প্রহার (চলচ্চিত্র)
প্রহার (হিন্দি: प्रहार) ১৯৯১ সালের একটি বলিউড নির্মিত হিন্দি সামাজিক ও অ্যাকশনধর্মী চলচ্চিত্র। এই ছবির মুখ্য অভিনেতা ও পরিচালক ছিলেন অভিনেতা নানা পাটেকর।[১]
প্রহার प्रहार | |
---|---|
পরিচালক | নানা পাটেকর |
প্রযোজক | সুধাকর বোকাডিয়া |
রচয়িতা | হৃদয় লাহিড়ী নানা পাটেকর সুজিত সেন |
শ্রেষ্ঠাংশে | নানা পাটেকর মাধুরী দীক্ষিত ডিম্পল কাপাডিয়া হাবিব তনভির গৌতম যোগলেকর |
সুরকার | লক্ষীকান্ত পিয়ারীলাল |
চিত্রগ্রাহক | দেবু দেওধর |
সম্পাদক | আফাক হুসেন |
পরিবেশক | দিব্যা ফিল্মস ওয়ার্ল্ডওয়াইড এন্টারটেইনমেন্ট গ্রুপ |
মুক্তি | ২৯ নভেম্বর, ১৯৯১ |
স্থিতিকাল | ১৬৮ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
কাহিনী
সম্পাদনাপিটার ডি'সুজা ভারতীয় সেনার কমান্ডো প্রশিক্ষণের জন্যে নির্বাচিত হয় কিন্তু সে যেতে চাইলে তার প্রেমিকা শার্লি বাধাদান করতে থাকে। এই প্রশিক্ষণ বিপজ্জনক ও অত্যন্ত কঠিন। পারিবারিক বন্ধু ও প্রতিবেশিনী কিরনের পরামর্শে অবশ্য পিটারের পিতা তাকে যেতে অনুমতি দেন। প্রশিক্ষণ শিবিরের শিক্ষক কমান্ডো মেজর পরমজিৎ চৌহান ভীষন কঠোর চরিত্রের মানুষ। তার ট্রেনিং সমস্ত শিক্ষার্থীর কাছে আতংকের বিষয়। নানা অসুবিধার ভেতর দিয়ে শিক্ষা সম্পূর্ণ হলে একটি অভিযানে ডাক পড়ে পিটারদের। একদল শিশু ও শিক্ষিকা অপহরণকারী সন্ত্রাসবাদীদের পরাস্ত করে পিটার ও তার সাথীরা। এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন মেজর চৌহান। পিটার আহত হয় ও তার দুই পা অপারেশন করে বাদ দিতে হয়। সে সাহসিকতাপূর্ণ কাজের পুরস্কার নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে। শার্লিকে বিয়ে করতে মনস্থির করে। কিন্তু মেজর চৌহানের ট্রেনিং তার জীবনে বড় ছাপ ফেলে দিয়েছিল। তার এলাকায় তোলাবাজ, গুন্ডা দের দাপটে সাধারণ মানুষ তটস্থ কিন্তু প্রতিবাদের সাহস কারো নেই। পিটার প্রতিবন্ধী হলেও নির্ভীক, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে চায়। ফলত তাকে অসহায় অবস্থায় ফেলে দুষ্কৃতীরা হত্যা করে। মেজর চৌহান পিটারের নিমন্ত্রণ পেয়ে এসে শোনেন সে মারা গেছে। কিরনের কাছ থেকে পুরো ঘটনা জানতে পারেন মেজর। পিটারকে প্রকাশ্যে তাকে হত্যা করা হলেও কেউ সাক্ষ্য দিতে রাজী হয়না। নাগরিক সমাজের বিরাট অংশ ভীতু এবং দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ, পুলিশ নির্বিকার, যুবসমাজ নেশায় আসক্ত, প্রতিবাদ করার মেরুদণ্ড নেই। এমনকি পিটারের পিতাও চান ছেলের হত্যাকারীদের সাথে সমঝোতা করে টিকে থাকতে। কিরনের বাড়িতে আশ্রয় নেন মেজর চৌহান এবং তার ও কিরনের ওপর দুষ্কৃতীরা প্রায়ই হামলা চালাতে থাকে। একদিন রাত্রে পিটারের হত্যাকারী পাঁচজন তাকে খুন করতে এলে মেজর চৌহান তাদের সাথে খালি হাতে লড়াই করেন। কমান্ডো প্রশিক্ষক চৌহানের সাথে ভয়াবহ খন্ডযুদ্ধে পাঁচজনই মারা যায়। মেজর নিজেও আহত হন। আদালতে মেজর তুলে ধরেন নিজের বক্তব্য, সমাজের ঘুনধরা অবস্থার কথা। আদালত মনে করে সমাজের দুর্নীতি মেজরকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছে। তাকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাকে সেখানে দেখতে আসে কিরন ও তার ছেলে চিকু।[১][২]
অভিনয়
সম্পাদনা- নানা পাটেকর - মেজর চৌহান
- মাধুরী দীক্ষিত - শার্লি
- ডিম্পল কাপাডিয়া - কিরন
- গৌতম যোগলেকর - পিটার ডি'সুজা
- হাবিব তনভীর - পিটারের পিতা
- সাই দেওধর - চিকু (শিশুশিল্পী)
- অচ্যুত পোদ্দার - শার্লির পিতা
- মার্কন্ড দেশপান্ডে - শার্লির ভাই[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ "Prahaar: The Final Attack (1991)"। imdb.com। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৭।
- ↑ "PRAHAAR MOVIE REVIEW"। sabkimaacinema.com। ২৬ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৭।