প্যারীমোহন সাধারণ গ্রন্থাগার
প্যারীমোহন সাধারণ গ্রন্থাগার বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার সদর উপজেলায় অবস্থিত একটি গ্রন্থাগার। এটি নওগাঁ জেলার প্রথম গ্রন্থাগার। শত বছরের পুরানো গ্রন্থাগারে অনেক বিখ্যাত লেখকের বিরল কিছু বই আছে।[১][২]
দেশ | বাংলাদেশ |
---|---|
ধরন | গণগ্রন্থাগার |
প্রতিষ্ঠিত | ১৯১০ |
অবস্থান | কে ডির মোড়, নওগাঁ সদর উপজেলা, নওগাঁ |
স্থানাঙ্ক | ২৪°৪৮′৪৭″ উত্তর ৮৮°৫৬′৩৮″ পূর্ব / ২৪.৮১৩০৭২° উত্তর ৮৮.৯৪৪০২২° পূর্ব |
সংগ্রহ | |
সংগৃহীত আইটেম | বই, সাময়িকী, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, ডেটাবেস, মানচিত্র, এবং পাণ্ডুলিপি |
মানচিত্র | |
অবস্থান
সম্পাদনাপ্যারীমোহন সাধারণ গ্রন্থাগারটি নওগাঁ জেলা শহরের কে.ডি. মোড়ের নিকটে অবস্থিত। নওগাঁ কে.ডি. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পাশেই গ্রন্থাগারটি অবস্থিত।[৩] গ্রন্থাগারটির নিকটে কাচারী জামে মসজিদ অবস্থিত।
ইতিহাস
সম্পাদনাভারত-পাকিস্তান দেশভাগের পরে, স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগে কো-অপারেটিভ নামের একটি ক্লাব গঠন করা হয়। ক্লাবের সাথে একটি গ্রন্থাগারও প্রতিষ্ঠিত করা হয়। ১৯৫৮ সালে গ্রন্থাগারটি পূর্ণগঠিত করে কো-অপারেটিভ গ্রন্থাগার নামকরণ করা হয়। তৎকালীন সময়ে এই গ্রন্থাগারটি সরকার অনুমোদিত শহরের একমাত্র গ্রন্থাগার ছিল। গ্রন্থাগারটিতে মাক্স মুলার, শেকসপিয়র, বায়রন, মিলটন, ভের্গিল, দান্তের বইসহ অনেক প্রাচীন মূল্যবান বই সংরক্ষিত ছিল। ১৯৭০ সালের মে মাসে তৎকালীন নওগাঁ মহুকুমা প্রশাসক এম.এস. ভূঁইয়া এই গ্রন্থাগারটি প্যারীমোহন সাধারণ গ্রন্থাগার ভবনে স্থানান্তরিত করেছিলেন।[৪]
১৯১০ সালে প্যারীমোহন সাধারণ গ্রন্থাগারটি নির্মাণ করা হয়েছে।[১] স্যান্যাল বংশের রায় সাহেব খেতাবপ্রাপ্ত জমিদার প্যারীমোহন স্যান্যাল (১৮২৭-১৯১৮) গ্রন্থাগারটি নির্মাণ করেন।[৫] প্যারীমোহন স্যান্যাল পি এম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ও প্রতিষ্ঠিত করেছেন।[৬]
নওগাঁ পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হলে, প্রাথমিকভাবে পৌরসভার প্রশাসনিক কাজকর্মের জন্য প্যারীমোহন গ্রন্থাগার ভবন ব্যবহার করা হয়েছিল। পরে পৌরসভার নিজস্ব ভবনে পৌরসভা স্থানান্তরিত হয়।
বিবরণ
সম্পাদনাপ্যারীমোহন সাধারণ গ্রন্থাগারটি দ্বিতল বিশিষ্ট ভবন। গ্রন্থাগারটি সবার জন্য উন্মক্ত। বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা, মাসিক সাময়িকী, দেশী-বিদেশী অনেক বই, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, ডেটাবেস, মানচিত্র, এবং পাণ্ডুলিপি গ্রন্থাগারটিতে সংরক্ষণ করা আছে।
গ্রন্থাগারটিতে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের স্মরণে আলোচনা সভা এবং সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।[৭][৮][৯] গ্রন্থাগারটিতে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল স্মরণে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।[১০] গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ বাংলা চৈত্র-সংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখ উদ্যাপনের ব্যবস্থা করে।[১১] এছাড়াও বিভিন্ন উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান প্যারীমোহন গ্রন্থাগার মিলনায়তনে আয়োজন করা হয়।[১২][১৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "নওগাঁর প্যারীমোহন সাধারণ গ্রন্থাগার"। ডয়চে ভেলে বাংলা। ২০ এপ্রিল ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০২০।
- ↑ "নওগাঁয় একুশে পরিষদ দেশি ফলের উৎসব"। সময়নিউজ২৪.কম। ২০১৯-০৬-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "নওগাঁ সদর উপজেলার দর্শনীয় স্থান"। জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২০২১-০২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৫।
- ↑ বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা - নওগাঁ জেলা। ঢাকা: বাংলা একাডেমি। পৃষ্ঠা ৪৫ ও ৪৬। আইএসবিএন 983-07-5332-0।
- ↑ "প্যারীমোহন সাধারণ গ্রন্থাগার"। জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২০২০-০৬-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৫।
- ↑ বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা - নওগাঁ জেলা। ঢাকা: বাংলা একাডেমি। পৃষ্ঠা ৬২। আইএসবিএন 983-07-5332-0।
- ↑ "নওগাঁয় ৩ শিল্পীকে স্মরণ"। জাগো নিউজ। ৯ ডিসেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৫।
- ↑ "নওগাঁয় রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ স্মরণে আলোচনাসভা"। কালের কণ্ঠ। ২৪ জুন ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৫।
- ↑ BanglaNews24.com। "নওগাঁয় প্রয়াত শিল্পীদের স্মরণে সঙ্গীতানুষ্ঠান"। banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৫।
- ↑ "নওগাঁ সাহিত্য পরিষদের বিজয়ের কবিতা পাঠ"। দৈনিক যুগান্তর। ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৫।
- ↑ "নওগাঁয় চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে শোভাযাত্রা"। Silkcity News। ২০১৮-০৪-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "নওগাঁয় ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন"। দৈনিক ইত্তেফাক। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭। ২০২০-০৬-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৫।
- ↑ শহিদুল ইসলাম (১২ অক্টোবর ২০১৯)। "সবুজ নওগাঁ গড়ার প্রত্যয়ে বন্ধু ফোরামের বৃক্ষরোপণ"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৫।