অপুংজনি
অপুংজনি বা পারথেনোজেনেসিস (/ˌpɑːrθɪnoʊˈdʒɛnɪsɪs,
পার্থেনোজেনেসিস প্রাকৃতিকভাবে কিছু উদ্ভিদে দেখা যায়, কিছু অমেরুদণ্ডী প্রাণী প্রজাতি (নেমাটোডা, ওয়াটার ফ্লিয়া, কিছু বিচ্ছু, এফিডস, কিছু মাইট, কিছু মৌমাছি, কিছু ফসমিডা এবং পরজীবী বর্জ্য) এবং কয়েকটি মেরুদণ্ডী (যেমন কিছু মাছ, উভচর প্রাণী, সরীসৃপ[৪][৫] এবং খুবই অল্পসংখ্যক পাখি[৬]) প্রাণীতেও পার্থেনোজেনেসিস দেখা যায়।[৭] এই জাতীয় প্রজনন মাছ এবং উভচর সহ কয়েকটি প্রজাতিতে কৃত্রিমভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে।
উচ্চ শ্রেণির উদ্ভিদে সাধারণত ডিম্বাণুর সাথে শুক্রাণুর মিলন তথা নিষেকের মাধ্যমে ভ্রুণ সৃষ্টি হয়ে থাকে। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে ডিম্বাণু নিষিক্ত না হয়ে সরাসরি ভ্রুণ সৃষ্টি করে থাকে। এ ধরনের প্রজননই হলো অপুংজনি। গ্রিক শব্দ পার্থেনোস অর্থ ‘কুমারী’ ও জেনেসিস অর্থ ‘সৃষ্টি’। এ প্রক্রিয়ায় একটি ডিম্বাণু শুক্রাণুর মাধ্যমে নিষিক্ত না হয়ে একটি ভ্রূণে বিকশিত হয়। এখানে সঙ্গীর কোনো ভূমিকা থাকে না।[৮]
প্রকারভেদ
সম্পাদনাপারথেনোজেনেসিস প্রধানত দুইপ্রকার
- হ্যাপ্লয়েড পারথেনোজেনেসিস: স্বাভাবিক মায়োসিস প্রক্রিয়ায় ডিম্বাণু সৃষ্টি হলেও তা নিষিক্ত না হয়ে সরাসরি ভ্রুণের সৃষ্টি করে তখন তাকে হ্যাপ্লয়েড পারথেনোজেনেসিস বলে। এ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট উদ্ভিদও হ্যাপ্লয়েড হয় এবং অনুর্বর হয়। Solanum nigrum, Orchis maculata উদ্ভিদে অনিষিক্ত ডিম্বাণু থেকে হ্যাপলয়েড উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়।
- ডিপ্লয়েড পারথেনোজেনেসিস: যখন স্বাভাবিক মায়ােসিস প্রক্রিয়ার বদলে মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় ডিম্বাণু (2n) সৃষ্টি হয় এবং পরে ভ্রুনে পরিণত হয় তাকে ডিপ্লয়েড পারথেনােজেনেসিস বলে। Parthenium argentatum ও Taraxacum albidum উদ্ভিদে ডিপ্লয়েড পারথেনােজেনেসিস হতে দেখা যায়। |
- Nicotiana tabacum (তামাক) এ অনিষিক্ত শুক্রাণু হতে ভ্রুন সৃষ্টি হয় । (নিষেকক্রিয়া ছাড়া শুক্রাণু থেকে ভ্রুন সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে অ্যান্ড্রোজেনেসিস (androgenesis) বলে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "parthenogenesis"। মেরিয়াম-ওয়েবস্টার ডিকশনারি (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "parthenogenesis - definition of parthenogenesis in English from the Oxford dictionary"। OxfordDictionaries.com। ২০১২-০৯-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-২০।
- ↑ Liddell, Scott, Jones. γένεσις A.II, A Greek-English Lexicon, Oxford: Clarendon Press, 1940. q.v..
- ↑ Halliday, Tim R. (১৯৮৬)। Kraig Adler, সম্পাদক। Reptiles & Amphibians। Torstar Books। পৃষ্ঠা 101। আইএসবিএন 978-0-920269-81-7।
- ↑ Walker, Brian (২০১০-১১-১১)। "Scientists discover unknown lizard species at lunch buffet"। CNN। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-১১।
- ↑ Savage, Thomas F. (সেপ্টেম্বর ১২, ২০০৫)। "A Guide to the Recognition of Parthenogenesis in Incubated Turkey Eggs"। Oregon State University। ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-১০-১১।
- ↑ "Female Sharks Can Reproduce Alone, Researchers Find", Washington Post, Wednesday, May 23, 2007; Page A02
- ↑ সঙ্গী ছাড়াই কিছু প্রাণীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কারণ জানালেন বিজ্ঞানীরা, প্রথম আলো, ৫ মার্চ ২০২৪
জীববিজ্ঞান বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |