প্রজাপতি মাছ নয়নাভিরাম একটি সামুদ্রিক মাছ। এরা প্রজাপতির মতো বাতাসে উড়ে না বেড়ালেও সমুদ্র তলদেশের শৈলভূমিতে ঘুড়ে বেড়াতে ভালাবাসে। বড় কথা এদের গাত্র নানা রঙে বর্ণিল ও বিচিত্র নকশায় সজ্জিত। এ কারণেই এদের চলতি নাম প্রজাপতি মাছ। কিছু প্রজাপতি মাছের দেহের রঙ অনুজ্জ্বল হলেও অধিকাংশের দেহে রয়েছে উজ্জ্বল নীল, লাল, কমলা ও হলদে পটভূমিতে বিচিত্র সব নকশা ; কোনোটির চোখের চার পাশে রয়েছে কালো রঙের রেখা ; পুচ্ছদেশে চোখের মতো দেখতে ফোঁটা দাগ, যা দেখে সম্ভাব্য শিকারি প্রাণী ধাঁধায় পড়ে যায়। আর এই ফাঁকে প্রজাপতি মাছ যায় পালিয়ে প্রাণ বাঁচায়।

প্রজাপতি মাছ
সময়গত পরিসীমা: ৭.২–০কোটি
বিভিন্ন ধরনের প্রজাপতি মাছ
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
মহাশ্রেণী: Osteichthyes
শ্রেণী: Actinopterygii
উপশ্রেণী: Neopterygii
অধঃশ্রেণী: Teleostei
মহাবর্গ: Acanthopterygii
বর্গ: Perciformes
উপবর্গ: Percoidei
মহাপরিবার: Percoidea
পরিবার: Chaetodontidae
Genera

About 10, see text

প্রতিশব্দ

Chaetodontinae (but see text)

পৃথিবীর অধিকাংশ সামুদ্রিক এলাকায় এদের অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হয়। মৎস বিশেষজ্ঞরা "কিটোডনটিডে"[] পরিবারভুক্ত এ মাছটির এ যাবৎ ১১৪ প্রজাতি[] শনাক্ত করেছেন। এর একটির বৈজ্ঞানিক নাম কিটোডন লুনুলা, যার ছবি তথ্যছকে সন্নিবেশিত। প্রজাপতি মাছ আকারে বড় নয়। ছোট ছোট মাছগুলো ৭ থেকে ৯ ইঞ্চি দীর্ঘ। দেহ চ্যাপ্টা ও পাতলা, অনেকটা চাকতির মতো। দেহের এ রকম গঠন অনেকটা এদের সহদোর প্রজাতি অ্যাঙ্গলার ফিশের মতো। দিনের বেশির ভাগ সময় এরা প্রবালের মধ্যে ঘুরে ফিরে অতিবাহিত করে। খাদ্য নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো প্রজাতির মাছ খুব বাহানা করে, প্রবাল ছাড়া আর কিছুই খেতে চায় না।[] লম্বা ঠোঁট দিয়ে ক্লান্তিহীনভাবে প্রবালের গায়ে ঠুকরে ঠুঁকরে প্রবাল, পলিপ, কীট ও অন্যান্য অমেরুদণ্ডী প্রাণীর সন্ধান করে। কোনো কোনো প্রজাতির প্রজাপতি মাছ ছোট ঝাঁক বেঁধে পানির নিচে ঘোরাফেরা করে। তবে এদের বেশির ভাগই জোড়ায় জোড়ায় চলাফেরা করে। জোড় গঠনের আগ পর্যন্ত নি:সঙ্গ থাকে। রাতে প্রজাপতি মাছ অন্ধকার প্রবালের ফাঁকে লুকিয়ে থাকে। এ সময় এদের উজ্জ্বল রঙ আর বিচিত্র নকশা প্রবালের পটভূমির সাথে মিশে যায়। ঘরে যারা মাছ পোষে তাদের কাছে প্রজাপতি মাছের বিশেস কদর। তবে অ্যাকুয়ারিয়ামে এদের পালন করা সহজ নয। এদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য সর্বক্ষণিক বিশেষ পরিচর্যার প্রয়োজন। এ মাছের দামও বেশি। কিন্তু এদের সৌন্দর্যের কথা ভেবে ক্রেতারা কিনতে মোটেও দ্বিধা করে না।

চিত্রমালা

সম্পাদনা

গ্রন্থসূত্র

সম্পাদনা
  • ইফ্‌ফাত আরাঃ জানার আছে অনেক কিছু, ১৯৯৯, দেশ প্রকাশন, শাহবাগ, ঢাকা।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৭ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০০৯ 
  2. [১]
  3. butterflyfish.net[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] Research link:
    “An important step in some of our early work was to determine exactly which species are reliant on corals for food. Some species can only eat coral, while other butterflyfish eat coral when they can, but will eat other foods if necessary.

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা