পুলিশ আইন ১৮৬১
এই নিবন্ধে একাধিক সমস্যা রয়েছে। অনুগ্রহ করে নিবন্ধটির মান উন্নয়ন করুন অথবা আলাপ পাতায় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন।
|
পুলিশ আইন ১৮৬১[১]
The Police Act V of 1861
ধারা ১। সংজ্ঞা:- বিষয়বস্তু বা প্রসঙ্গ বিবেচনায় অনরূপ অর্থ প্রকাশ না পাইলে এই আইনে নিম্নলিখিত শব্দ বা শব্দসমষ্টি নিম্নর্বপ অর্থে ব্যবহৃতত হইবে, যথাঃ
“জেলা ম্যাজিস্ট্রেট” বলিতে একটি জেলার প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা যিনি বিচারক হিসাবেও ক্ষমতা প্রয়োগ করিয়া থাকেন। উক্ত অফিসার অন্য যেকোন নামেও অভিহিত হইতে পারেন।
“ম্যাজিস্ট্রেট” বলিতে জেলার ম্যাজিস্টেট হিসাবে সকল ক্ষমতা অথবা যেকোন একটি ক্ষমতা প্রয়োগকারী সকল ব্যক্তিকে বুঝাইবে।
“পুলিশ’ বলিতে এই আইনের অধীনে নিযুক্ত সকল কর্মচারীকে বুঝাইবে।
“জনারেল পুলিশ ডিস্ট্রিক্ট” বলিতে দেশের যে অঞ্চল বা অঞ্চলের অংশবিশেষের উপর এই আইন বলবৎ বা প্রযোজ্য তাহা বুঝাইবে।
“জেলা সুপারিন্টেন্ডেন্ট” অথবা ‘জেলা সুপারিন্টেন্ডেন্ট’ বলিতে সহকারী পুলিশ সুপারিন্টেন্ডন্ট এবং এই আইনের অধীনে অনুর্বপ কার্য সম্পাদনের জন্য নিযুক্ত সকল ব্যক্তিকে বুঝাইবে।
“সম্পত্তি” (Property) বলিতে কোন অস্থাবর সম্পত্তি, টাকা-পয়সা ও মূল্যবান দলিল-পত্রাদিকেও বুঝাইবে।
“ব্যক্ত “ বলিতে ‘কোম্পানী’ বা ‘কর্পোরেশন’ ও বুঝাইবে।
‘গবাদিপশু’ বলিতে শিং- বিশিষ্ট গবাদিপশু ব্যতীতও হাতি, উট, ঘোড়া, গাধা, ভেড়া, ছাগল ও শূকর ইত্যাদি শিং- বিহীন পশুকেও বুঝাইবে।
‘নিম্নপদস্থ পুলিশ কর্মচারী’ বলিতে পুলিশ পরিদর্শক ইন্সপেক্টরের অধস্তন পুলিশ কর্মচারীবৃন্দকে বুঝাইবে।
ধারা ২। দেশের সকল পুলিশ কর্মচারী এই আইনের অধীনে সরকারের একটিমাত্র পুলিশ বাহিনী বলিয়া বিবেচিত হইবে। এই বাহিনী গঠনে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারিত হইবে। এই আইনের বিধান মোতাবেক সরকার নিম্নপদস্থ পুলিশ কর্মচারীগণের বেতন ও চাকরির যাবতীয় শর্তাবলী নির্ধারণ করিবেন।
ধারা ২-ক। সরকার সঠিক বিবেচনা করিলে বৈধ এবং আইনসঙ্গতভাবেই বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশকে যতগুলি প্রয়োজন ততগুলি সাধারণ ‘পুলিশ জেলায়’ বিভক্ত করিতে পারিবেন এবং বিভিন্ন সময়ে এইরূপ যেকোন সাধারণ ‘পুলিশ জেলাকে’ আবার পরিবর্তন বা রদবদল করিতে পারিবেন অথবা সঠিক বিবেচনা করিলে এইরূপ দুই বা ততোধিক সাধারণ ‘পুলিশ জেলাকে’ আবার একত্রিত করিয়া একটিমাত্র পুলিশ জেলায় রূপান্তরিত করিতে পারিবেন।
ধারা ২-খ। সরকার বৈধ এবং আইনসঙ্গতভাবেই পুলিশের ইন্সপেক্টর-জেনারেলের ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য এইরূপ প্রতিটি সাধারণ পুলিশ জেলার জন্য কতিপয় ব্যক্তিকে নিয়োগ করিতে পারিবেন। উক্ত রূপ ব্যক্তিগণ সরকারের অধীনে অন্য কোন পদে নিযুক্ত থাকিতে ও পারেন বা না-ও থাকিতে পারেন এবং এইরূপ সাধারণ পুলিশ জেলার মধ্যে সামগ্রিকভাবে পুলিশী প্রশাসন পরিচালনা এবং এই আইনের অধীনে অথবা অন্য কোন আইনের অধীনে পুলিশ ইন্সপেক্টর-জেনারেলকে প্রদত্ত সকল ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব, এই সকল ব্যক্তিগণের উপর অর্পিত বা আরোপিত হইবে।
ধারা ২-গ। এই আইনের উদ্দেশ্যে এইরূপ প্রতিটি ‘পুলিশ জেলার’ সমগ্র পুলিশ সংস্থা একটি মাত্র পুলিশ বাহিনী বলিয়া বিবেচিত হইবে। সরকারের আদেশবলে আনুষ্ঠানিকভাবে এইরূপ পুলিশ বাহিনীতে অফিসার ও সাধারণ পুলিশ কর্মচারী নিযুক্ত হইবেন এবং বিভিন্ন সময়ে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ মোতাবেক নির্ধারিত পদ্ধতিতেই নির্ধারিত সংখ্যক অফিসার ও সাধারণ পুলিশ কর্মচারী লইয়া এইরূপ বাহিনী গঠিত হইবে। এইরূপ পুলিশ বাহিনীতে ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্টের অধস্তন পদের অফিসার ও সাধারণ পুলিশ কর্মচারীদের বেতন ও চাকরির শর্তাবলী এই আইনের বিধান মোতাবেক সরকার কর্র্তৃক নির্ধারিত হইবে।
ধারা ২-ঘ। সরকার বৈধ ও আইনসঙ্গতভাবেই যেকোন সাধারণ পুলিশ জেলায় নিযুক্ত পুলিশ যেকোন সদস্যকে বাংলাদেশের অন্য যেকোন পুলিশ জেলার পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ করিতে পারিবেন এবং ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের বিধান মোতাবেক পুলিশ অফিসারগণের উপর অর্পিত ক্ষমতা, তাহারা তাহাদেরে স্ব-স্ব পুলিশ জেলার স্থানীয় আওতা বা এখতিয়ার নির্বিশেষে প্রয়োগ করিতে পারিবেন।
ধারা ৩। সরকার দেশের সকল অংশের পুলিশ বাহিনীর সকল কার্য তত্ত্বাবধান করিবেন এবং সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত না হইয়া অন্য কেহ বা কোন অফিসার বা আদালত পুলিশের কার্যে হস্তক্ষেপ করিতে পারিবে না।
ধারা ৪। দেশের সকল অংশের পুলিশের সকল প্রশাসনিক ক্ষমতা ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ এবং সরকারের অনুমোদনক্রমে বিশেষ কোন ডেপুটি অথবা সহকারী ইন্সপেক্টও-জেনারেলের উপর অর্পিত হইবে। জেলার পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নিয়ন্ত্রণাধীনে জেলা সুপারিন্টেন্ডেন্টে অথবা সরকারের সিদ্ধান্তক্রমে কোন সহকারী সুপারিন্টেন্ডেন্টের উপর ন্যস্ত থাকিবে।
ধারা ৪-ক।
(১) সরকার প্রয়োজন মনে করিলে যেকোন সময় পুলিশের একজন অতিরিক্ত ইন্সপেক্টর-জেনারেল নিয়োগ করিতে পারিবেন।
(২) অনুর্বপভাবে নিযুক্ত পুলিশের অতিরিক্ত ইন্সপেক্টর-জেনারেল, ইন্সপেক্টর-জেনারেল কর্তৃক অর্পিত কর্তব্য ও দায়িত্ব পালন করিবেন এবং উক্তরূপ কর্তব্য ও দায়িত্ব পালনে তিনি ইন্সপেক্টর-জেনারেলের অনুরূপ প্রয়োগ করিবেন।
ধারা ৫। পুলিশের ইন্সপেক্টর-জেনারেল দেশের সকল জেলায় ম্যাজিস্ট্রেটের পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী হইবেন। তবে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে প্রদত্ত আদেশ বলে নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে তিনি ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন।
ধারা ৬। (বাতিল)
ধারা ৭। কোন অযোগ্যতা, দোষত্রুটি বা কর্তব্যে অবহেলার দরুন অধস্তন কর্মচারীকে চাকরি হইতে যেকোন সময় বরখাস্ত অথবা সাসপেন্ড করিবার অথবা পদাবনতির আদেশ দিবার ক্ষমতা, সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সময় প্রণীত নিয়ম সাপেক্ষে ইন্সপেক্টর-জেনারেল, ডিআইজি এবং পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্টের থাকিবে। ইহা ব্যতীত অসতর্কভাবে বা অবহেলা করিয়া কার্য করিবার দায়ে অধস্তন পুলিশ কর্মচারীকে তাঁহারা নিম্নলিখিত এক বা একাধিক শাস্তি দিতে পারিবেনঃ
(ক)অনধিক এক মাসের বেতনের সমপরিমাণ জরিমানা।
(খ)অনধিক ১৫ দিন পর্যন্ত ব্যারাকে আটক করা এবং গার্ডডিউটি অথবা অন্য কোন শ্রমসাধ্য কাজ দেওয়া।
(গ)সদাচরণ বেতন হইতে বঞ্চিত করা।
(ঘ)কোন বিশষ পদমর্যাদা বা ভাতা রহিত করা।
দ্রষ্টব্যঃ চাকরি হইতে বরখাস্ত (Dismissal) বা অপসারণের (Removal) আদেশ দিতে হইলে কিংবা পদাবনতির আদেশ দিতে হইলে কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মচারীর নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষই উক্তরূপ আদেশ দিতে পারেন। তাঁহার নিম্নপদস্থ কোন অফিসার উক্তরূপ আদেশ দিতে পারেন না।
উপরিউক্ত শাস্তিগুলির মধ্যে কতকগুলিকে ‘গুরুদন্ড’’ এবং ‘লঘুদন্ড-’ বলা হয়। নিম্নে এইগুলি আলোচনা করা হইলঃ
গুরুদন্ডঃ (১) চাকরি হইতে বরখাস্তকরণ, (২) অপসারণ, (৩) পদাবনতি, (৪ বেতনবৃদ্ধি স্থগিতকরণ, (৫)পদোন্নতি স্থগিতকরণ।
লঘুদন্ড সতর্কীকরণ, তিরস্কার, অতিরিক্ত ড্রিল, ফেটিগ ডিউটি, আটক বা নজরবন্দী।
গুরুদন্ড ও লঘুদন্ডের মধ্যে পার্থক্যঃ গুরুদন্ড এর শাস্তির বিরুদ্ধে আপীল করা চলে এবং ডিপার্টমেন্টাল প্রসিডিং করিতে হয়। লঘুদন্ডের বিরুদ্ধে আপীল নাই এবং লঘুদন্ড দিবার জন্য ডিপার্টমেন্টাল প্রসিডিং র্বজু করিবার প্রয়োজন হয় না।
সাসপেনশন- অর্থাৎ কিছুদিনের জন্য কর্মচ্যুতিকে বিশেষ দন্ড বলা হয়।
ইহা কোন সময় বৈধ বা সঙ্গত?
কোন কর্মচারীর আচরণ সম্পর্কে তদন্ত চলাকালে তাহার চাকরিতে থাকা যদি জনসাধারণের স্বার্থবিরোধী বলিয়া বিবেচিত হয় তাহা হইলে ইহা বৈধ
সাসপেনশনকালে সাময়িকভাবে কর্তব্য ক্ষমতা থাকে না কিন্তু নিয়ম-কানুন সবই বলবৎ থাকে।
ডিসমিস্যাল ও ডিসচার্জেও মধ্যে পার্থক্যঃ ডিসমিস্যাল হইলে সরকারি কাজে পুনরায় নিয়োগ নিষিদ্ধ হয় আর ডিসচার্জে তাহা হয় না।
ধারা ৮। এই আইনের ৪ ধারায় উল্লিখিত অফিসার ব্যতীত প্রত্যেক পুলিশ কর্মচারী নিযুক্ত হইলে একটি করিয়া নিয়োগপত্র (certificate) পাইবে। নির্ধারিত ফরমে এই সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। ইহার বলে সে পুলিশের সকল ক্ষমতা, কর্তব্য দায়িত্ব ও সুযোগের অধিকারী হইবে। এই সার্টিফিকেট আইজি বা তৎকর্তৃক নিযুক্ত অপর কোন পুলিশ অফিসার দ্বারা মোহরাঙ্কিত হইবে। পদত্যাগ, বরখাস্ত প্রভৃতি কোন কারণে পুলিশ কর্মচারীর নিয়োগের অবসান ঘটিলে উক্ত সার্টিফিকেট উপযুক্ত পুলিশ কর্মচারীর নিকট জমা দিতে হইবে।
কোন পুলিশ কর্মচারীর সাময়িক কর্মচ্যুতি বা সাসপেনশনের ফলে তাঁহার প্রাপ্ত ক্ষমতা ও অধিকারসমূহ সাময়িকভাবে বিলুপ্ত হয় না। কিন্তু শৃঙ্খলা, দায়িত্ব ও শাস্তি সম্পর্কীয় নিয়ম-কানুনগুলি সাসপেন্ড কর্মচারীর উপরেও সমভাবে প্রযোজ্য থাকিবে অর্থাৎ সাসপেন্ড হওয়া সত্ত্বেও কর্মচারী আইনানুগ (Discipline) ও দায়িত্ব মানিয়া চলিতে বাধ্য থাকিবেন।
ধারা ৯। পুলিশ জেলা সুপারিন্টেন্ডেন্টের অনুমতি ব্যতিরেকে অথবা উক্ত বিষয়ে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অপর কোন অফিসারের বিনানুমতিতে অথবা ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারকে দুই মাসের লিখিত নোর্টিস না দিয়া কেহ পুলিশের কার্যে ইস্তফা দিতে পারিবে না। তবে যদি অনুরূপ অনুমতি প্রদানের ক্ষমতা অপর কোন পুলিশ কর্মচারীর উপর অর্পিত থাকে, তবে তাঁহার অনুমতি লইয়াও পদত্যাগ করা চলিবে।
ধারা ১০। ইন্সপেক্টর-জেনারেলের লিখিত অনুমতি ভিন্ন কোন পুলিশ কর্মচারী এই আইনের অধীনে নিজ কর্তব্যকর্ম ব্যতীত অন্য কোন নিয়োগ বা চাকরি গ্রহণ করিতে পারিবে না।
ধারা ১১। (বাতিল)
ধারা ১২। সরকারের সম্মতিক্রমে ইন্সপেক্টর-জেনারেল, পুলিশ বাহিনীর গঠন, শ্রেণিবিভাগ, কর্তব্য, অস্ত্রশস্ত্র, পোশাক-পরিচ্ছেদ এবং বাসগৃহ সম্পর্কে নিয়োম-কানুন প্রণয়ন করিতে পারিবেন এবং পুলিশের গুপ্ত সংবাদ সংগ্রহ এবং উহার আদান-প্রদান, কর্তব্য পরিদর্শন এবং পুলিশ বাহিনীর দক্ষতা রক্ষা প্রভৃতি বিষয়ে নিয়ম-কানুন প্রণয়ন বা আদেশ জারি করিতে পারিবেন।
ধারা ১৩। কোন ব্যক্তির আবেদনক্রমে আবশ্যক মনে করিলে কোন স্থানের শান্তিশৃংখলা রক্ষার নিমিত্ত ম্যাজিষ্ট্রেটের নির্দেশ মতে অতিরিক্ত পুলিশ কর্মচারী নিয়োগ করা যাইবে। তবে এই অতিরিক্ত পুলিশ কর্মচারী ইন্সপেক্টর-জেনারেল বা সহকারী আইজি, অথবা জেলার পুলিশ সুপারের কর্তৃত্বাধীন থাকিবে। অতিরিক্ত পুলিশ কর্মচারীর খরচা আবেদনকারীকে বহন করিতে হইবে এবং উক্ত পুলিশ কর্মচারীগণকে উঠাইয়া লইবার আবেদন জানাইয়া এক মাস পূর্বে দরখাস্ত করিলে উক্ত দরখাস্তের তারিখ হইতে এক মাস অন্তে উক্ত ব্যক্তি খরচা বহনের দায় হইতে রেহাই পাইবে।
ধারা ১৪। রেলপথ, খাল বা কোন কলকারখানা স্থাপিত হইলে এবং সেখানে অধিক সংখ্যক লোক কাজ করিতে থাকিলে এবং উক্তরূপ সংস্থার সহিত যুক্ত কোন ব্যক্তির কার্য বা আশঙ্কিত কার্যের দরুন উক্ত স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়োগের আবশ্যকতা দেখা দিলে, সরকারের অনুমোদনক্রমে ইন্সপেক্টর-জেনারেল শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার নিমিত্ত প্রয়োজন বোধ করিলে এইরূপ স্থানের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ কর্মচারী নিযুক্ত করিতে পারিবেন। এইরূপে নিযুক্ত পুলিশ রক্ষীর খরচার টাকা প্রদানের জন্য এই সকল কারখানার মালিক বা ভারপ্রাপ্ত কর্মচারীকে আদেশ দেওয়া চলিবে এবং উক্তরূপ আদেশ দেওয়া হইলে তিনি উহা পালন করিতে বাধ্য থাকিবেন।
ধারা ১৪-ক।
(১) বর্তমানে বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহাই থাকুক না কেন, পুলিশের ইন্সপেক্টর-জেনারেল অথবা তাহার দ্বারা এই ক্ষেত্রে লিখিতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন অফিসার সরকারের অনুমোদনক্রমে এবং সরকারি গেজেটে প্রকাশিত আদেশবলে রেলওয়ে রক্ষী বাহিনীকে (Watch and Ward) বা উহার কোন অংশকে পুলিশ বাহিনীতে রূপান্তরিত করিতে পারিবেন। এইরূপ পুলিশ বাহিনীতে রূপান্তরিত ব্যক্তিগনের পদমর্যাদা ও ইহার মেয়াদ সরকারি গেজেটে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লিখিত থাকিবে।
(২) এই ধারার (১) উপধারার অধীনে সরকারি গেজেটে প্রকাশের পর এইরূপ রেলওয়ে রক্ষী বাহিনী (Watch and Ward) ১৮৬১ সালের পুলিশ আইনের আওতাধীন হইবে।
(৩) এই ধারার (১) উপধারার অধীনে রূপান্তরিত পুলিশ বাহিনীর প্রত্যেক ব্যক্তি বা সদস্য একইরূপ ক্ষমতা, সুযোগ, সুবিধা এবং নিরাপত্তার অধিকারী হইবে এবং একইরূপ কর্তব্য ও দায়িত্ব পালনের জন্য দায়ী হইবে এবং একইরূপে শান্তিযোগ্য হইবে এবং পুলিশ অফিসারগণের ন্যায় একই কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন বা অধীনস্থ হইবে।
ধারা ১৫।
(১) সরকার ইচ্ছা করিলে সরকারি গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পূর্বক এবং অন্য যেকোন পদ্ধতিতে দেশের কোন নির্দিষ্ট এলাকাকে উপদ্রুত বা বিপদজনক এলাকা বলিয়া ঘোষণা করিতে পারেন, অথবা এইরূপ ঘোষণার প্রচার করিতে পারেন যে, কোন নিদিষ্ট এলাকার অধিবাসীগণের অথবা তাহাদের কোন শ্রেণী বা তাহাদের কতকাংশের আচরণের ফলে উক্ত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ নিয়োগের প্রয়োজন হইয়াছে।
(২)। উক্তরূপ ঘোষণা প্রচারিত হইলে, আইজি অথবা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অপর কোন পুলিশ অফিসার সরকারের সম্মতি লইয়া উক্ত এলাকায় কর্মরত সাধারণ পুলিশ বাহিনীর কর্মচারীবৃন্দ ব্যতীত অতিরিক্ত পুলিশ উক্ত এলাকায় মোতায়েন করিতে পারিবেন।
(৩) উক্তরূপ করা হইতে ঐ অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী উক্ত এলাকায় মোতায়েন রাখিবার জন্য যে খরচা হইবে তাহা এই ধারায় (৫) উপধারার বিধান মোতাবেক মওকুফ সাপেক্ষে এলাকার স্থানীয় অধিবাসীগণের নিকট হইতে আদায় করা হইবে।
(৪) উক্ত ব্যয়ভার বাবদ অধিবাসীবৃন্দের মধ্যে কাহার নিকট হইতে কত টাকা আদায় করা হইবে তাহা জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ঠিক করিয়া দিবেন এবং কোন ব্যক্তিকে উক্তরূপ খরচা প্রদানের দায়িত্ব হইতে রেহাই দেওয়া যাইবে কিনা তাহাও তিনি স্থির করিবেন।
(৫) সরকার ইচ্ছা করিলে আইনসঙ্গতভাবেই বিশেষ আদেশবলে উক্ত এলাকার এইরূপ অধিবাসীগণের মধ্যে যে কোন ব্যক্তি, শ্রেণী বা সম্প্রদায়কে অনুরূপ খরচা বা উহার কোন অংশের দায় হইতে অব্যাহতি দিতে পারিবেন।
(৬) এই ধারার (১) উপধারার অধীনে প্রতিটি ঘোষণায় ইহার মেয়াদ বা কার্যকাল বা কার্যকারিতা কতদিন বলবৎ থাকবে তাহার উল্লেখ থাকিতে হইবে। তবে সরকার ইহা যে কোন সময়ে প্রত্যাহার করিতে পারিবেন অথবা প্রতিটি ঘটনা বা অবস্থার পরিপেক্ষিতে সরকার মনে করিলে পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময়ে কোন নির্দিষ্ট সময় বা কালের জন্য উহা পুনঃপ্রবর্তন করিতে পারিবেন।
ব্যাখ্যাঃ এই ধারায় উদ্দেশ্য অধিবাসী বলিতে সেই সকল ব্যক্তিকে বুঝাইবে, যাহারা নিজেরা তাহাদের কোন প্রতিনিধি অথবা কোন কর্মচারী বা চাকরের মাধ্যেমে অনুরূপ এলাকায় কোন সম্পত্তি বা স্থাবর সম্পত্তি ভোগ-দখল করেন এবং সেই সকল জমিদার বা f~¯^vgx, যাহারা নিজেরা অথবা কোন প্রতিনিধি বা কর্মচারী বা ভৃত্যের মাধ্যমে অনুরূপ এলাকায় দখলদার কোন প্রজা বা রায়তের নিকট হইতে প্রত্যক্ষভাবে খাজনা বা ভাড়া আদায় করিয়া থাকেন। এমনকি উক্ত এলাকায় বসবাস না করিলেও তাহারা উহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন।
মন্তব্যঃ এই ধারা অনুসারে নিযুক্ত অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনীকে সাধারণ ভাষায় ‘পিউনিটিভ পুলিশ’ বলে এবং ইহার ব্যয়ভার বাবদ অধিবাসীবৃন্দের নিকট হইতে যে টাকা আদায় করা হয়, সাধারণ ভাষায় তাহাকে Punitive tax বা ‘পিটুনী কর’ বলে।
ধারা ১৫-ক।
(১) উপদ্রুত অঞ্চলে দুর্বৃত্তগণের দুষ্কার্যের ফলে যদি কাহারও মৃত্যু ঘটে, কেহ গুরুতর রূপে আহত হয় কিংবা বিষয়-সম্পত্তির ক্ষতি সাধিত হয়, তবে সেইরূপ ব্যক্তি ক্ষতিপূরণ পাইবার জন্য ক্ষতির তারিখ হইতে এক মাসের মধ্যে অথবা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত স্বল্প সময়ের মধ্যে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট দরখাস্ত করিতে পারিবে এবং ম্যাজিষ্ট্রেট উক্ত দরখাস্ত বিবেচনা করিয়া আবেদনকারীকে ক্ষতিপূরণ পাইবার যোগ্য বলিয়া ঘোষণা করিয়া নিয়মানুসারে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করিতে পারিবেন। এবং তিনি আবেদনকারী ব্যতীত অপরাপর স্থানীয় ব্যক্তিগণের নিকট হইতে আনুপাতিক হারে উহা আদায় করিতে পারিবেন।
অবশ্য যদি আবেদনকারী ব্যক্তি কোন দাঙ্গা-হাঙ্গামা বা বেআইনি জনসমাবেশের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হইয়া থাকে এবং আবেদনকারী স্বয়ং উহাতে অংশগ্রহণ না করিয়া থাকে, কেবলমাত্র সেই ক্ষেত্রেই এই ধারা অনুসারে আদেশ প্রদত্ত হইতে পারে।
(২) ইহার পর সরকারের অনুমোদনক্রমে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট প্রয়োজন মনে করিলে নিম্নোক্ত উদ্দেশ্যে পূর্ববর্তী ধারার বিধান মোতাবেক অনুরূপ উপদ্রুত এলাকায় কোন অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হইয়াছে কিনা তাহা তদন্ত বা অনুসন্ধান করিবেনঃ
(ক) দুর্বৃত্তগণের এইরূপ দুষ্কার্যের দারুণ আহত কবা আঘাতপ্রাপ্ত অথবা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিগণের বিষয় ঘোষণার জন্য ;
(খ) অনুরূপভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণের জন্য দেয় ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ এবং উহা বিতরণের জন্য এবং
(গ) আনুপাতিক হার নির্ধারণ, যাহার মাধ্যমে অনুরূপ এলাকার অধিবাসীগণ ক্ষতিপূরণ প্রদান করিবেন।
অবশ্য এইরূপ ক্ষেত্রে ম্যাজিষ্ট্রেট এই উপধারার অধীনে এই মর্মে কোন ঘোষণা প্রকাশ করিবেন না। অথবা ক্ষতিপূরণের জন্য কোন কর ধার্য বা নিরূপণ করিবেন না, যতক্ষণ না তিনি সুনিশ্চিত হইতে পারিবেন অথবা তাহার মনে এইরূপ বিশ্বাস জন্মিবে যে পূর্বোল্লিখিত আঘাত বা ক্ষতির কারণ এইরূপ এলাকায় দাঙ্গা-হাঙ্গামা অথবা বেআইনি দলবদ্ধতা বা বেআইনি জনসমাবেশের কারণে সংঘটিত হইয়াছে এবং যে ব্যক্তি এইরূপে আঘাতপ্রাপ্ত বা আহত হইয়াছে অথবা ক্ষতিপ্রস্ত হইয়াছে সেই ব্যক্তি নিজে অনুরূপ দাঙ্গা-হাঙ্গামা বা ঘটনার অভিযোগ হইতে সম্পূর্ণ মুক্ত ছিলেন।
(৩) সরকার আইনসঙ্গতভাবেই কোন আদেশবলে অনুরূপ এলাকার অধিবাসীগণের মধ্যে বা যেকোন ব্যক্তি বা শ্রেণী অথবা সম্প্রদায়কে অনুরূপ ক্ষতিপূরণ বা উহার কোন অংশ প্রদানের দায় হইতে অব্যাহতি দিতে পারিবেন।
(৪) এই ধারার (২) উপধারার অধীনে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যেকটি ঘোষণা অথবা কর ধার্যকরণ বা আদেশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনার বা সরকারের নিকট রিভিশনের জন্য আবেদন করা যাইবে এবং উহার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে।
(৫) এই ধারার অধীনে অনুরূপভাবে আহত বা আঘাত প্রাপ্তির দরুন ক্ষতিপূরণ দানের আদেশের বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী আদালতে মামলা চলিবে না। ব্যাখ্যাঃ এই ধারায় উল্লিখিত অধিবাসী শব্দের অর্থ পূর্ববর্তী ধারায় প্রদত্ত অর্থের অনুরূপ হইবে।
ধারা ১৬।
(১) এই আইনের, ১৩, ১৪, ১৫, এবং ১৫(ক) ধারার অধীনে দেয় সকল অর্থ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ১৮৮২ সালের ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৩৮৬ এবং ৩৮৭ ধারায় প্রদত্ত বিধান ও পদ্ধতি অনুযায়ী জরিমানার টাকা আদায়ের পদ্ধতিতে আদায় করিবেন অথবা কোন উপযুক্ত আদালতে মামলা দায়ের করিয়া আদায় করিবেন।
(২) বাতিল।
(৩) এইরূপে ১৫ (ক) ধারার অধীনে প্রদত্ত অথবা আদায়কৃত সকল অর্থ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট উক্ত ধারায় বর্ণিত বিধান মোতাবেক দেয়া হারে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিগণের মধ্যে বিতরণ করিবেন।
ধারা ১৭।
(১) কোন স্থানে বেআইনি জনতা বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা অথবা ব্যাপক শান্তিভঙ্গ ঘটিলে অথবা ঘটিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকিলে অথবা ১৯৫২ সালের চোরাচালান প্রতিরোধ আইনের অধীনে কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে অথবা সংঘটিত হইবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকিলে এবং তাহা আয়ত্তে আনা সাধারণ পুলিশ বাহিনীর পক্ষে সাধ্যাতীত বলিয়া বিবেচিত হইলে তজ্জন্য এই অধিবাসীগণের মধ্য হইতে স্পেশাল পুলিশ নিযুক্ত করিবার প্রার্থনা জানাইয়া আবেদন করিলে ম্যাজিষ্ট্রেট দরখাস্ত অগ্রাহ্য করিবার কোন কারণ না থাকিলে, উহা মঞ্জুর করিবেন। স্থানীয় অধিবাসীগণের মধ্য হইতে নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তিকে স্পেশাল পুলিশ কর্মচারীরূপে নিয়োগ করিবেন। অথবা অনুরূপ পরিস্থিতিতে মহকুমা ম্যাজিষ্ট্রেট নিজ উদ্যোগেও উহা করিতে পারেন।
(২) উপরিউক্ত (১) উপধারার অধীনে নিযুক্ত স্পেশাল পুলিশ অফিসারগণের নামের তালিকা তৎক্ষণাৎ জেলা পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট-এর নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।
ধারা ১৮। এইভাবে নিযুক্ত স্পেশাল পুলিশ, পুলিশ কর্মচারীর সকল ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, দায়িত্ব ও সুযোগের অধিকারী হইবে এবং পুলিশ বাহিনীর ন্যায় অপরাধ, শৃংঙ্খলা প্রভৃতির জন্য কর্তৃত্বের অধীন থাকিবে।
ধারা ১৯। স্পেশাল পুলিশ নিযুক্ত হইয়া কেহ বিনা কারণে কর্তব্যে অবহেলা করিলে বা কর্তব্য করিতে A¯^xKvi করিলে তাহার প্রতি গাফিলতির দায়ে ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে বিচারে অনধিক ৫০ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে দন্তিত হইবে।
ধারা ২০। এই আইনে অথবা পরবর্তীকালে বিধিবদ্ধ কোন আইনে প্রদত্ত পুলিশ কর্মচারীর নিদিষ্ট ক্ষমতা ব্যতীত কোন পুলিশ কর্মচারী অন্য কোন ক্ষমতা ব্যবহার করিতে পারিবে না।
ধারা ২১। বাতিল
ধারা ২২। এই আইনের উদ্দেশ্যে প্রত্যেক পুলিশ কর্মচারী সর্বদা কার্যে রত (on duty) বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং যেকোন সময় জেলার যেকোন স্থানে তাহাকে পুলিশ অফিসার হিসাবে নিযুক্ত করা যাইবে।
ধারা ২৩। নিম্নলিখিত কার্যগুলি সকল পুলিশ অফিসারের কর্তব্য বলিয়া গণ্য হইবেঃ
(১) উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সকল বৈধ আদেশ দ্রুত পালন বা কার্যকরী করা;
(২) উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সর্বপ্রকার বৈধ পরওয়ানা জারি ও দ্রুত কার্যকরী করা;
(৩) সর্বসাধারণের শান্তিরক্ষা সম্পর্কিত সংবাদ সংগ্রহ ও যথাস্থানে তাহার রিপোর্ট দান করা;
(৪) কোন অপরাধ সংঘটিত হইতে দেখিলে বা হইবার আশঙ্কা থাকিলে উক্ত অপরাধ প্রতিরোধ বা নিবারণ করা;
(৫) সর্বসাধারণের বিরক্তকর কার্য অর্থাৎ পাবলিক ন্যুইসেন্স নিবারণ করা;
(৬) অপরাধের বৃত্তান্ত অনুসন্ধান বা উদ্ঘাটন করা;
(৭) অপরাধীকে বিচারার্থে আদালতে সোপর্দ করা;
(৮) আইনসঙ্গতভাবে গ্রেফতারযোগ্য সকল ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা।
উপরিউক্ত কর্তব্যসমূহ পালনের জন্য সকল পুলিশ কর্মচারী যেকোন সরাবখানা, জুয়ার আড্ডা বা সন্ধিগ্ধ ও উচ্ছৃংখল চরিত্রের লোকদের সমাগমের স্থানে বিনা পরওয়ানায় প্রবেশ করিতে পারিবেন ও তথায় কি আছে, না আছে তাহা পরিদর্শন করিতে পারিবেন।
ধারা ২৪। যে কোন পুলিশ অফিসার কোন অপরাধ সম্পর্কে ম্যাজিষ্ট্রেটকে অবহিত করিতে পারিবে এবং যেকোন অপরাধী ব্যক্তির প্রতি সমন, ওয়ারেন্ট বা খানাতল্লাশির পরওয়ানা বা অন্যবিধ আইনসঙ্গত পরওয়ানার জন্য আবেদন করিতে পারিবেন।
ধারা ২৫। কোন বেওয়ারিশ বা দাবিদারহীন সম্পত্তি পাওয়া গেলে প্রত্যেক পুলিশ অফিসারের কর্তব্য হইবে তাহা হেফাজতে লওয়া এবং সম্পত্তির একটি তালিকা প্রস্তুত করিয়া উহা ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট দাখিল করিতে হইবে।
ম্যাজিষ্ট্রেটের আদেশ অনুযায়ী পুলিশ অফিসার এই ব্যাপারে পরিচালিত হইবেন এবং উহার চূড়ান্ত ব্যবস্থা করিবেন।
ধারা ২৬।
(১) এইরূপ সম্পত্তি পাওয়া গেলে উহার বিবরণসহ ম্যাজিষ্ট্রেট ঘোষণা প্রকাশ করিতে পারিবেন এবং উহাতে কাহারও দাবি থাকিলে ঘোষণা প্রকাশের ৬ মাসের মধ্যে তাহাকে তাহার দাবি পেশ করিতে হইবে।
(২) এই ধারায় উল্লিখিত সম্পত্তির ক্ষেত্রে ১৮৮২ সালের ফৌজদারী কার্যবিধির ৫২৫ ধারায় বিধান প্রযোজ্য হইবে।
ধারা ২৭।
(১) যদি কোন ব্যক্তি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এইরূপ সম্পত্তি অথবা উহার বিক্রয়লদ্ধ অর্থ দাবি না করে অথবা পূর্ববর্তী ধারার (২) উপধারার অধীনে যদি উহা বিক্রয় করা না হইয়া থাকে তাহা হইলে জেলার ম্যাজিষ্টেটের আদেশে উহা বিক্রয় করিয়া দেওয়া হইবে।
(২) পূর্ববর্তী উপধারার অধীনে এই সম্পত্তির বিক্রয়লদ্ধ অর্থ এবং ২৬ ধারার অধীনে এইরূপ সম্পত্তির বিক্রয়লদ্ধ অর্থ সম্পর্কে কোন দাবি প্রতিষ্ঠিত না হইলে উহা সরকারি তহবিলে জমা হইয়া যাইবে।
ধারা ২৮। এই আইনের অধীনে দরখাস্ত, পদত্যাগ প্রভৃতির ফলে কোন ব্যক্তির পুলিশ হিসাবে নিয়োগে বা নিযুক্তির অবসান ঘটিলে সেই ব্যক্তি নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে নিয়োগপত্র, পোশাক-পরিচ্ছদ এবং অস্ত্রশস্ত্র যাহা কর্তব্য সম্পাদনের নিমিত্ত তাহাকে দেওয়া হইয়াছিল তাহা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিবে। জমা না দিলে ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে বিচারে তাহার ২০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা ৬ মাস পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ড কিংবা উভয়বিধ দন্ড হইতে পারিবে।
ধারা ২৯। যে কোন পুলিশ কর্মচারী যদি নিম্নলিখিত রূপে যেকোন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়, যথা
(১) কর্তব্যচ্যুতি (Violation of duty) কোন নিয়ম (rule) বা রেগুলেশন (Requlation) অমান্য করা ও গাফিলতি।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। Archived from the original on ১২ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১।