ফেরদৌস জামে মসজিদ
ফেরদৌসের জামে মসজিদ (ফার্সি: مسجد جامع تون/فردوس ) ইরানের অন্যতম প্রাচীন একটি মসজিদ। ধারণা করা হয় ইরানের প্রাচীন শহর টুন এর মূল কেন্দ্র এখানেই ছিলো। মসজিদটি ফেরদৌসের অন্যতম বড় জুমা নামাযের মসজিদ। অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীর কারণে এই মসজিদটি একটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিত।
ফেরদৌস জামে মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | শিয়া ইসলাম |
প্রদেশ | দক্ষিণ খোরাসান প্রদেশ |
অবস্থান | |
অবস্থান | ফেরদৌস, ইরান |
পৌরসভা | ফেরদৌস |
স্থানাঙ্ক | ৩৪°০′২৫″ উত্তর ৫৮°৯′৩৩″ পূর্ব / ৩৪.০০৬৯৪° উত্তর ৫৮.১৫৯১৭° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
সম্পূর্ণ হয় | সপ্তম শতাব্দী |
অবস্থান
সম্পাদনাফেরদৌস জামে মসজিদ ইরানের দক্ষিণ খোরাসান প্রদেশের ফেরদৌসে অবস্থিত। স্থানের নামের সাথে মিলিয়ে মসজিদের নামকরণ করা হয়েছে।
দরদালান
সম্পাদনাইতিহাস
সম্পাদনাফেরদৌস জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাকাল নিয়ে গবেষকদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মতামত প্রচলিত আছে। বেশিরভাগ গবেষকের বিশ্বাস এই যে, আনুমানিক একাদশ শতাব্দীতে মসজিদটি সেলজুক রাজবংশের আমলে তৈরী করা হয়েছিলো। [১] কিন্তু কিছু গবেষক মনে করেন যে, এটি নির্মিত হয়েছিল সপ্তম শতাব্দীতে। দক্ষিণ দিকের ছাদ ও খিলানের নকশা দেখে মনে হবে এর সাথে জুজুন ও গোনাবাদের মসজিদের সাদৃশ্য রয়েছে। মসজিদের কিছু কারুকাজ টাইলস ও ইটের সাহায্যে করা হয়েছে, যা অনেকটা খোরাসানি মসজিদের মত দেখতে। খোরাসানি মসজিদ কাজার আমলে নির্মিত হয়েছিলো।
কার্যক্রম
সম্পাদনামসজিদটি ইসলামের শিয়া বিশ্বাস অনুযায়ী পরিচালিত হয়। মসজিদটি সপ্তাহে প্রতিদিন খোলা থাকে। এখানে প্রতিদিন পাঁচ বার নামায পড়া হয়। এছাড়া শুক্রবার ও বিশেষ দিনগুলোতে অতিরিক্ত কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" خبرگزاری میراث فرهنگی (Persian ভাষায়)। ২১ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০।