প্রাক্তন
প্রাক্তন হ'ল শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায় পরিচালিত ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র। এই ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ২৭ মে ২০১৬ সালে চলচ্চিত্রটি বিশ্বব্যাপী ১০০ টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।[১] রামোজি ফিল্ম সিটিতে ইন্ডিউড ফিল্ম কার্নিভালে কাবালি, সুলতান, সায়রাত এবং অ্যাকশন হিরো বিজুর মতো চলচ্চিত্রের পাশাপাশি - এটি বছরের সর্বোচ্চ সর্বাধিক উপার্জনকারী চলচ্চিত্র হওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র ব্যবসায় পুরস্কার ২০১৬ পায়। প্রাক্তন বলিউডেও জালেবি নামে পুনঃনির্মিত হয়। সংগীতটি প্রকাশ করেছেন আমারা মুজিক।২৭ শে মে ২০১৬ সালে ছবিটির শুভমুক্তি ঘটে।
প্রাক্তন | |
---|---|
পরিচালক | শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় নন্দিতা রায় |
প্রযোজক | উইন্ডোজ প্রোডাকশন হাউস প্রভাত রায় |
রচয়িতা | নন্দিতা রায় |
চিত্রনাট্যকার | নন্দিতা রায় |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | অনুপম রায় |
চিত্রগ্রাহক | শুভঙ্কর ভর |
প্রযোজনা কোম্পানি | উইন্ডোজ প্রোডাকশন হাউস |
পরিবেশক | ইরোস ইন্টারন্যাশানাল |
মুক্তি | ২৭শে মে ২০১৬[১] |
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
নির্মাণব্যয় | ₹২ কোটি |
আয় | ₹৮.৫ কোটি[২] |
শুভমুক্তি
সম্পাদনাছবিটি ২০ মে ২০১৬ সালের শুক্রবার কলকাতা ও সারা পশ্চিমবঙ্গে একই সাথে মুক্তি পায়। কলকাতা ও তার পার্শবর্তী এলাকার ৯০ টি হলে চলচ্চিত্রটির মুক্তি ঘটে। কলকাতার পাশাপাশি ছবিটি একই দিনে ভারত এর ২৫ টি গুরত্বপূর্ণ শহরে ও যুক্তরাষ্ট্র এর ৭ টি ও কানাডার একটি শহরে মুক্তি পায়। এটিই বাংলা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড়ো ছবি মুক্তি।
কাহিনী
সম্পাদনাএকই ট্রেনজার্নিতে সুদীপা ও উজানের স্ত্রী মালিনি (অপরাজিতা আঢ্য), তার মেয়ে পুতুলের সাথে দেখা হয়। ফ্ল্যাশব্যাকে দেখা যায় অতীতে সুদীপা (ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত) এবং উজান (প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়) ভালবেসে বিবাহ করেছিল। কিন্তু সে বিবাহ টেকেনি। কলকাতা থেকে মুম্বাই বাতানুকূল কামরায় ওঠে একাধিক পরিবার। তাদের মধ্যে সদ্য বিবাহিত দম্পতি, বৃদ্ধ দম্পতি (সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়), ব্যান্ডের গায়কেরা সকলেই চলেছেন একসাথে। গল্পের প্রথম থেকে শেষ উজান সুদীপার সম্পর্কের টানাপোড়ন ও ভাংগনের কাহিনী ট্রেন সফরের সাথে সাথে এগোতে থাকে।
শ্রেষ্ঠাংশে
সম্পাদনা- প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় - উজান
- ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত - সুদীপা
- অপারিজাতা আঢ্য - মালিনী / মলি
- বিশ্বনাথ বসু - অজয়
- মানালি দে
- সাবিত্রি চট্টোপাধ্যয়
- সৌমিত্র চট্টোপাধ্যয়
- অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যয়
আয়
সম্পাদনাপ্রথম দিনে ছবিটি দেশের বক্স অফিসে ₹২৫ লক্ষ টাকা আয় করে এবং তিন দিনে ১ কোটি টাকা আয় করে। চলচ্চিত্রটি প্রথম সপ্তাহে ২ কোটি টাকা আয় করে। বিদেশে, যুক্তরাষ্ট্রের ৭ টি সিনেমা হলে প্রথম সপ্তাহে ৩.৬ লক্ষ টাকা ও কানাডার ২ টি সিনেমা হলে প্রাক্তন ১.০২ লক্ষ টাকা আয় করেছে। এছাড়াও সারা বিশ্বজুড়ে সিনামাটি প্রথম ১২ দিনে প্রায় ২.৫ কোটি টাকারও বেশি আয় করেছে।প্রাক্তন শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ-এ ₹ ৭ কোটি (ইউএস$ ০.৮৬ মিলিয়ন) ও বিশ্বজুড়ে আয় করে ₹ ৮.৫ কোটি (ইউএস$ ১.০৪ মিলিয়ন)।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "এবার বাংলা ছবির বিশ্বযাত্রা"। এইসময়। ২৫ মে ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত (৩ অক্টোবর ২০১৬)। "Out of the box: Of bad reviews and good collections in Tolly t" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্যা টাইমস অফ ইন্ডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৯।