পি. বালচন্দ্রন
পদ্মনভন বালচন্দ্রন নায়র (মালয়ালম: പി. ബാലചന്ദ്രൻ; ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ - ৫ এপ্রিল ২০২১)[১] ছিলেন একজন ভারতীয় লেখক, নাট্যকার, পরিচালক ও অভিনেতা। তিনি মালয়ালম সাহিত্য ও মালয়ালম চলচ্চিত্রে তার কাজের জন্য পরিচিত ছিলেন। তিনি ১৯৮৯ সালে পাবম উসমান নাটকের জন্য কেরল সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার এবং প্রতিরূপঙ্গল নাটকের জন্য কেরল পেশাদার নাটক পুরস্কার লাভ করেন।[২] তার রচিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল উল্লাদাক্কাম (১৯৯৪), পবিত্রম (১৯৯৫), অগ্নিদেবন (১৯৯৫), পুনরধিবসম (২০০০), ও কাম্মাত্তি পাদম (২০১৬)। ২০১২ সালে তিনি ইবান মেঘরুপন চলচ্চিত্র দিয়ে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এছাড়া তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ত্রিবন্দ্রুম লজ (২০১২)। তিনি ২০২১ সালের ৫ই এপ্রিল বাইকমে তার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন।[৩]
পি. বালচন্দ্রন | |
---|---|
പി. ബാലചന്ദ്രൻ | |
জন্ম | পদ্মনভন বালচন্দ্রন নায়র ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ ষষ্ঠমকোট্টা, কোল্লাম, ভারত |
মৃত্যু | এপ্রিল ৫, ২০২১ |
মাতৃশিক্ষায়তন | দেবস্বম বোর্ড কলেজ, ষষ্ঠমকোট্টা স্কুল অব ড্রামা অ্যান্ড ফাইন আর্টস, ত্রিশূর |
পেশা |
|
দাম্পত্য সঙ্গী | শ্রীলতা |
সন্তান | ২ |
পুরস্কার | কেরল সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাবালচন্দ্রন ১৯৫২ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি কেরল রাজ্যের কোল্লাম জেলার ষষ্ঠমকোট্টায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা পদ্মনভ পিল্লাই এবং মাতা সরস্বতী বাঈ।[৪] তিনি ত্রিশূরের স্কুল অব ড্রামা অ্যান্ড ফাইন আর্টস থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তিনি এমজি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব লেটার্সে এবং পরে স্কুল অব ড্রামাতে অধ্যাপনা করতেন।[৫]
কর্মজীবন
সম্পাদনাবালচন্দ্রনের অভিনয় জীবন শুরু হয় রিচার্ড অ্যাটনবারার ১৯৮২ সালের গান্ধী চলচ্চিত্রে অতিরিক্ত শিল্পী হিসেবে। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল ত্রিবন্দ্রুম লজ (২০১২), থ্যাংক ইউ (২০১৩), সাইলেন্স (২০১৩), চার্লি (২০১৫)।[৬] তাকে সর্বশেষ মম্মুট্টি অভিনীত রাজনৈতিক থ্রিলার চলচ্চিত্র ওয়ান-এ দেখা যায়।[১]
তার চলচ্চিত্র রচনার সূত্রপাত ঘটে মোহনলাল অভিনীত আঙ্কল বান (১৯৯১) দিয়ে। যদিও এটি একটি বিদেশি চলচ্চিত্রের মালয়ালম চলচ্চিত্ররূপ, তিনি তার পরবর্তী চলচ্চিত্র উল্লাদাক্কাম (১৯৯৪) দিয়ে তার বিশেষত্ব দেখান। তার রচিত পবিত্রম (১৯৯৫) চলচ্চিত্রটিতে দুই ভাই বোনের সম্পর্ক তুলে ধরা হয়েছে, যাদের বয়সের ব্যবধান প্রায় ৩০ বছর।[৫] এছাড়া তিনি অগ্নিদেবন (১৯৯৫), পুনরধিবসম (২০০০), ও কাম্মাত্তি পাদম (২০১৬) চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য রচনা করেন। ২০১২ সালে মালয়ালম মহাকবি পি. কুনিরামন নায়রের জীবনীনির্ভর ইবান মেঘরুপন চলচ্চিত্র দিয়ে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এটি তার একমাত্র পরিচালিত চলচ্চিত্র।[১]
নাট্যকার হিসেবে তিনি পাবম উসমান নাটকের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। এই রচনার জন্য তিনি কেরল সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া একই বছর তিনি প্রতিরূপঙ্গল নাটকের জন্য কেরল পেশাদার নাটক পুরস্কার লাভ করেন।[৫]
ব্যক্তিগত জীবন ও মৃত্যু
সম্পাদনাতিনি শ্রীলতার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে, তারা হলেন শ্রীকান্ত ও পার্বতী।[৭]
তিনি ২০২১ সালের ৫ই এপ্রিল ৬৯ বছর বয়সে বাইকমে তার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন।[৮]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ "Malayalam actor P Balachandran dies at 62"। দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস (ইংরেজি ভাষায়)। ৫ এপ্রিল ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "Kerala Sahitya Akademi Award (Drama)"। কেরল সাহিত্য অকাদেমি। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "നടനും തിരക്കഥാകൃത്തുമായ പി.ബാലചന്ദ്രന് അന്തരിച്ചു"। মাতৃভূমি (মালায়ালাম ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "interviews"। মঙ্গলম। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ ক খ গ প্রবীণ, এস আর (৫ এপ্রিল ২০২১)। "Malayalam screenwriter P. Balachandran passes away"। দ্য হিন্দু (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "P.Ramachandran"। আইবিএন লাইভ। ১৩ মে ২০১২। ১২ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "Archived copy"। ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "തിരക്കഥാകൃത്തും നടനുമായ പി.ബാലചന്ദ്രൻ അന്തരിച്ചു"। মনোরমা অনলাইন (মালায়ালাম ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০২১।