পূর্ব কেপ
পূর্ব কেপ দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম একটি প্রদেশ। এর রাজধানী ভিশো, তবে এর দুটি বৃহত্তম শহর পূর্ব লন্ডন এবং গকেবেরহা।
পূর্ব কেপ iMpuma-Kapa (খোসা) Oos-Kaap (আফ্রিকান্স) Kapa Botjhabela (Southern Sotho) | |
---|---|
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রদেশ | |
নীতিবাক্য: ঐক্যের মাধ্যমে উন্নয়ন | |
দক্ষিণ আফ্রিকায় পূর্ব কেপের অবস্থান | |
দেশ | দক্ষিণ আফ্রিকা |
প্রতিষ্ঠিত | ২৭ এপ্রিল ১৯৯৪ |
রাজধানী | ভিশো |
বৃহত্তম শহর | গকেবেরহা (পোর্ট এলিজাবেথ) |
জেলা | |
সরকার | |
• ধরন | সংসদীয় ব্যবস্থা |
• প্রধান | প্রধান অস্কার মাবুয়ানে (এএনসি) |
• আইন-সভা | পূর্ব কেপ প্রাদেশিক আইনসভা |
আয়তন[১]:৯ | |
• মোট | ১,৬৮,৯৬৬ বর্গকিমি (৬৫,২৩৮ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ২য় (দক্ষিণ আফ্রিকা) |
সর্বোচ্চ উচ্চতা | ৩,০১৯ মিটার (৯,৯০৫ ফুট) |
সর্বনিন্ম উচ্চতা | ০ মিটার (০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১]:১৮[২] | |
• মোট | ৬৫,৬২,০৫৩ |
• আনুমানিক (২০১৯) | ৬৭,১২,২৭৬ |
• ক্রম | ৪র্থ (দক্ষিণ আফ্রিকা) |
• জনঘনত্ব | ৩৯/বর্গকিমি (১০০/বর্গমাইল) |
• ঘনত্বের ক্রম | ৬ষ্ঠ (দক্ষিণ আফ্রিকা) |
জন গোষ্ঠীসমূহ[১]:২১ | |
• কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান | ৮৬.৩% |
• Coloured | ৮.৩% |
• শ্বেতাঙ্গ | ৪.৭% |
• ভারতীয় বা এশিয়ান | ০.৪% |
ভাষা[১]:২৫ | |
• খোসা | ৭৮.৮% |
• আফ্রিকান্স | ১০.৬% |
• জুলু | ৫.৬% |
• ইংরেজি | ২.৫% |
সময় অঞ্চল | এসএএসটি (ইউটিসি+২) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | জেডএ-ইসি |
এইচডিআই (২০১৭) | ০.৬৪৯[৩] মাঝারি · ৯তম |
ওয়েবসাইট | www.ecprov.gov.za |
১,৬৮,৯৬৬ কিমি ২ এলাকা নিয়ে উত্তর কেপ প্রদেশের পরে এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রদেশ। প্রদেশটি কেপ প্রদেশের পূর্ব অংশের সাথে ১৯৯৪ সালে খোসা হোমল্যান্ডস বা ট্রান্সকেই এবং সিস্কাইয়ের বান্টুস্টানগুলিসহ গঠিত হয়। প্রদেশের মধ্য ও পূর্ব অংশ আদিবাসী খোসা জাতির ঐতিহ্যগত বাসভূমি। ১৮২০ সালে এই অঞ্চলটিতে মূলত ইংল্যান্ড থেকে এবং কিছু স্কটল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ড থেকে আগত ইউরোপীয়ানদের দ্বারা বসতি স্থাপন করা শুরু করে।
ইতিহাস
সম্পাদনাদক্ষিণ আফ্রিকান প্রদেশ হিসাবে পূর্ব কেপ ১৯৯৪ সালে অস্তিত্ব লাভ করে এবং ট্রান্সকেই ও সিসকিয়ের পূর্বের খোজা হোমল্যান্ডস অঞ্চলগুলি একত্রে কেপ প্রদেশের অংশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর ফলে এই অঞ্চলে চারটি সুপ্রিম কোর্ট (গ্রাহামটাউন, পোর্ট এলিজাবেথ, ভিশো এবং মাথা) এবং প্রদেশের কোয়াজুলু-নাটালের ছিটমহল সহ একাধিক ব্যতিক্রম দেখা যায়।
ইউরোপীয় বসতি স্থাপনকারীগণ
সম্পাদনাআঠারো শতকের শেষদিকে কেপ কলোনী ধীরে ধীরে দেশের পূর্ব দিকে প্রসারিত হচ্ছিল। এর ফলে প্রতিষ্ঠাতা গভর্নর কর্নেলিয়াস জ্যাকব ভ্যান ডি গ্রাফ এবং তাঁর স্ত্রী রিনেট গ্রাফের নামকরণ করা গ্রাফ-রেইনেটের নামে ডাচ বসতি স্থাপন করা হয়। পরে নেপলীয় যুদ্ধের সময় ইংল্যান্ড তার নাগরিকদের এই অঞ্চলে ইংরেজ জনসংখ্যা বৃদ্ধির উপায় হিসাবে কেপ কলোনিতে চলে যেতে অনুপ্রাণিত করে। স্থানীয় খোসা এবং খোই সম্প্রদায় এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানায়নি।
আইন ও সরকার
সম্পাদনাপ্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন রেমন্ড ম্লাবা এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অস্কার মাবুয়ানে; উভয়ই আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের। কিং উইলিয়ামস টাউনের পাশেই ভিশোর শহরটি প্রদেশের রাজধানী হিসাবে পরিষেবা প্রদান করে। সংসদ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারী ভবনগুলি পরিপার্শ্ববর্তী এলাকাতে অবস্থিত। এই অঞ্চলের সকল আদালতের তুলনায় প্রধান আদালতটি উচ্চ আদালত হিসাবে গ্রাহামটাউনে অবস্থিত এবং এই প্রদেশের স্থানীয় আসন হল পোর্ট এলিজাবেথ, পূর্ব লন্ডন এবং ভিশো।
ভূগোল
সম্পাদনাপূর্ব কেপ প্রদেশ কার্যক্রমে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিক তুলনামূলকভাবে বেশি আর্দ্র। পশ্চিমের বেশিরভাগ অংশ আধা শুষ্ক কারু, দক্ষিণাঞ্চল ব্যতীত, যা সিতসিক্ম্মা অঞ্চলে নাতিশীতোষ্ণ চিরহরিত বনভূমি। উপকূলটি সাধারণত ইতস্ততভাবে সমুদ্র সৈকতগুলি নিয়ে গঠিত। প্রদেশের বেশিরভাগ অংশ গ্রিফ-রেইনেট এবং রোডসের মধ্যবর্তী অঞ্চলে স্নেবার্গ (ইংরেজি: স্নো মাউন্টেনস), স্টর্মার্জ, উইন্টারবার্গ এবং ড্রাকেন্সবার্গ (ইংরেজি: ড্রাগন পর্বতমালা) সহ পাহাড়ি এলাকা। প্রদেশের সর্বোচ্চ স্থানটি হল ৩০০১ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট বেন ম্যাকধুই। পূর্ব লন্ডন এবং কুইন্সটাউন থেকে পূর্ব দিকে কোয়াজুলু-নাটাল সীমান্ত প্রজন্ত অঞ্চলটি ট্রান্সকেই নামে পরিচিত। এটি ঘূর্ণায়মান পাহাড়ের উপর স্নিগ্ধ তৃণভূমি, যা বিরতিহীন বনের সাথে গভীর খাঁদগুলি দিয়ে বিভক্ত।
জলবায়ু
সম্পাদনাজলবায়ু অত্যন্ত বৈচিত্রময়। পশ্চিম অঞ্চল অত্যন্ত ঠাণ্ডা শীতকাল এবং গরম গ্রীষ্মকালে সঙ্গে শীত অথবা গ্রীষ্মকালে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সঙ্গে শুষ্ক জলবায়ুযুক্ত। গ্রাহামটাউন থেকে সিতসিক্ম্মা অঞ্চলে আরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়, যা তুলনামূলকভাবে সমানভাবে বিতরণ হয় এবং তাপমাত্রাও হালকা থাকে। আরও পূর্বদিকে, বৃষ্টিপাত আরও প্রচুর পরিমাণে হয় এবং আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায়, গ্রীষ্মের বৃষ্টিপাতের সাথে উপকূলীয় অঞ্চল আরও উপ-ক্রান্তীয় হয়ে ওঠে। শীতকালে মাঝে মাঝে ভারী তুষারপাতের সঙ্গে শীতল হয়ে উঠতে পারে মল্টেনো এবং রোডসের মধ্যবর্তী পাহাড়ি অঞ্চল।
অর্থনীতি
সম্পাদনাপূর্ব কেপ দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে দরিদ্রতম প্রদেশ।[৪][৫] পূর্বের জন্মভূমিতে জীবিকা নির্বাহে কৃষির প্রাধান্য রয়েছে, যার ফলে ব্যাপক দারিদ্র্য দেখা যায়। রফতানিমুখী শিল্পে বিনিয়োগ বাড়াতে কোয়েগায় একটি বহু বিলিয়ন মূল্যের “র্যান্ড শিল্প বিকাশ অঞ্চল” এবং গভীর জলের বন্দর তৈরি করা হচ্ছে।[৬] জনসংখ্যার ১৩.৫% হওয়া সত্ত্বেও এই প্রদেশটি জাতীয় জিডিপিতে কেবল ৮% অবদান রাখে। ইস্টার্ন কেপ এর আসল জিডিপি ২০১৭ সালে আনুমানিক ২৩০.৩ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে, এই প্রদেশটিকে লিম্পোপো এবং এমপুমালঙ্গার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার চতুর্থ বৃহত্তম আঞ্চলিক অর্থনীতিতে পরিণত করেছে।[৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ Census 2011: Census in brief (পিডিএফ)। Pretoria: Statistics South Africa। ২০১২। আইএসবিএন 9780621413885। ১৩ মে ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Mid-year population estimates, 2019 (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। Statistics South Africa। ৩১ জুলাই ২০১৯। পৃষ্ঠা 2। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Sub-national HDI - Area Database - Global Data Lab"। hdi.globaldatalab.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-১৩।
- ↑ "Mapping poverty in South Africa"। southafrica-info.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-৩১।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Eastern Cape remains SAs poorest province"। dispatchlive.co.za। ২০১৭-০৮-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-৩১।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Billion investments coega special economic zone"। biznews.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-৩১।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Eastern Cape Economy — ECDC"। ecdc.co.za। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-৩১।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]