প্রফুল্লকুমার সরকার
এই নিবন্ধটির একটা বড়সড় অংশ কিংবা সম্পূর্ণ অংশই একটিমাত্র সূত্রের উপর নির্ভরশীল। (জানুয়ারি ২০২৫) |
প্রফুল্লকুমার সরকার (১৮৮৪ – ১৩ এপ্রিল ১৯৪৪) ছিলেন বাংলার খ্যাতনামা সাংবাদিক। তিনি আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে হতে আজন্ম পত্রিকাটির সম্পাদকও হয়েছিলেন।[১]
প্রফুল্লকুমার সরকার | |
---|---|
জন্ম | ১৮৮৪ কুমারখালি, কুষ্টিয়া, ব্রিটিশ ভারত, বর্তমানে বাংলাদেশ |
মৃত্যু | ১৩ এপ্রিল ১৯৪৪ কলকাতা |
পেশা | খ্যাতনামা সাংবাদিক ও সম্পাদক |
ভাষা | বাংলা |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারতীয় |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | স্কটিশ চার্চ কলেজ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | বঙ্কিম পদক |
দাম্পত্যসঙ্গী | নির্ঝরিণী সরকার |
সন্তান | অশোক কুমার সরকার |
প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা
সম্পাদনাপ্রফুল্লকুমার সরকারের জন্ম ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দের অবিভক্ত বাংলার অধুনা বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালিতে। পিতা প্রসন্নকুমার সরকার। তার পড়াশোনা শুরু হয় পাবনা জিলা স্কুলে। তারপর কলকাতার জেনারেল অ্যাসেমব্লিজ ইনস্টিটিউশনে তথা বর্তমানের স্কটিশ চার্চ কলেজে। এই কলেজ থেকে ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় প্রথম স্থান অধিকার করে বি.এ পাশ করেন এবং বঙ্কিম পদক পান। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে বি.এল পাশ করেন।
কর্মজীবন
সম্পাদনাআইন পাশের পর তিনি কিছু দিন বর্তমানে বাংলাদেশের ফরিদপুরে ও বিহারের বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের ডালটনগঞ্জে বর্তমানে মেদিনীনগরে ওকালতি করেন। পরে ওড়িশা র ঢেঙ্কানল রাজপরিবারের গৃহশিক্ষক হন এবং ক্রমে দেওয়ানপদ লাভ করেন। এরপর বন্ধু সুরেশচন্দ্র মজুমদারের আহ্বানে ও সহযোগিতায় জাতীয়তাবাদী পত্রিকা আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিষ্ঠা করেন। (প্রথম প্রকাশ ১৩ মার্চ ১৯২২, দোল পূর্ণিমার দিন)। ১৯২২ খ্রিস্টাব্দের ৯ সেপ্টেম্বর তিনি বাঘা যতীনের জীবনী ও তার বিষয়ে সম্পাদকীয় মন্তব্য প্রকাশ করে কারারুদ্ধ হন। ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে হতে আমৃত্যু তিনি আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। নিয়মিত সাহিত্যচর্চা করতেন। কথা ও প্রবন্ধ সাহিত্যে তার রচনা উল্লেখযোগ্য। রচিত গ্রন্থগুলি হলো:
- ভ্রষ্টলগ্ন
- অনাগত
- বালির বাঁধ
- ক্ষয়িষ্ণু হিন্দু
- জাতীয় আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ
- শ্রীগৌরাঙ্গ প্রভৃতি।
বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সঙ্গে তিনি ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। তার স্ত্রী নির্ঝরিণী দেবী (১৮৯৪ - ১৯৬৩) ছিলেন একজন লেখিকা ও কংগ্রেসকর্মী। তিনিও স্বদেশী আন্দোলনে অংশ নিয়ে কারারুদ্ধ হন ১৯৩০ এবং ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে। এদের সুযোগ্য পুত্র অশোক কুমার সরকার (১৯১২ - ১৯৮৩) ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠীর প্রধান হন।
মৃত্যু
সম্পাদনাখ্যাতনামা বাঙালি সাংবাদিক-সম্পাদক প্রফুল্লকুমার সরকার ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দের ১৩ এপ্রিল কলকাতায় প্রয়াত হন। তার মৃত্যুর পর কলকাতা মহানগরীতে আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠীর কার্যালয় সংলগ্ন রাজপথের নামকরণ হয় প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬, পৃষ্ঠা ৪০৮, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬