পাবনা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
এই নিবন্ধটির একটা বড়সড় অংশ কিংবা সম্পূর্ণ অংশই একটিমাত্র সূত্রের উপর নির্ভরশীল। (ডিসেম্বর ২০১৯) |
পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। এটি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধিনে পরিচালিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
ধরন | সরকারী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট |
---|---|
স্থাপিত | ১৯৬২ |
ইআইআইএন | ১৩২৯৯৭ |
শিক্ষার্থী | ৫,০০০ |
অবস্থান | পাবনা , ২৪°০১′১০″ উত্তর ৮৯°১৪′৩০″ পূর্ব / ২৪.০১৯৪৪৭° উত্তর ৮৯.২৪১৬০২° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
সংক্ষিপ্ত নাম | পিপিআই |
ওয়েবসাইট | ppi |
চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্সে সুযোগ রয়েছে আটটি ভিন্ন পাঠ্য বিষয়ে। প্রথম বর্ষে মাত্র ৪২০ জন ছাত্র-ছাত্রী এবং চারটি প্রযুক্তি (সিভিল, ইলেট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল ও পাওয়ার) নিয়ে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু হয়। অত্র প্রতিষ্ঠানে চার বছর মেয়াদী এই কোর্সে ৯টি বিভাগ চলমান রয়েছে।[১][২][৩]
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯২৪ সালে তাড়াশের জমিদার শ্রী বনমালী রায় কর্তৃক বর্তমানে নগরবাড়ী মহাসড়কের দক্ষিণ পার্শ্বে পাবনা শহরে বিএল ইলিইয়ট টেকনিক্যাল স্কুল নামে একটি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ এর দশকে ততকালীন পাকিস্তান সরকারের ৫ম বার্ষিকী পরিকল্পনার অংশ হিসাবে পূর্ব পাকিস্তানের বহু জেলাতে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপিত হয়। তারই অংশ হিসেবে পাবনা জেলাতে ১৯৬২ সালে উক্ত টেকনিক্যাল স্কুলটি "পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট" নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭০ সালের ১০ই জানুয়ারি তৎকালীন পরিচালক (কারিগরি শিক্ষা) ড. ওয়াকার আহম্মদ বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজের উত্তর-পশ্চিম পার্শে ইছামতি নদীর উপকন্ঠে ৩০ একর জমির উপর বর্তমানে ক্যাম্পাসের ভীতি প্রস্তর স্থাপন করে ইহার ঐতিহাসিক অগ্রযাএা তরান্তিত করেন। নির্মাণ কাজ সমাপ্তির পর তিনটি প্রযুক্তি নিয়ে ১৯৭৮ সালে নূতন ক্যাম্পাসে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়।[২][৩][১]
অবস্থান
সম্পাদনাপাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট পাবনা শহর এলাকার গাংকোলায় অবস্থিত। এর উত্তরে ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, দক্ষিণে কারিগরি শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় এবং পশ্চিমে পাবনা -চাটমোহর হাইওয়ে, পূর্ব দিকে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের ক্যাম্পাস অবস্থিত।[২]
ক্যাম্পাস
সম্পাদনামূল ক্যাম্পাসে চারতলা বিশিষ্ট একটি ভবন, তিনটি বড় ওয়ার্কশপ ভবন, অফিস, গ্রন্থাগার, ওয়ার্কশপ এবং ল্যবরেটরী এবং একটি ৪০০ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন অডিটোরিয়াম। এছাড়া মূল ভবনের উত্তর পাশে রয়েছে মসজিদ সংলগ্ন শহীদ মিনার।
টেকনোলজি
সম্পাদনাএকাডেমিক প্রযুক্তিসমূহের মধ্যে রয়েছে
- কম্পিউটার প্রকৌশল
- তড়িৎ প্রকৌশল
- যন্ত্রকৌশল
- পুরকৌশল
- পরিবেশগত
- নির্মাণ প্রকৌশল
- পাওয়ার
- কম্পিউটার
- ইলেকট্রনিক্স
- রেফ্রিঃ ও এয়ারকন্ডিশন
ছাত্রাবাস
সম্পাদনাছাত্রদের জন্য একটি এবং ছাত্রীদের জন্য একটি আবাসিক হল রয়েছে।
সাফল্য
সম্পাদনাসাইবার সিকিউরিটি চ্যালেঞ্জ-২০১৮’ শীর্ষক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। এই ইনস্টিটিউটের ‘এর স্কোয়াড বাংলাদেশ’ দল চ্যাম্পিয়ন হয়। দলের সদস্যরা হলেন প্রিয়াল ইসলাম, মো. আবদুল্লাহ ও তাসদির আহমেদ।[৪]
গ্যালারি
সম্পাদনা-
পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, পাবনা ক্যাম্পাস ওয়াকিং রোড
-
পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, পাবনা ক্যাম্পাস ওয়াকিং রোড
-
পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, পাবনা ক্যাম্পাস পুরাতন পানির ট্যাংক
-
পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, পাবনা ক্যাম্পাস প্লেগ্রাউন্ড
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "Pabna Polytechnic Institute, Bangladesh, Pabna (2020)"। www.findglocal.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-০৬।
- ↑ ক খ গ Farzana (২০১৯-১২-২৫)। "Pabna Polytechnic Institute | পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট"। পলিটেকনিক বাংলাদেশ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৬-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-০৬।
- ↑ ক খ "pabna-polytechnic.com"। sites.google.com। ২০২০-১২-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-০৬।
- ↑ "সাইবার সিকিউরিটি চ্যালেঞ্জে চ্যাম্পিয়ন পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট"। বাংলা ট্রিবিউন। ২০২০-০৬-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-০৬।