয়সের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে।
ফ্রেডরিকা ব্রেমার | |
---|---|
জন্ম | আবো, সুইডেন (বর্তমানে টুর্কো, ফিনল্যান্ড) | ১৭ আগস্ট ১৮০১
মৃত্যু | ৩১ ডিসেম্বর ১৮৬৫ আরসটা প্রাসাদ, সুইডেন (স্টকহোমের কাছাকাছি) | (বয়স ৬৪)
পেশা | লেখক |
পরিচিতির কারণ | লেখক, নারীবাদী |
এছাড়াও তিনি হরে লারারিনেসমিনারিত নামের সুইডেনের প্রথম নারী টেরিটরি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এটি সোফি এডলারস্পারকে সুইডেনের প্রথম নারী বিষয়ক সাময়িকী ‘হোম রিভিউ’ প্রতিষ্ঠা করতে উৎসাহ প্রদান করে। ১৮৮৪ সালে তার নামে সুইডেনের প্রথম নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘ফ্রেডরিকা ব্রেমার অ্যাসোসিয়েশন’ যাত্রা শুরু করে।
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাব্রেমার ১৮০১ সালের ১৭ আগস্ট টোর্লা মেনরে জন্মগ্রহণ করেন যা বর্তমানে ফিনল্যান্ডে অবস্থিত।[১] তার পিতার নাম কার্ল ফ্রেডরিক ব্রেমার ও মাতার নাম বিরগিতা সার্লোট্টা হলসস্ট্রোম।[১] তার দাদা জ্যাকব ও দাদি উলরিকা ফ্রেডরিক ব্রেমার মিলে সুইডিশ-ফিনল্যান্ডের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী সম্রাজ্যের একটি প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু তার মাতার মৃত্যুর পর তার ভাই সব নিয়ে নেন। ফ্রেডরিকা যখন তিন বছর বয়স তখন তাদের পরিবার স্টকহোমে স্থানান্তর হন। পরের বছর তারা আরসটা প্রাসাদ ক্রয় করেন যা রাজধানী থেকে ২০ মাইল দূরে অবস্থিত। পরবর্তীতে ফ্রেডরিকা দুই যুগ এই প্রসাদ ও তার আশে পাশে তার পরিবার কর্তৃক ক্রয় করা প্রাসাদে অতিবাহিত করেন।[২]
ফ্রেডরিকা ও তার বোনরা কেতাদুরস্ত সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মত ছোটবেলা থেকে শিক্ষাগ্রহণ করছিলেন। তখনকার সময় সুইডেনের কেতাদুরস্ত সমাজের মেয়েদের মত তারাও গৃহশিক্ষকে কাছে পড়ালেখা করতেন ও অন্যান্য শিক্ষা গ্রহণ করতেন।[৩][৪] তিনি ভালো চিত্রাঙ্কনকারী ছিলেন এবং জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডে শিক্ষাগ্রহণ করেন। তিনি এক সময় বলেছিলেন যে, তিনি ছোটবেলায় কয়েক বছর তার জীবন সম্পর্কে ডায়েরি লিখতেন এবং প্রতিদিনকার ঘটনা লিপিবদ্ধ করে রাখতেন।[৫] তিনি তার সীমিত চলাফেরা ও সব জায়গায় না মিশতে পারা ইত্যাদির জন্য ক্রমেই হতাশ হয়ে পড়েন।[৬][৩] পরবর্তীতে এসব কিছুই তাকে নারীদের অধিকার নিয়ে সচেতন হতে সাহায্য করে।[৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ SBL (1906), p. 136.
- ↑ Forsås-Scott (1997), p. 35.
- ↑ ক খ Chisholm (1911), p. 495.
- ↑ ASQ (1864), p. 54.
- ↑ "To My Reader", Two Years in Switzerland and Italy, ১৮৬১, পৃষ্ঠা https://archive.org/stream/twoyearsinswitz00bremgoog#page/n7/mode/2up v–vi
- ↑ SBL (1926).
- ↑ Forsås-Scott (1997), p. 36.
আরোও পড়ুন
সম্পাদনা- Stendahl, Brita K. The Education of a Self-Made Woman, Fredrika Bremer, 1801–1865 (Edwin Mellen Press. 1994) আইএসবিএন ৯৭৮-০-৭৭৩৪-৯০৯৮-৭
- Wieselgren, Greta Fredrika Bremer och verkligheten: Romanen Herthas tillblivelse (Kvinnohistoriskt arkiv. Norstedt. 1978) আইএসবিএন ৯৭৮-৯১-১-৭৮৩০৪১-০
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Fredrika-Bremer-Förbundet
- গুটেনবের্গ প্রকল্পে Fredrika Bremer-এর সাহিত্যকর্ম ও রচনাবলী (ইংরেজি)
- লিব্রিভক্সের পাবলিক ডোমেইন অডিওবুকসে ফ্রেডরিকা ব্রেমার
- ইন্টারনেট আর্কাইভে ফ্রেডরিকা ব্রেমার কর্তৃক কাজ বা সম্পর্কে তথ্য
- "Drawings by Fredrika Bremer"। archive.org।