গ্যাংটক জেলা
গ্যাংটক জেলা (পূর্বনাম: পূর্ব সিকিম জেলা) ভারতের সিকিম রাজ্যের একটি জেলা। এটি রাজ্যের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত। গ্যাংটক জেলার সদর শহর হল রাজ্যের রাজধানী গ্যাংটক।
গ্যাংটক জেলা | |
---|---|
জেলা | |
সিক্কিমের মানচিত্রে পূর্ব সিক্কিম জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৭°১৯′ উত্তর ৮৮°৩৬′ পূর্ব / ২৭.৩১৭° উত্তর ৮৮.৬০০° পূর্ব | |
রাজ্য | সিকিম |
দেশ | ভারত |
আসন | গ্যাংটক |
আয়তন | |
• মোট | ৯৬৪ বর্গকিমি (৩৭২ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৬১০ মিটার (২,০০০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২,৮১,২৯৩ |
• জনঘনত্ব | ২৯০/বর্গকিমি (৭৬০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় সময় (ইউটিসি+০৫:৩০) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | IN-SK-ES |
ওয়েবসাইট | http://esikkim.gov.in |
এই জেলার সাধারণ নাগরিকদের বসতি অঞ্চল শাসন করেন কেন্দ্রীয় সরকার নিযুক্ত এক জেলা সমাহর্তা। সামরিক এলাকা শাসন করেন এক মেজর জেনারেল।[১]
ইতিহাস
সম্পাদনাগ্যাংটক জেলা অতীতে সিকিম দেশীয় রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ঊনবিংশ শতাব্দীতে ভুটান এই অঞ্চল দখল করে নেয়। ইঙ্গ-ভুটান যুদ্ধের পর এই অঞ্চল ব্রিটিশদের দখলে আসে। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর এই অঞ্চল ভারতের আশ্রিত রাজ্য সিক্কিমের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের সময় নাথুলা পাসে কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। ১৯৭৫ সালে সিক্কিম আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের ২২তম অঙ্গরাজ্যে পরিণত হয়।
ভূগোল
সম্পাদনাএই জেলা ভৌগোলিকভাবে খুবই সংবেদনশীল। গণচীন ও ভুটান রাষ্ট্রের সীমান্ত এই জেলা-বরাবর থাকার জন্য গ্যাংটকের পূর্বে এই জেলার বেশিরভাগ এলাকা ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণাধীন। কয়েকটি এলাকা ছাড়া গ্যাংটকের পূর্ব দিকে পর্যটকদের যেতে দেওয়া হয় না। এই জেলার ছাঙ্গু লেক, বাবা মন্দির ও নাথু লা গিরিপথ জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। প্রাচীনকালে ভারত ও লাসার মধ্যে যে রেশম পথ ছিল, তা এই গিরিপথ দিয়ে প্রসারিত ছিল। শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকদেরই বাবা মন্দির ও গিরিপথের কাছে যেতে দেওয়া হয়। এই অঞ্চলে যেতে পর্যটক কার্যালয় থেকে বিশেষ পারমিট নিতে হয়। গ্যাংটকের বিখ্যাত পর্যটনস্থলগুলি হল ফোডং মঠ ও রুমটেক মঠ।
জনপরিসংখ্যান
সম্পাদনা২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, গ্যাংটক জেলার জনসংখ্যা ২৮১,২৯৩।[১] এই জনসংখ্যা বার্বাডোজ রাষ্ট্রের প্রায় সমান।[২] জনসংখ্যার হিসেবে ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে এই জেলার স্থান ৫৭৪তম।[১] এই জেলার জনঘনত্ব ২৯৫ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (৭৬০ জন/বর্গমাইল) ।[১] ২০০১-২০১১ দশকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১৪.৭৯%।[১] পূর্ব সিক্কিমের লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ পুরুষে ৮৭২ জন।[১] এই জেলার সাক্ষরতার হার ৮৪.৬৭%।[১]
গ্যাংটক জেলার অধিকাংশ বাসিন্দা নেপালি বংশোদ্ভুত। ছাড়াও ভুটিয়া, লেপচা ও তিব্বতি জাতির মানুষ দেখা যায়। এই জেলার প্রধান ভাষা হল নেপালি ভাষা।
উদ্ভিদ ও প্রাণী
সম্পাদনাগ্যাংটক জেলায় তিনটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য আছে: বারসে রডোডেনড্রন, ফামবং হো ও ক্যোংমোসলা আল্পীয়।[৩]
বিভাগ
সম্পাদনাগ্যাংটক জেলা তিনটি মহকুমায় বিভক্ত:[৪]
নাম | সদর | অবস্থান |
---|---|---|
গ্যাংটক | গ্যাংটক | |
প্যাকিয়ং | প্যাকিয়ং | |
রোংলি | রোংলি |
পাদটীকা
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।
- ↑ US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২০১১-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১।
Barbados 286,705 July 2011 est.
- ↑ Indian Ministry of Forests and Environment। "Protected areas: Sikkim"। ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১১।
- ↑ Sikkim Administrative Divisions (PDF) (মানচিত্র) (English ভাষায়)। The Registrar General & Census Commissioner, India, New Delhi, Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৯।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট
- উইকিভ্রমণ থেকে গ্যাংটক জেলা ভ্রমণ নির্দেশিকা পড়ুন।