ফাতাহ
ফাতাহ (আরবি: فتح) ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে ১৯৫৯ সালে গঠিত দল। মাহমুদ আব্বাস, সালাহ খালাফ, খালিল আল ওয়াজির, আহমদ শাকির, নায়েফ হাওয়াতমেহ এবং আবদুল মোহসেন আবু মাইজার দলটির প্রথম প্রজন্মের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা।[৫]
ফাতাহ فتح | |
---|---|
চেয়ারম্যান | মাহমুদ আব্বাস |
মহাসচিব | জিবরিল রজোব |
ভাইস চেয়ারম্যান | মাহমুদ আলাওল |
প্রতিষ্ঠাতা | ইয়াসির আরাফাত খালেদ ইয়াশরুতি সালাহ খালাফ খলিল আল-ওয়াজির |
প্রতিষ্ঠা | ১৯৫৯ (রাজনৈতিক আন্দোলন হিসেবে) ১৯৬৫ (রাজনৈতিক দল হিসেবে)[১] |
সদর দপ্তর | রামাল্লাহ, পশ্চিম তীর |
যুব শাখা | ফাতাহ ইয়ুথ |
ভাবাদর্শ | ফিলিস্তিনী জাতীয়তাবাদ[২] সামাজিক গণতন্ত্র[৩] ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ[৪] দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান |
রাজনৈতিক অবস্থান | মধ্য-বামপন্থী থেকে বামপন্থী |
জাতীয় অধিভুক্তি | পিএলও |
ইউরোপীয় অধিভুক্তি | পার্টি অব ইউরোপিয়ান সোশালিস্টস (পর্যবেক্ষক) |
আন্তর্জাতিক অধিভুক্তি | প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স সোশালিস্ট ইন্টারন্যাশনাল |
আনুষ্ঠানিক রঙ | হলুদ |
স্লোগান | "ইয়া জাবাল মা ইয়াহজাক রিহ" ("বাতাস পর্বতকে কাঁপাতে পারেনা") |
ফিলিস্তিনী আইন পরিষদ | ৪৫ / ১৩২ |
ওয়েবসাইট | |
www |
অস্তিত্ব
সম্পাদনাফাতাহ নিজ অস্তিত্বের কথা ঘোষণা করে ১৯৬৫ সনে। মিশরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জামাল আবদুন নাসেরের অনুরোধে ওই ঘোষণা দেয় ফাতাহ। নাসের ১৯৫৪ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত মিশর শাসন করেন। একমাত্র ফিলিস্তিনিদের ঐক্যবদ্ধ সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমেই অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ড মুক্ত করা সম্ভব হবে বলে নাসের বিশ্বাস করতেন। তাই নাসেরের নেতৃত্বাধীন মিশর ফাতাহকে অস্ত্র ও সামরিক উপকরণের যোগান দেয়। রাজনৈতিক সংগ্রামের পাশাপাশি ফাতাহ জনপ্রিয় গণপ্রতিরোধ আন্দোলনও গড়ে তোলে এবং ফাতাহ'র সামরিক শাখার নাম দেয়া হয়েছিল "আস সায়িক্বা" বা "বজ্র"। ফাতাহ'র বেশিরভাগ রাজনৈতিক ও সামরিক সদস্যরা থাকতেন মিশর, সিরিয়া, লেবানন, জর্দান, আলজেরিয়া ও তিউনিশিয়ায়।[৫]
নীতি
সম্পাদনা১৯৯৩ সালে ইসরাইলের সঙ্গে অসলো আপোস চুক্তি স্বাক্ষরের আগ পর্যন্ত ফাতাহ সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমেই অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ড মুক্ত করার নীতিতে অবিচল ছিল। কিন্তু আপোস চুক্তি স্বাক্ষরের পর ফাতাহ'র তৎপরতা কেবল রাজনৈতিক সংগ্রামেই সীমিত হয়ে পড়ে। নীতিগত এই পরিবর্তনের কারণে ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে খুবই সীমিত ক্ষমতাসম্পন্ন ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৯৪ সালে। ২০০৪ সালের ১১ ই নভেম্বর ইয়াসির আরাফাতের রহস্যজনক মৃত্যুর পর স্বশাসন কর্তৃপক্ষের রাজনৈতিক সংগ্রাম দূর্বল হয়ে পড়ে।[৫]
বিরোধ
সম্পাদনা২০০৫ সালের সংসদ নির্বাচনে ১৩২টি আসনের মধ্যে হামাস ৭০টি আসনে জয়ী হয়। আরব লিগ ও ইসলামী সম্মেলন সংস্থার পর্যবেক্ষকরাসহ আন্তর্জাতিক অন্যান্য পর্যবেক্ষকরা হামাসের ব্যাপক জনপ্রিয়তার কথা উল্লেখ করে ওই নির্বাচনকে সুষ্ঠ বলে ঘোষণা করে। ফলে ফিলিস্তিনে ইসমাইল হানিয়ার নেতৃত্বে গঠিত হয় হামাসের সরকার। অভ্যন্তরীণ জনসমর্থন ও অন্তবর্তীকালীন ফিলিস্তিনি সংবিধানের আলোকে এগিয়ে যায় হামাস। কিন্তু আব্বাসের স্বশাসন কর্তৃপক্ষ হামাস সরকারকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে এবং এভাবে দুই পক্ষের মধ্যে বিভেদ জোরদার হয় এবং সংঘাত তুঙ্গে উঠে ২০০৭ সালে যখন এক লড়াইয়ে হামাস গাজা দখল করে।[৫][৬]
সম্প্রীতি
সম্পাদনা২০১১ সালে মিশরের রাজধানী কায়রোয় ফাতাহ নেতা আব্বাস আর হামাসের নেতা খালেদ মেশাল একটি সম্প্রীতি চুক্তি সই করলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। তবে এ চুক্তির ফলে দুপক্ষে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা যায়।[৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "مفوضية التعبئة والتنظيم - فصائل منظمة التحرير الفلسطينية"। Fatehorg.ps। ২০১৬-০১-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-২৫।
- ↑ "Jailed Fatah leader Barghouti: Gaza war was victory for Palestinians"। দ্য জেরুজালেম পোস্ট। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১৫।
- ↑ উইয়েন্থাল, বেঞ্জামিন। "German Jews slam party for working with Fatah"। দ্য জেরুজালেম পোস্ট। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৬।
- ↑ সংশোধিত মৌলিক আইন ২০০৩
অনু. ১: ″Palestine is part of the larger Arab world, and the Palestinian people are part of the Arab nation.″; অনু. ৪: ″Islam is the official religion in Palestine. Respect for the sanctity of all other divine religions shall be maintained; The principles of Islamic Shari’a shall be a principal source of legislation.; Arabic shall be the official language.″ (ইংরেজি) - ↑ ক খ গ ঘ হামাস-ফাতাহ ঐক্য ও স্বাধীন ফিলিস্তিনের সোনালী সম্ভাবনা[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ],ইরান বাংলা রেডিও। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ০৮-০৫-২০১১ খ্রিস্টাব্দ।
- ↑ ফিলিস্তিনে ফাতাহ ও হামাসের ঐক্য সরকার হচ্ছে দীর্ঘ বৈরিতার অবসান ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ মার্চ ২০১২ তারিখে,ডেস্ক রিপোর্ট, দৈনিক আমার দেশ। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ০৭-০২-২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
- ↑ গাজায় ফাতাহ’র বিশাল সমাবেশ[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ],বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ০৭-০২-২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Fatah's Intellectual office website
- Fatah's Constitution
- Al-Krama Newspaper (Fatah's PR Office) (in Arabic)
- Definition of Fatah ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে
- Interview on Radio France International ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ মে ২০২১ তারিখে Fatah Central Committee member Abdallah Al Frangi
- Collection of over 300 Fatah posters
- The 2009 Fatah Charter
- Haghshenas, Seyyed Ali, "social and political structure of Lebanon and its influence on appearance of Amal Movement, " Iran, Tehran.2009
- Attacks attributed to FATAH on the START terrorism database