প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণা
প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণা (অক্টোবর ১৯২০ - ১১ ডিসেম্বর ২০২২) ছিলেন একজন হিন্দু সন্ন্যাসিনী এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণেশ্বরে অবস্থিত শ্রীসারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের চতুর্থ অধ্যক্ষা।[১] ২০০৯ সালের ২ এপ্রিল তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষা হন।[২] তার নামে ‘প্রব্রাজিকা’ শব্দের অর্থ ‘পরিব্রাজিকা সন্ন্যাসিনী’ এবং ‘ভক্তিপ্রাণা’ শব্দের অর্থ ‘যাঁর প্রাণ ভক্তিতে সমাহিত’।[৩]
প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণা | |
---|---|
জন্ম | কল্যাণী বন্দ্যোপাধ্যায় অক্টোবর, ১৯২০ |
মৃত্যু | ১১ ডিসেম্বর ২০২২ | (বয়স ১০১–১০২)
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | হিন্দু ধর্মপ্রচারক |
কর্মজীবন | ১৯৫০-২০২২ |
পরিচিতির কারণ | একটি ১০ শয্যাবিশিষ্ট প্রসূতি কেন্দ্রকে ১০০টি শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীতকরণ |
জীবনী
সম্পাদনা১৯২০ সালের অক্টোবর মাসে ব্রিটিশ ভারতের কলকাতা শহরে প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণার জন্ম হয়েছিল। তার বিদ্যালয় শিক্ষা গৌরীমার সারদেশ্বরী আশ্রমে। ছোটোবেলা থেকেই আধ্যাত্মিক বিষয়ের প্রতি তিনি আকৃষ্ট হতেন। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সন্ন্যাসীদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। প্রথম দিকে তিনি নার্সের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ১৯৫০ সালে তিনি টালিগঞ্জে রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের মাতৃভবনে নার্স হিসেবে যোগদান করেন।[২]
১৯৫৩ সালে প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণা রামকৃষ্ণ পরমহংসের শিষ্য তথা রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের চতুর্থ অধ্যক্ষ স্বামী বিরজানন্দের কাছে দীক্ষা ও ব্রহ্মচর্য গ্রহণ করেন।[২] ১৯৫৯ সালে তিনি রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের তৎকালীন অধ্যক্ষ স্বামী শঙ্করানন্দের কাছ থেকে সন্ন্যাস দীক্ষা গ্রহণ করেন।সেই বছরই তিনি শ্রীসারদা মঠের ট্রাস্টি হন। সেই বছর শ্রীসারদা মঠ পৃথক প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি লাভ করেন। ১৯৬০ সালে তিনি রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের গভর্নিং বডির সদস্যপদ লাভক করেন। সেই সময় মাতৃভবন হাসপাতালটি ছিল ১০ শয্যাবিশিষ্ট একটি প্রসূতি কেন্দ্র। তিনি সেখানে নার্স হিসেবে কাজ করেন। পরে তিনি সেখানকার সেক্রেটারি হন। তার নেতৃত্বে হাসপাতালটি একটি ১০০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতালের রূপ নেয়। ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি শ্রীসারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সহ সংঘাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন।[২] ২০০৩ সালের ১৩ এপ্রিল তিনি পানগোটের বেদান্ত সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হন।[৪] ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রব্রাজিকা শুদ্ধাপ্রাণার প্রয়াণের পর এপ্রিল মাসে তিনি মিশনের অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি বলেছিলেন, “সারা জীবন আমি সকলের সঙ্গে থাকতে চেষ্টা করেছি। সেটাই মা সারদা দেবী আমার থেকে চেয়েছিলেন... মায়ের আশীর্বাদ ছাড়া আমরা কিছুই না।”[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণার জীবনাবসান"। আনন্দবাজার পত্রিকা। ১২ ডিসেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০২২।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Healer at the helm"। Tekegraph India। ৩ এপ্রিল ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ Albertson, Edward (১৯৭০)। Vedanta। Sherbourne Press।
- ↑ "Ramakrishna Sarada Mission - Pangot (Nainital), Uttaranchal"। Srisaramath Organization। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৫।