প্রমোদরঞ্জন চৌধুরী

ভারতীয় বিপ্লবী

প্রমোদরঞ্জন চৌধুরী (জন্ম: ১৯০৪ - মৃত্যু: সেপ্টেম্বর ২৮, ১৯২৭) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের শহীদ বাঙালি বিপ্লবী।

প্রমোদরঞ্জন চৌধুরী
জন্ম১৯০৪
মৃত্যু২৮ সেপ্টেম্বর ১৯২৭
আলিপুর সেন্ট্রাল জেল
পরিচিতির কারণবিপ্লবী

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

সম্পাদনা

প্রমোদরঞ্জন চৌধুরীর জন্ম চট্টগ্রামের কেলিশহর গ্রামে। তার পিতার নাম শ্রী ঈশান চন্দ্র চৌধুরী। ১৯২০ সালে তিনি স্কুলে পড়তেন এবং বিপ্লবীদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষম হন।[]

কর্মজীবন

সম্পাদনা

প্রমোদরঞ্জন ছাত্রাবস্থায় অনুশীলন সমিতি নামের বিপ্লবী দলে যোগ দেন। ১৯২১ সালে তিনি অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯২৫ সালে প্রমোদ রঞ্জন দক্ষিণেশ্বরের বোমা মামলায় গ্রেপ্তার হন। বিচারে তাকে ৫ বছর সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।[]

ভূপেন চট্টোপাধ্যায় হত্যা

সম্পাদনা

অনন্তহরি মিত্র ও প্রমোদরঞ্জনকে বিপ্লবী দলের নেতাগণ গোপন পুলিস বিভাগের ডেপুটি সুপারিন্টেনডেন্ট ভূপেন চট্টোপাধ্যায়কে হত্যা করার নির্দেশ দেন। ভূপেন চট্টোপাধ্যায় মাঝে মাঝে আলীপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে রাজবন্দীদের সাথে আলাপ আলোচনা করতেন। তার উদ্দেশ্য ছিলো রাজবন্দিদের দুর্বলতার সুযোগ গ্রহণ করে বিপ্লবী দলের গোপন সংবাদ সংগ্রহ করা। ১৯২৬ সনের ২৮ মে দক্ষিণেশ্বর বোমার মামলায় দণ্ডিত অনন্তহরি মিত্র ও প্রমোদ চৌধুরী লোহার ডাণ্ডা দ্বারা ভূপেন চট্টোপাধ্যায়কে জেলের মধ্যে আক্রমণ করে হত্যা করেন। নেতাদের নির্দেশে ঘটনাস্থলে পাঁচজন উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে কে প্রকৃত হত্যাকারী বের করতে না পেরে পুলিস খুশিমতো দুজনকে হত্যার অপরাধে এবং বাকি তিনজনকে ঐ কাজে সহায়তাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করে। বিচারে অনন্তহরি মিত্র ও প্রমোদ চৌধুরীর ফাঁসি হয়। তাদের সাহায্য করার জন্য ধ্রুবেশ চট্টোপাধ্যায়, নিখিলবন্ধু বন্দ্যোপাধ্যায়, অনন্ত চক্রবর্তী ও রাধিকার যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর হয়।[][]

মৃত্যু

সম্পাদনা

প্রমোদরঞ্জন চৌধুরীকে ভূপেন চট্টোপাধ্যায়কে হত্যার দায়ে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়, এবং ১৯২৭ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর তারিখে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, দ্বিতীয় মুদ্রণ, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ১৮, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
  2. ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, পাক-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ৪২৬-৪২৭।

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা