ফকির গরীবুল্লাহ
ফকির গরীবুল্লাহ (আনু. ১৬৮০-১৭৭০) এদেশের অষ্টাদশ শতাব্দীর একজন সাহিত্যিক। [১] ফকির গরীবুল্লাহ হুগলি জেলার (তখনকার বর্ধমান এর অংশ) বালিয়া পরগনার হাফিজপুর গ্রামের অধিবাসী। গরীবুল্লাহ সম্পর্কে তেমন তথ্য পাওয়া যায় না। তাঁর পিতার নাম শাহ্ দুন্দীর (সাহা দুন্দি)। তথ্যের অভাবে গরীবুল্লাহ-এর সময় নির্ধারন করা দুরূহ।
সাহিত্যকর্ম
সম্পাদনাতাঁর রচনা বিস্তর। বাংলা পুথি আমির হামজা প্রথম পর্ব তাঁর রচনা। ফকির গরীবুল্লাহ-এর ইউসুফ-জোলেখা নামে একটি কাব্যগ্রন্থ আছে। মুহম্মদ শহীদুল্লাহ মনে করেন, কাব্যটি ১৭৬৫ সালের পর রচিত। ঐতিহাসিকরা বলেন,আঠারো শতকের মধ্যভাগে ফকির গরীবুল্লাহ কয়েকটি পুঁথি রচনা করেন। সেগুলো হচ্ছে: ইউসুফ জোলেখা, আমির হামজা, সোনাভান ও সতয়পীরের পুঁথি। উল্লেখ্য যে, শাহ্ গরীবুল্লাহর প্রথম কাব্যখানি শুদ্ধ বাংলা ভাষায় রচিত। তিনি একাধারে সাধক ও কবি ছিলেন। তাঁর রচনায় ইসলাম ধর্মের শ্রেষ্ঠত্বের কথা উচ্চারিত হলেও পরধর্মের প্রতিও শ্রদ্ধার মনোভাব ব্যক্ত হয়েছে।[২]
মৃত্যু
সম্পাদনাতাঁর মৃত্যুর কোনো সঠিক সাল, বা তারিখ পাওয়া যায় না।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "শাহ্ গরীবুল্লাহ - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১২।
- ↑ https://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%8D_%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9