প্রবেশদ্বার:ফিলিস্তিন

প্রবেশদ্বারএশিয়ামধ্যপ্রাচ্যফিলিস্তিন

ফিলিস্তিন প্রবেশদ্বারে স্বাগতম

ফিলিস্তিন বা প্যালেস্টাইন[i] (আরবি: فلسطين, ফিলাস্‌তীন্), সরকারিভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র (আরবি: دولة فلسطين, দাউলাত্ ফিলাস্‌তীন্) নামে পরিচিত, হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নির্বাসনঘোষিত একটি রাষ্ট্র, যেখানে ১৫ নভেম্বর ১৯৮৮ সালে আলজিয়ার্স শহরে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগানাইজেশন (পিএলও) ও প্যালেস্টাইন জাতীয় পরিষদ (পিএনসি) একপাক্ষিক ভাবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। ১৯৮৮ ঘোষণার সময়ে কোনো অঞ্চলেই পিএলওর নিয়ন্ত্রণ ছিল না, যদিও তারা যে অঞ্চলগুলি দাবি করেছিল আন্তর্জাতিকভাবে সেইগুলি ইসরাইলের দখলে রয়েছে। ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ দ্বারা প্রস্তাবিত ফিলিস্তিন বিভাগ যেভাবে প্রস্তাবিত হয়েছিল, সেখানে ফিলিস্তিন ভূখণ্ড (গাজা ভূখণ্ডপশ্চিম তীর) ছাড়াও ইসরায়েল শাসনাধীন কিছু অঞ্চল এবং জেরুজালেমকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দাবী করে তারা।[ii]

১৯৭৪ সালে আরব লীগের শীর্ষ বৈঠকে স্থির হয়েছিল যে, পিএলও ফিলিস্তিনের জনগণের একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি এবং ও তাদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করার আহবান জানিয়েছিল। ২২ নভেম্বর ১৯৭৪, থেকে একটি জাতি হিসেবে পিএলওকে " রাষ্ট্রহীন-সত্ত্বা " রূপে পর্যবেক্ষক অবস্থা রাখা হয়েছিল। যারা কেবলমাত্র জাতিসংঘে তাদের বক্তব্য রাখতে পারতেন, কিন্তু ভোট দেবার কোনো ক্ষমতা ছিল না। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)

নির্বাচিত নিবন্ধ

হেবরনের একটি দোকানে হেবরন কাঁচ

হেবরন কাঁচ (আরবি: زجاج الخليل, প্রতিবর্ণীকৃত: যাজাজ আল-খলিলি) বলতে হেবরনে উৎপাদিত কাচ এবং কাঁচজাত সামগ্রীকে বুঝানো হয়, যেটি রোমান শাসনামলে ফিলিস্তিন অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত এক প্রকার স্বচ্ছ শিল্পকলা মাধ্যম। হেবরন শহরের পুরাতন অংশে এখনও "গ্লাস-ব্লোয়ার কোয়ার্টার" নামে একটি ভবন রয়েছে এবং শহরের একটি অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে কাঁচজাত সামগ্রীর আবেদন বর্তমানেও অব্যাহত আছে। গলিত কাচে সাধারণত স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত কাঁচামাল; নিকটবর্তী গ্রামগুলো থেকে প্রাপ্ত বালু, সোডিয়াম কার্বনেট (মৃত সাগর থেকে), এবং রঞ্জক পদার্থ, যেমন: আয়রন অক্সাইড এবং কপার অক্সাইড ব্যবহৃত হয়। এখানকার উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে কাচের অলঙ্কার, যেমন: পুঁতির মালা, ব্রেসলেট এবং আংটি; সেইসাথে কারুকার্য শৌভিত রঙিন কাচের জানালা এবং কাচের বাতিদানি। তবে, ফিলিস্তিনি-ইসরায়েল সংঘাতের কারণে বর্তমানে কাঁচ উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে।

নির্বাচিত জীবনী

মাহমুদ দারউইশ
মাহমুদ দারউইশ (১৩ মার্চ ১৯৪১ – ৯ আগস্ট ২০০৮) ছিলেন একজন ফিলিস্তিনী কবি, সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদ। তিনি ফিলিস্তিনের জাতীয় কবি হিসেবে বিবেচিত হন।

১৯৪১ সালে আল-বিরওয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করা মাহমুদকে ১৯৪৮ সালের যুদ্ধে শরণার্থী হয়ে লেবাননে আশ্রয় নিতে হয়। পরের বছর দেশে ফিরে এসে তিনি দাইরুল আসাদে প্রাথমিক ও কাফার ইয়াসিফে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। তিনি ইসরাইলী কমিউনিস্ট পার্টির পত্রিকা আল জাদিদের সম্পাদক হিসাবেও কাজ করেন। ১৯৭০ সালে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য মস্কো যান। ১৯৭৩ সালে তিনি পিএলওতে যোগ দিলে ইসরাইল তার দেশে ফেরায় নিষেধাজ্ঞা দেয়। ১৯৮৭ সালে তিনি পিএলও'র কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু অসলো চুক্তির পর ১৯৯৩ সালে তিনি পদত্যাগ করেন। ফলে ১৯৯৫ সালে তিনি রামাল্লায় বসবাসের অনুমতি পান। ৩০টিরও বেশি পদ্য ও ৮টি গদ্য গ্রন্থ রচয়িতা এই সাহিত্যিক বেশ কয়েকটি পত্রিকা ও সাময়িকীতে সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন, পেয়েছেন লোটাস পুরস্কার, লেনিন পুরস্কার সহ অসংখ্য সম্মাননা। ২০০৮ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে হৃদরোগে জনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন।

নির্বাচিত চিত্র

নাবলুস
নাবলুস
কৃতিত্ব: আল আমির সন

নাবলুস পশ্চিম তীরের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর।

আপনি জানেন কি...

বিধ্বস্ত ইসরায়েলি ট্যাংকের উপর দুই জর্ডানি সেনা
বিধ্বস্ত ইসরায়েলি ট্যাংকের উপর দুই জর্ডানি সেনা

নির্বাচিত স্থান

গাজা ভূখণ্ডের মানচিত্র
গাজা ভূখণ্ড বা গাজা উপত্যকা ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত একটি স্বশাসিত ফিলিস্তিনি অঞ্চল। গাজা ভূখণ্ডের পশ্চিমে রয়েছে ভূমধ্যসাগর, দক্ষিণ-পশ্চিমে মিশরের সাথে রয়েছে ১১ কিলোমিটার (৬.৮ মা) সীমান্ত, এবং উত্তরে, পূর্বে, ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ইসরাইলের সাথে আছে ৫১ কিলোমিটার (৩২ মা) সীমান্ত। এই গাজা ভূখণ্ড ও পশ্চিম তীর নিয়েই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত। ভূখণ্ডটি দৈর্ঘ্যে ৪১ কিলোমিটার (২৫ মা) এবং প্রস্থে ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার (৩.৭ থেকে ৭.৫ মা)। ৩৬৫ বর্গকিলোমিটার (১৪১ মা) আয়তনের এই অঞ্চলে প্রায় ১.৮৫ মিলিয়ন মানুষ বসবাস করে। জনসংখ্যার ঘনত্বে অঞ্চলটির অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়।

ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন গাজা এবং পশ্চিম তীর অঞ্চল দুটি ইসরাইলী অঞ্চল দ্বারা পরস্পর থেকে পৃথক হয়ে আছে। ২০০৭ সালের গাজার যুদ্ধের পর থেকে ভূখণ্ডটি ফিলিস্তিনের ইসলামপন্থী সংগঠন হামাস কর্তৃক পরিচালিত হয়ে আসছে, যারা ২০০৬ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছিল। এর পর থেকে অঞ্চলটি ইসরাইল ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বয়কটের মুখে রয়েছে।

নির্বাচিত উক্তি

ইয়াসির আরাফাত
আমাদের মূল লক্ষ্য ভূমধ্যসাগর থেকে জর্ডান নদী পর্যন্ত অঞ্চল মুক্ত করা। ১৯৬৭ সালের জুনে বা জুনের যুদ্ধের পরিণতিগুলো নির্মূল করার ক্ষেত্রে কী ঘটেছিল তা নিয়ে আমরা মোটেই আগ্রহী নই। ফিলিস্তিনি বিপ্লবের মূল উদ্দেশ্য হল আমাদের ভূমি থেকে জায়নবাদের মূলোৎপাটন করা এবং এটি স্বাধীন করা।

বিষয়শ্রেণী

বিষয়শ্রেণী ধাঁধা
বিষয়শ্রেণী ধাঁধা
উপবিষয়শ্রেণী দেখার জন্য [►] ক্লিক করুন

নির্বাচিত বিস্তৃত দৃশ্য

নাবলুস
নাবলুস
কৃতিত্ব: আসাদ১১২

পূর্ব নাবলুস শহরের দৃশ্য, যাতে বামে জাবালে 'আইবাল ও ডানে জাবালে জারিযিম পাহাড় দেখা যাচ্ছে।

সম্পর্কিত প্রবেশদ্বার

উইকিমিডিয়া প্রকল্পসমূহ

উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের নিম্নলিখিত প্রকল্পগুলোতে এ বিষয়ে আরও তথ্য রয়েছে:


উইকিসংবাদ
সংবাদ


উইকিউক্তি
উদ্ধৃতি


উইকিসংকলন
গ্রন্থাগার


উইকিবই
পাঠ্যপুস্তক


কমন্স
মিডিয়া


উইকিঅভিধান
অভিধান


উইকিউপাত্ত
তথ্যশালা


উইকিভ্রমণ
ভ্রমণ নির্দেশিকা

সার্ভার ক্যাশ খালি করুন