পূর্ণিমা (ভারতীয় অভিনেত্রী)
পূর্ণিমা দাস ভার্মা (জন্ম: মেহেরবানু মোহাম্মদ আলী; ২ মার্চ ১৯৩৪ - ১৪ আগস্ট ২০১৩) ছিলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি প্রধানত হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্রে কাজ করেছিলেন ।[১][৩][৪] তিনি ছিলেন পরিচালক মহেশ ভাটের মাসী এবং অভিনেতা ইমরান হাশমীর দাদি ।
পূর্ণিমা দাস ভার্মা[১] | |
---|---|
জন্ম | মেহেরবানু মোহাম্মদ আলী[১] ২ মার্চ ১৯৩৪ বোম্বে, বোম্বেপূর্ণিমা (হিন্দি অভিনেত্রী) প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান মুম্বাই, মহারাষ্ট্র, ভারত) |
মৃত্যু | ১৪ আগস্ট ২০১৩ | (বয়স ৭৯)
পেশা | অভিনয়শিল্পী |
দাম্পত্য সঙ্গী |
|
সন্তান | ১ |
আত্মীয় | মহেশ ভাট (ভাতিজা) ইমরান হাশমী (নাতি)[২] |
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনা১৯৩৪ সালে ২ মার্চ মেহেরবানু মোহাম্মদ আলী জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বড় বোন শিরিন, পরিচালক মহেশ ভাট এবং মুকেশ ভাটের মা।[৫] মেহেরবানুর প্রথম স্বামী ছিলেন একজন সাংবাদিক সৈয়দ শওকত হাশমি, যিনি ভারত বিভক্তির সময় পাকিস্তানে চলে যান। এই প্রথম বিবাহ থেকে তাঁর এক পুত্র, আনোয়ার হাশমী (ইমরান হাশমীর পিতা), যিনি ১৯৬৮ সালে “বাহারোঁ কে মঞ্জিল” ছবিতে ফারিদা জলালের বিপরীতে অভিনয় করেন।[১] ১৯৫৪ সালে, তিনি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ভগবান দাস ভার্মাকে। মেহেরবানু চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করার সময় নিজের নাম পরিবর্তন করে ‘পূর্ণিমা’ রাখেন।
কর্মজীবন
সম্পাদনাপূর্ণিমা ৮০টিরও বেশি বলিউড ছবিতে অভিনয় করেছেন।[১] তিনি ৪০-এর দশকের শেষ থেকে ৫০-এর দশক পর্যন্ত জনপ্রিয় হিন্দি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে রয়েছে পাতঙ্গা (১৯৪৯), জোগান (১৯৫০), সগাই (১৯৫১), জাল (১৯৫২), অরাত (১৯৫৩), অজয় দেবগনের প্রথম চলচ্চিত্র ফুল অউর কাঁটে-তে একটি ভূমিকা, এবং মহেশ ভাট পরিচালিত নাম চলচ্চিত্রে সঞ্জয় দত্তের পর্দার ঠাকুমার চরিত্র।[৬] তিনি জঞ্জীর ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের মায়ের ভূমিকাও পালন করেছিলেন।
মৃত্যু
সম্পাদনাপূর্ণিমা জীবনের শেষ কয়েক বছরে আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত ছিলেন এবং ১৪ আগস্ট, ২০১৩ সালে মারা যান।[১][৭] পরে মহেশ ভাট টুইটারে প্রকাশ করেন, "আমার খালা পূর্ণিমা, আমাদের পরিবারের প্রথম তারকা এবং যিনি এমরান হাশমির ঠাকুমা, জীবনের সায়াহ্নে প্রবেশ করেছেন।[৮]
নির্বাচিত চলচ্চিত্রের তালিকা
সম্পাদনা- পতঙ্গা (১৯৪৯)
- জোগান (1950)
- সাগাই (১৯৫১)
- বাদল (১৯৫১)
- জাল (১৯৫২)
- আওরাত (১৯৫৩)
- বাঘি সিপাহী (১৯৫৮)
- হুমজোলি (১৯৭০)
- বনফুল (১৯৭১)
- জাঞ্জির (1973)
- গঙ্গা কি সৌগন্ধ (১৯৭৭)
- খারা খোটা (১৯৮১)
- পুনম (১৯৮১)
- হাম সে বদকার কৌন(১৯৮১)
- কালিয়া (১৯৮১)
- ধরম কান্ত (১৯৮২)
- ইনকিলাব অমরনাথ খালা
- ইয়াদগার (১৯৮৪)
- সাদা সুহাগন (১৯৮৬)
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Bollywoodirect (১৩ আগস্ট ২০১৮)। "Remembering yesteryear Hindi film actress Purnima on her 5th death anniversary."। Medium। Medium। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১৯।
- ↑ "My wife and my audience, both took time to understand me: Emraan Hashmi - Times of India"। The Times of India।
- ↑ "Emraan Hashmi shares a beautiful picture of his grandmother, actress Purnima, on her death anniversary"। timesnownews.com (ইংরেজি ভাষায়)। India: Times Now। ১৪ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১৯।
- ↑ "Emraan Hashmi's grandmother passes away - Times of India"। The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। India। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১৯।
- ↑ "ETimes BFFs: Did you know Faraaz producer Sahil Saigal is Alia Bhatt's cousin? Check out the long and complicated filmy lineage of the Bhatts!"।
- ↑ "Emraan Hashmi's grandmother passes away - Times of India"। The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২১।
- ↑ "कभी बॉलीवुड पर राज करती थी ये एक्ट्रेस, आर्थिक तंगी के कारण घर तक पड़ा था बेचना"। amarujala.com। ১৪ আগস্ট ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ Mahesh Bhatt [@MaheshNBhatt]। "My aunt Poornima, the first star of our family & who happens to be Emraan Hashmi's grandmother has entered the sunset moments of her life." (টুইট) – টুইটার-এর মাধ্যমে।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে পূর্ণিমা (ইংরেজি)