ফাদওয়া তুকান
ফাদওয়া তুকান (আরবি: فدوى طوقان, ১৯১৭-২০০৩), সমকালীন আরবী কবিতায় ইসলায়েলী দখলাদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতিনিধিত্বের জন্য সুপরিচিত।[১]
ফাদওয়া তুকান | |
---|---|
জন্ম | 1917 |
মৃত্যু | 2003 |
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
সম্পাদনাতুকানের কবিতা ফিলিস্তিনি জনগণ, বিশেষত ইসরায়েলি দখলকৃত অঞ্চলে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের দুঃখ-কষ্টের স্বাতন্ত্র্যসূচক বর্ণনার জন্য সুপরিচিত।[২]
ফাদওয়া তুকান ফিলিস্তিনের নাবলুসে সম্ভ্রান্ত সম্পদশালী তুকান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৩ বছর পর্যন্ত স্কুলে গিয়েছিলেন, এর পর অসুস্থতার কারণে স্কুল ত্যাগ করতে বাধ্য হন। এরপর তার বড়ভাই ফিলিস্তিনের কবি খ্যাত ইব্রাহিম তুকান তার শিক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তিনি তাকে পড়ার জন্য অনেক বই দেন এবং ইংরেজি শেখান। ফাদওয়াকে কবিতার সাথে যারা পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন, ইব্রাহিম তুকান তাদের মধ্যে অন্যতম। ফাদওয়া তুকান ঘটনাক্র্রমে অক্সফোর্ডে উপস্থিত হয়ে সেখানে ইংরেজি এবং সাহিত্য অধ্যয়ন করেন।
ফাদওয়া তুকানের বড় ভাই আহমাদ তুকান জর্দানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
তুকানের আটটি কবিতা সমগ্র প্রকাশিত হয়েছে, যেগুলো অনেক ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং আরববিশ্বে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তার বই "যুগের সাথে একাকী" (ওয়াহদী মায়াল আইয়্যাম) তে তিনি পুরুষতান্ত্রিক আরবে নারীদের যেসকল দূর্ভোগ পোহাতে হয় সেগুলোর প্রতি আলোকপাত করেছেন। ছয় দিনের যুদ্ধের পর তুকানের কবিতায় ইসরায়েলি দখলদারের অধীনে বসবাসের দূর্ভোগের প্রতি আলোকপাত করা হয়। তার অন্যতম জনপ্রিয় কবিতার বই "রাত্রি এবং অশ্বারোহী" (আল-লাইলু ওয়াল ফুরসান) তে ইসরাইলী সামরিক শাসনধীন জীবনধারার বর্ণনা করা হয়েছে।
তুকান ২০০৩ সালের ১২ই ডিসেম্বর আল-আকসা ইন্তিফাদা তুঙ্গে থাকাকালে মৃত্যু বরণ করেন, যখন তার নিজ শহর নাবলুস ছিল অবরুদ্ধ।[৩]
তুকান ফিলিস্তিনিদের প্রতীক এবং "আরবী সাহিত্যের অন্যতম প্রসিদ্ধ ব্যক্তিত্ব" হিসেবে পরিগণিত হন।
রচনাবলী
সম্পাদনা- আমার ভাই ইব্রাহিম (আখী ইব্রাহীম) (১৯৪৬)
- যুগের সাথে একাকী (ওয়াহদী মায়াল আইয়্যাম) (১৯৫২)
- আমি তাকে পেয়েছি (ওয়াজাদতুহা) (১৯৫৭)
- আমাদেরকে ভালোবাসা দাও (১৯৬০)
- বদ্ধ দরোজার সামনে (আমামাল বাবিল মুগলাক) (১৯৬৭).
- রাত্রি এবং অশ্বারোহী (আল-লাইলু ওয়াল ফুরসান) (১৯৬৯)
- জুলাই এবং অন্যান্য বিষয় (তামূয ওয়াশ শাইউল আখার) (১৯৮৯)
- শেষ সুর (অাল-লাহনুল আখীর) (২০০০)
- তুকান, ফাদওয়া: আত্মজীবনী: একটি পাহাড়ি ভ্রমণ: কঠিন ভ্রমণ (আরবি রিহলাতুন জাবালিয়াতুন রিহলাতুন সা’বাতুন, ইংরেজি A Mountainous Journey)
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Fadwa Touqan"। Words Without Border। ২০০৭-০৬-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৪-১৫।
- ↑ Lawrence Joffe (২০০৩-১২-১৫)। "Obituary"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৭-১৫।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৯ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৭।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Samar Attar: A discovery voyage of self and other: Fadwa Tuqan's sojourn in England in the early sixties, Arab Studies Quarterly (ASQ), Summer, 2003.
- Lawrence Joffe Obituary in The Guardian, 15 December 2003