পূর্বঘাট পর্বতমালা
পূর্বঘাট হলো ভারতের পূর্ব উপকূল জুড়ে অসমানভাবে বিন্যস্ত পার্বত্য এলাকার সাধারণ নাম। এটি উত্তর ওড়িশা থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু পেরিয়ে কর্ণাটক হয়ে কেরালা পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি গোদাবরী নদী, মহানদী, কৃষ্ণা ও কাবেরী দ্বারা বিখন্ডিত।
পূর্বঘাট পর্বতমালা | |
---|---|
সর্বোচ্চ বিন্দু | |
শিখর | জিন্দাগাদা[১], অন্ধ্রপ্রদেশ, ভারত |
উচ্চতা | ১,৬৯০ মিটার (৫,৫৪০ ফু) |
তালিকাভুক্তি | |
মাপ | |
দৈর্ঘ্য | ১,৫০০ কিমি (৯৩০ মা) N–S |
ভূগোল | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ু |
অঞ্চল | পূর্ব ভারত এবং দক্ষিণ ভারত |
জনবসতি | ভিশাখাপত্তনাম, Vijayawada, Tirupati, Kurnool, Srisailam, সেন্ট থমাস মাউন্ট, চেন্নাই, ভেলোর, Salem, সিরুমালাই, Dindigul, Thiruvannamalai এবং ভূবনেশ্বর |
বায়োম | বনজ |
ভূতত্ত্ব | |
শিলার ধরন | আগ্নেয়, লৌহ এবং চুনাপাথর |
এই পর্বতমালাটি বঙ্গোপসাগরের সমান্তরালে সজ্জিত। দাক্ষিণাত্যের মালভূমি এর পশ্চিমে অবস্থিত এবং পূর্বঘাট ও পশ্চিমঘাটের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। পূর্বঘাট এবং বঙ্গোপসাগরের মধ্যের এলাকাটি করমন্ডল উপকূল অঞ্চলসহ উপকূলীয় সমভূমি। পূর্বঘাট পশ্চিম ঘাটের ন্যায় উচ্চতা বিশিষ্ট নয়।
ভূগোল
সম্পাদনাপূর্ব ঘাট অঞ্চল পশ্চিম ঘাটের তুলনায় অধিক প্রাচীন এবং এর একটি জটিল ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস রয়েছে যার সংগঠন ও বিখন্ডন রডিনিয়ায় প্রাচীন মহাদেশের গঠন এবং গন্ডোয়ানিয়ান বৃহত্ মহাদেশের গঠনের সাথে সম্পর্কিত।
পূর্ব ঘাট চর্নাকোট, গ্রানাইট গিনিস, খুন্ডালাইট, মেটামোরফিক গিনিস এবং কোয়ার্টজাইট শিলায় সংযোজনে গঠিত। পূর্ব ঘাটের কাঠামোর মধ্যে রয়েছে সংযোজ্যতা এবং ভূচ্যুতি,[২] যা তার পার্বত্য এলাকায় বিস্তৃত। চুনাপাথর, বক্সাইট এবং লৌহ আকরিক পূর্ব ঘাট পার্বত্য এলাকায় দেখতে পাওয়া যায়।
তিরুমলা পাহাড়ের সংযোজিত অসম্পূর্ণতাটি ভুসংস্থানিক তাত্পর্যের একটি প্রধান গুরুত্বপূর্ণ অবয়ব যা ক্ষয়প্রাপ্ত এবং বর্ধিত একটি ব্যাপক সময়ের প্রতিনিধিত্ব করে। অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তোর জেলার তিরুমলা ঘাট সড়কে এই খাড়া প্রাকৃতিক ঢাল, রাস্তাঘাট ও উপত্যকাগুলি দৃষ্ট হয়।[৩][৪]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Kenneth Pletcher (আগস্ট ২০১০)। The Geography of India: Sacred and Historic Places। The Rosen Publishing Group, 2010। পৃষ্ঠা 28–। আইএসবিএন 978-16-1530-142-3। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০১৩।
- ↑ "Geology of Eastern Ghats in Andhra Pradesh" (পিডিএফ)। Proceedings of the Indian Academy of Sciences - Section B। 66 (5): 200–205। নভেম্বর ১৯৬৭। ডিওআই:10.1007/BF03052185।
- ↑ "Eparchaean Unconformity, Tirumala Ghat section"। Geological Survey of India। ২০১৩-০৪-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-২০।
- ↑ Geological Monuments of India। Eparchaean Unconformity (Tirupati Tirupati Road)। Geological Survey of India। ২০০১। পৃষ্ঠা 5–8।